পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কলারোয়া (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা : আশ্বিনের বর্ষণে কলারোয়ার গ্রামগঞ্জে যোগযোগের প্রধান সড়কগুলো ভেঙে বড় বড় খাদের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে কলারোয়ার আভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা চরম বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমে টানা এক সপ্তাহের বর্ষণ ছাড়া সমস্ত বর্ষাকাল ঝটপট বৃষ্টির পরে রোদ বের হয়েছে। কিন্তু আশ্বিনের প্রথম সপ্তাহের শেষ থেকে ভারী বর্ষণের পরে মেঘলা আবাহওয়া বিরাজ করছে। ভিজা কর্দমাক্ত রাস্তায় একের পর এক বর্ষণ ও যানবাহন চলাচলে রাস্তা ভেঙে পিচ উঠে বড় বড় খানা খন্দকে পরিণত হয়েছে। প্রায় ৪ মাস আগে বর্ষার প্রারম্ভে কার্পেটিং ২ কিলোমিটর বাদে কলারোয়া-সরসকাটি সড়কের ১১ কিলোমিটার মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সমস্ত রাস্তা নিরবিচ্ছন্ন বড় বড় গর্তে ভরা। সন্ধ্যার পরে তো দূরের কথা দিনের আলোয় এই রাস্তায় চলার সময় একটু অমনোযোগি হলে নিশ্চিত ভাবে গর্তে পড়ে আহত হতে হয়। এছাড়া কলারোয়া-চান্দুড়িয়া সড়কের কলারোয়া থেকে দমদম পর্যন্ত; কলারোয়া-ধানদিয়া সড়ক; কলারোয়া-বালিয়াডাঙ্গা সড়ক ভায়া লাঙ্গলঝাড়া; সোনাবাড়িয়া-বালিয়াডাঙ্গা সড়ক; সোনাবাড়িয়া-কেড়াগাছি ভায়া মাদ্রা সীমান্ত ফাড়ি সড়ক; গয়ড়া বাজার-সিংগা বাজার সড়ক; সোনাবাড়িয়া-বাগআঁচড়া সড়ক; কলারোয়া-কুশোডাঙ্গা সড়ক; সরসকাটি-তালুন্দিয়া সড়কের অংশ বিধস্ত হয়ে গেছে। রাতে তো দূরের কথা দিনের বেলা চলতে পথচারী সাধারণ মানুষকে হোচট খেতে হচ্ছে। এসব রাস্তায় যানবাহনে চলতে পেটের নাড়িভূড়ি ছিড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। এই রাস্তায় চলার পরে বাড়ি ফিরে পেটের ভিতরে ব্যাথা অনুভূত হয়। চলাচলরত যানবাহন গুলো ব্যপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এই সব সড়কে দূঘটনা নিত্য সঙ্গী হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসি জানায়, রাস্তা নির্মাণে ব্যপক ঘাপলার কারণে এক বছর পেরিয়ে যেতেই রাস্তা গুলো ভেঙেচুরে যেতে শুরু করে। রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী ঠিকাদারের নামে কথা বলে পিঠ বাচানো দূঃসাধ্য বলে এলাকাবাসি নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে বাধ্য হয়। তবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তর জানায়, গ্রামগঞ্জের এসব রাস্তায় লোড ক্যাপাসিটির চেয়ে বেশী ভারবাহি যানবাহন চলাচল করায় রাস্তাগুলো দ্রæত ভেঙেচুরে খানাখন্দকে পরিণত হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাকা সড়কগুলো মাছের ঘেরের বাধ হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে। মাছের ঘেরে কানায় কানায় পানি থাকায় এবং ঘেরে রাসায়নিক সার ব্যবহার করায় ঘেরের বাধ হিসাবে ব্যবহৃত রাস্তার মাটি নরম হয়ে ধসে পড়ছে। অথচ সরকারী রাস্তা ঘেরের বাধ হিসাবে ব্যবহারে আইনে সাজা শাস্তির বিধান রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।