পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : চলতি বছর সাহিত্যে নোবেল জয়ীর নাম ঘোষণা করেছে সুইডিশ অ্যাকাডেমি। গতকাল স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়ে দুপুর ১টায় সাহিত্যে নোবেল জয়ী হিসেবে ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক কাজুয়ো ইশিগুরোর নাম ঘোষণা করা হয়। বরাবরই সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ঘোষণায় অনেক কানাঘুষা শোনা যায়। গত বছর বব ডিলানের হাতে পুরস্কার ওঠায় অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। গায়ক এবং গীতিকার হিসেবে পরিচিত বব ডিলানের পুরস্কার জেতাটা অনেকেই মেনে নিতে পারছিলেন না।
চলতি বছরও সবাইকে অবাক করে দিয়ে জাপানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক কাজুয়ো ইশিগুরো জিতে নিলেন সাহিত্যে নোবেল। তিনি চিত্রনাট্যকার, ছোট গল্পকার এবং ঔপন্যাসিক হিসেবেই সমধিক পরিচিত।
এর আগেও তিনি বেশ কিছু পুরস্কার পেয়েছেন। চিত্রনাট্য লিখেছেন ‘নেভার লেট মি গো’, ‘দ্য রিমেইন্স অব দ্য ডে’, দ্য হোয়াইট কাউন্টিস’সহ বেশ কিছু চলচ্চিত্রের।
নাগাসাকিতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি; ১৯৫৪ সালের ৮ নভেম্বর। কাজুয়ো ইশিগুরোর যখন মাত্র পাঁচ বছর বয়স, তখনই তার পরিবার জাপান ছেড়ে ইংল্যান্ডে চলে আসে। সেটাও ১৯৬০ সালের কথা।
সমুদ্রবিদ বাবা শিজিও ইশিগুরো চাননি নাগাসাকির অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। সেকারণেই সপরিবারে ইংল্যান্ডে চলে আসেন তিনি। ছাত্রাবস্থায় বাবার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ বেশ কিছু দেশ ঘুরে ফেলেন কাজুয়ো ইশিগুরো। কেবল ঘুরেই দেখেননি তিনি; পাশাপাশি ভ্রমণকাহিনী, ফিচারও লিখেছেন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়।
১৯৭৪ সালে কেন্ট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে ১৯৭৮ সালে স্নাতক সম্পন্ন করেন। সৃজনশীল লেখার ওপর ১৯৮০ সালে স্নাতকোত্তরও সেরে ফেলেন। আর যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব লাভ করেন ১৯৮২ সালে।
লেখালেখিতে জাপানের বিষয়াদি উঠে আসায় অনেকেই তাকে সে দেশের লেখক বলে থাকেন। অথচ ১৯৬০ সালে জাপান থেকে সপরিবারে এসে ১৯৮৯ সালের আগ পর্যন্ত একবারও ফিরে যাননি তিনি। মাথা তুলে দাঁড়ানোর সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন বিদেশের মাটিতে। ২২ বছর পর পেয়েছেন যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব।
১৯০১ সালের পর থেকে নোবেল কমিটি এ পর্যন্ত ১১১ বার পদার্থে নোবেল পুরস্কার দিয়েছে। গত বছর পদার্থের টপোলজি ক্ষেত্রে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ নোবেল জিতেছেন ব্রিটিশ তিন বিজ্ঞানী। সুইডেনের বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের ইচ্ছানুসারে নতুন কোনো কিছু উদ্ভাবন, বিশেষ গবেষণা এবং মানব জাতির কল্যাণে অসামান্য অবদান রাখার জন্য প্রতি বছর নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়। পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতিতে দেয়া হয় এ পুরস্কার। সূত্র : টু ওয়ে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।