পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
৭ অক্টোবর এক নতুন জনমত জরিপে দেখা গেছে যে লেবার দল কনজারভেটিভদের চেয়ে এগিয়ে আছে, অন্যদিকে জনগণ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টেরেসা মে’র বদলে সুস্পষ্টভাবে জেরেমি করবিনের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছে।
দি ইন্ডিপেন্ডেন্টের পক্ষে বিএমজি রিসার্চ কর্তৃক পরিচালিত এ একান্ত জরিপে লেবার দল টোরিদের চেয়ে ৫ শতাংশ এগিয়ে আছে। টোরি দল এখনো টেরেসা মেকে ক্ষমতাচ্যুত করার সাবেক মন্ত্রীদের এক অভ্যুত্থানের ধকল কাটিয়ে উঠছে। এক সম্মেলনে নিজের অবস্থান সংহত করে তরতাজা হয়ে ওঠা করবিন দেশ পরিচালনার জন্য জনগণ কাকে পছন্দ করবে এ বিষয়ে টেরেসা মে’র চেয়ে দু’পয়েন্ট এগিয়ে আছেন।
জরিপের সংখ্যা টোরি ও লেবার উভয় দলের জন্যই বিস্ময়কর বিপরীত ফল প্রদর্শন করেছে। এক অর্থে তা টেরেসা মে’র জন্য বেশি সমস্যার সৃষ্টি করেছে। দলে তার কর্তৃত্ব বিপর্যয়কর কনফারেন্স বক্তৃতার আগেই বরিস জনসনের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সমালোচনার শিকার প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও চাপের সম্মুখীন যেখানে ফ্রান্স ও জার্মানির নেতারা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তারা ব্রেক্সিট আলোচনাকে বাণিজ্য বিষয়ে এগোতে দেবেন না।
বিএমজি রিসার্চের এ জরিপে দেখা যায় যে লেবারদের প্রতি সমর্থন ৪ পয়েন্ট বেড়ে ৪২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, অন্যদিকে কনজারভেটিভদের সমর্থন কমে ৩৭ শতাংশে এসেছে।
কে ভালো প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন এ প্রশ্নে টেরেসা মে’র প্রতি সমর্থন কমে ৩০ শতাংশে নেমেছে। অন্যদিকে জেরেমি করবিনের প্রতি সমর্থন ৪ পয়েন্ট বেড়ে ৩২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
করবিনের নিজ সার্বিক অ্যাপ্রæভাল রেটিং হচ্ছে শূন্য শতাংশ। তার অর্থ যত মানুষ তাকে নেতা হিসেবে তাকে যোগ্য মনে করে তত সংখ্যকই আবার তা মনে করে না। সর্ব সাম্প্রতিক জরিপ থেকে এটা বিপুল পরিমাণ বেশি যা তাকে শূন্য ১০ শতাংশে উন্নীত করেছে। পক্ষান্তরে মে’র অ্যাপ্রæভাল রেটিং হচ্ছে ১৯ শতাংশ।
করবিনের প্রতি ব্যক্তিগত সমর্থন মধ্য সেপ্টেম্বরের জনমত জরিপের চেয়ে উল্লেখযোগ্য রকম বিপরীত। এতে দেখা যায় যে লেবার দলের রেলওয়ে পুনঃজাতীয়করণ ও সরকারী খাতে পে ক্যাপ অবসানের মত নীতিগুলো জনপ্রিয়, কিন্তু দলটিকে এখনো পরবর্তী সরকার হিসেবে দেখা হচ্ছে না এবং করবিনকে সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে না।
দলীয় কনফারেন্স সিজনে ৫৫ শতাংশ জবাবদাতা বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে তার কর্মকান্ডে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। ৪৫ শতাংশ জবাবদাতা সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তিনি ১০ শতাংশ কম সমর্থন পেয়েছেন।
কনফারেন্স সিজনের আগে সর্বশেষ জরিপে দেখা গিয়েছিল যে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সমর্থন মাত্র ১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। অর্থাৎ মাইনাস ১৮ শতাংশ থেকে মাইনাস ১৯ শতাংশ হয়েছে। তবে এই সংখ্যা তার বুধবারের বক্তৃতার পর ধারণার কোনো পরিবর্তন বোঝায় না।
আগামীকাল যদি কোনো সাধারণ নির্বাচন হয় ৩৩ শতাংশ মানুষ বলেছে তারা কনজারভেটিভদের ভোট দেবে। আবার সমসংখ্যক ভোটার লেবার দলকে ভোট দেবে বলেছে। তার অর্থ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ৬ শতাংশ লোক লিবারেল ডেমোক্র্যাট ও ৪ শতাংশ লোক ইউকিপকে ভোট দেবে বলে জানিয়েছে।
২৬ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরিচালিত এ জনমত জরিপ টেরেসা মে’র নিজের সমস্যা সৃষ্টিকারক কনফারেন্স বক্তৃতার আগেই অনুষ্ঠিত হয়। নিষ্প্রভ দলীয় সম্মেলনের শেষে মে’র বক্তৃতা জনতার মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়, অন্যদিকে মিডিয়ায় ক্রমাগত দলীয় কোন্দল ও আনুগত্যহীনতার খবর প্রকাশিত হতে থাকে।
শুক্রবার ব্যাকবেঞ্চ এমপি ও দলের সাবেক চেয়ারম্যান গ্র্যান্ট শ্যাপস কয়েকদফা মিডিয়ায় হাজির হন। তিনি দাবি করেন যে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করার জন্য ন্যূনতম যে ৪৮ জন এমপির সমর্থন প্রয়োজন তাদের মধ্যে ৩০ জন এমপির তালিকা তার কাছে আছে। সাবেক নেতৃত্ব প্রয়াসী অ্যান্ড্রিয়া লিডসম তাকে চুপ থাকতে বলেন এবং স্কটিশ টোরি নেতা রুথ ডেভিডসন দলের মধ্যে আরো ঐক্যের দাবি জানান।
টেরেসা মে’র কনফারেন্স বক্তৃতাকে একটি বিপর্যয় হিসেবে দেখা হয়েছে। তিনি কথা হারিয়ে ফেলেছিলেন এবং কয়েক মিনিট কথা বলতে পারেননি, তার পিছনে যবনিকাপাত ঘটে। সম্মেলনের প্রাক্কালে বরিস জনসন দি সান পত্রিকাকে একটি সাক্ষাতকার দেন যাতে তিনি সরকারের অবস্থান থেকে পৃথক হিসেবে ব্রেক্সিট বিষয়ে তার নিজস্ব ‘রেড লাইন’ নির্ধারণ করেন।
টেরেসা মে ব্রেক্সিট বিষয়ে দু’বছরের অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠার জন্য তার প্রস্তাব সম্পর্কে ফ্রান্স ও জার্মানির প্রত্যাখ্যানের সম্মুখীন হয়েছেন।
শনিবারের টেলিগ্রাফে প্রকাশিত এক জনমত জরিপে দেখা যায়, ব্রেক্সিট বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী যেভাবে সামাল দিচ্ছেন তার প্রতি জনগণের আস্থা সর্বনিম্নে নেমে এসেছে।
জেরেমি করবিনের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির বিষয়টি পাঁচ বছর কোনো সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ার জোর সম্ভাবনার প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করতে হবে। পাঁচ বছর পর তিনি ৭৩ বছরে পড়বেন। তবে লেবার পার্টি সম্মেলনে দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির যে সুপারিশ গ্রহণ করা হয়েছে তাতে দলের মাত্র ১০ শতাংশ এমপির অনুমোদনের ভিত্তিতে কেউ ভবিষ্যত নেতা পদে দাঁড়াতে পারবেন। এটা করবিনকে তার পছন্দসই কোনো উত্তরসুরির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের কাজ সহজ করে দিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।