পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের পদক্ষেপের কারণেই মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সঙ্কট এখন বিশ্ববাসীর মনোযোগের কেন্দ্রে রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, মানবিক কারণে আমারা রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। তাদের আশ্রয় দেওয়ায় বিশ্ব বাংলাদেশের মর্যাদা বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বসভায় তুলে আনা আমার লক্ষ ছিল। এটুকু বলবো, যা কিছু দেশের জন্য করতে পেরেছি, যা কিছু অর্জন, সবই এদেশের মানুষের সমর্থনে, এ দেশের মানুষের দোয়ায়।
জাতিসংঘ সফর শেষে দেশে ফেরার পর আজ শনিবার সকালে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
এর আগে সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের গণসংবর্ধনা মঞ্চে যান। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।
পাঁচ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে মানবিকতার নিদর্শন প্রদর্শন করার পাশাপাশি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বক্তৃতায় এই সঙ্কটের প্রতি বিশ্ববাসীর মনোযোগ আকর্ষণ করায় শেখ হাসিনাকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রীকে ‘বিপন্ন মানবতার বাতিঘর’ অভিহিত করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা স্বাধীনতা চায়নি তারা ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশকে পিছিয়ে নিতে চায়। তারা বাংলাদেশের জন্য কাজ করেনি, আখের গোছাতেই ব্যস্ত ছিল। তবে এখন বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য ফিরতে শুরু করেছে। বিশ্বমন্দা থাকার পরও দেশকে এগিয়ে নিতে পারছি।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, মানুষ মানুষের জন্য। বিপন্ন মানুষকে আশয় দেওয়া যেকোন মানুষের দায়িত্ব। মানবেতর জীবনযাপন করছিল তারা (রোহিঙ্গারা), তাদের ওপর অত্যাচার চলছিল। প্রথমে যখন তারা আসছিল তখনও আমরা জানি না আসলে কী অবস্থা। যেভাবে গণহত্যা ঘটছে তা জেনে তখন খুব স্বাভাবিকভাবে তাদের আশ্রয় দিতে হলো।
তিনি আরও বলেন, যদি প্রয়োজন হয় একবেলা খাবো, আরেকবেলার খাবার ওদের ভাগ করে দেবো। বাংলাদেশ যদি এ অবস্থান না নিত তাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এত দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারত না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।