Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিরূপ আবহাওয়ায় হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর চাপ

তাপদাহ কমলেও ভ্যাপসা গরম কাটেনি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস

| প্রকাশের সময় : ৭ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শফিউল আলম
টানা কয়েকদিনের তাপদাহের দাপট কিছুটা কমেছে। তবে শরতের শেষ সময়ের অস্বাভাবিক ভ্যাপসা গরম কাটেনি। আজ (শনিবার) সাময়িক মেঘ-বৃষ্টিপাতের সাথে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরও ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে আসার সম্ভাবনার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৬.৪ , ঢাকায় সর্বোচ্চ ৩৪.৮ ডিগ্রি সে.। আগের দিন বৃহস্পতিবার তাপমাত্রার পারদ উঠে যায় টাঙ্গাইলে সর্বোচ্চ ৩৭.২ ও ঢাকায় ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গতকাল ঢাকায় ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এ সময় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় কুতুবদিয়ায় ৩৬, টেকনাফে ২৯, কক্সবাজারে ১৬ মিমি। তবে ঢাকায় এখনো সর্বোচ্চ ৩৪.৮ ও সর্বনি¤œ ২৭.৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা এবং বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার হার ৮৯ শতাংশ থাকা এ সময়ের জন্য ‘অস্বাভাবিক’ বলে জানায় আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ সূত্র। এতে করে আশ্বিনের বিদায়কালেও গা-জ্বলা ও ঘাম ঝরানো ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। বাস্তব তাপানুভূতি রয়েছে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। অথচ ‘স্বাভাবিক’ আবহাওয়ায় এ সময় হালকা শীতের আমেজ ও কুয়াশা থাকারই কথা। যা পুরো শরৎ ঋতুজুড়ে উধাও। শরতে পড়ছে গ্রীস্মের কড়া রোদের দহন।
গতকাল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইদানীং বিরূপ বা বিপরীতমুখী আবহাওয়ার কারণে রোগীর চাপ গত এক সপ্তাহ যাবত অবিরাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বেশিরভাগই ভর্তি হচ্ছে অথবা চিকিৎসা নিচ্ছে শ্বাসকষ্ট, ভাইরাস জ্বর, পেটের পীড়া ও হৃদরোগজনিত জটিলতা নিয়ে। চমেক সিসিইউ এবং আইসিইউতে প্রতিদিন ভর্তি হওয়া রোগীর তীব্র চাপ সামাল দিতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছেন সীমিত সংখ্যক চিকিৎসক ও স্টাফ নার্সগণ। চাহিদার তুলনায় সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে সরকারি ওষুধেরও। এই অসময়ের ভ্যাপসা গরমের কারণে রোগের জটিলতা লাঘবের জন্য বেশি করে বিশুদ্ধ পানি, শরবৎ পান করা, দূষিত খাবার ও পানি পানে সতর্কতা এবং হাঁপানি ও শ্বাসকষ্টের রোগীদের ধূলোবালি ও ধোঁয়া থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ।
এদিকে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। এর পরের ৫ দিনে আবহাওয়ার অবস্থার তেমন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। সমুদ্র বন্দরসমূহকে আপাতত কোন সতর্ক সঙ্কেত দেখানো হচ্ছে না।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, মৌসুমি বায়ুর একটি বলয় তৈরি হয়ে আছে ভারতের বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশর দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর এখন মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ