Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিয়ানমারে গণহত্যা বন্ধ কর -চট্টগ্রামে মহাসমাবেশে আল্লামা শফী

| প্রকাশের সময় : ৭ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


চট্টগ্রাম ব্যুরো : আরাকানে গণহত্যা বন্ধ এবং রোহিঙ্গা শরনার্থীদের মিয়ানমারে ফেরৎ নেয়ার দাবিতে চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে গতকাল (শুক্রবার) এক মহাসমাবেশে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী মিয়ানমারে গণহত্যা বন্ধ করে রোহিঙ্গাদের সম্মানের সাথে সে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর বৌদ্ধ সন্ত্রাসী ও সরকারী বাহিনী যৌথভাবে যে হত্যাকান্ড চালাচ্ছে তা অতীতের যে কোন সময়ের চাইতে মর্মান্তিক। নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক ও ঈমানী দায়িত্ব।
মিয়ানমারের আরকানে মুসলমান নারী ও শিশু নির্যাতন এবং নির্বিচারে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের উদ্যোগে শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সভাপতিত্বে বাদজুমা থেকে শুরু হয়ে মহাসমাবেশে চলে সন্ধা পর্যন্ত। এতে হাজার হাজার তাওহীদি জনতা শরিক হন। আল্লামা শফী বলেন রোরিঙ্গা ইস্যু রাজনৈতিক নয়, মানবিক ও ঈমানী দায়িত্ববোধ থেকে আন্দোলন করছি। তিনি বলেন, জাতিসংঘ ও ওআইসি মিয়ানমার সরকারকে এই সা¤প্রদায়িক ও জাতিগত নিপীড়ন বন্ধের আহŸান জানালেও মিয়ানমার সরকার তাতে কর্ণপাত করছে না। তাই প্রতিবাদ বিক্ষোভ ছাড়া কোন বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, অসহায় রোহিঙ্গা মুসলিম ভাই বোনদের সাহায্য করা জরুরী। রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু মুসলিমরা আজ অধিকারহারা। ওরা নিজের আবাসভূমিতে বর্বরতম নির্যাতনের শিকার। তাদের মানবাধিকার রক্ষার সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়া সকলের নৈতিক দায়িত্ব। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের প্রতি আহŸান জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন আরাকানে মুসলিমদের ওপর গণহত্যা বন্ধ, মিয়নমার সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ এবং নাগরিক অধিকার নিয়ে রোহিঙ্গাদের আরকানে ফিরিয়ে নিতে হবে।
অং সান সূচি একজন আস্তর্জাতিক জঙ্গি। তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। গণহত্যার দায়ে তাকে আন্তর্জাতিক আদালতে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের উদ্দেশ্যে জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি মিয়ানমারের ওপর কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করুন। তাতে কাজ না হলে সম্পর্ক ছিন্ন করুন। তারপরও যদি না হয়, সূচির বিরুদ্ধে জিহাদের ডাক দিন। আমরা জিহাদের জন্য তৈরি আছি। জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, মুসলিম রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে হবে।
হেফাজতের যুগ্ম মহা-সচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, চীন মিয়ানমার ও রাশিয়ার ঐক্য সা¤প্রদায়িক বর্বর গণহত্যার ঐক্য। এই ঐক্য ধ্বংস করতে হবে। পাঠ্যবইয়ে থাকা বিপ্রদাশ বড়ুয়ার লেখা ‘মংডুর পথে’ ভ্রমণ কাহিনী অবিলম্বে বাদ দিতে হবে। রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে মসজিদ মাদরাসা নির্মাণ করা হবে। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনকে বলতে চাই মসজিদ-মাদরাসায় হাত দিলে তা ভেঙ্গে দেয়া হবে।
মহাসমাবেশে বক্তব্য রাখেন, নায়েবে আমীর আল্লামা মুহিববুল্লাহ বাবুনগরী, আল্লামা নুর হোসেন কাসেমী, মাওলানা তাজুল ইসলাম, মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মাওলানা জুনাইদ আলহাবিব, ড. আহমদ আবদুল কাদের, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা সলিমুল্লাহ, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, মাওলানা হাসনাত আমিনী, মাওলানা জাফরুল্লাহ খান। শেষে মোনাজাত পরিচালানা করেন আল্লামা আহমদ শফী।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ