পুঠিয়া (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা
পুঠিয়ায় স্বামীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের কার্তিকপাড়ার বটতলা নামক স্থানে মাঝামাঝি স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতিত ওই গৃহবধূ রাতেই থানায় এসে অভিযোগ করেন। পরে এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে আটক করেছে। পুঠিয়া থানা সুত্রে জানা গেছে, গত বুধবার বিকেলে স্ত্রীকে এক দম্পতি শ্বশুরবাড়ি বাগমাড়া উপজেলার তাহেরপুরে বেড়াতে যায়। পরে রাত আনুমানি সাড়ে ৭টার দিকে ভ্যানগাড়ী যোগে বাসায় ফিরছিলেন। পথেই বটতলা-কার্তিকপাড়া এলাকার মাঝামাঝি এলে আনুমানিক রাত ৮টার দিকে জিউপাড়া ইউনিয়নের বিলমাড়িয়া নবির উদ্দিন, মিজান আলীসহ ৭-৮ জন ব্যাক্তি তাদের ভ্যানের গতিরোধ করে জোরপূর্বক ধারালো দেশিয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পার্শ্বে একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে দম্পতির স্বামীকে একটি গাছের সাথে বেঁধে রাখে তারা মধ্যরাত পর্যন্ত সবাই মিলে একাধিকবার দম্পতির স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে। পরে অনেক অনুনয় বিনয় করলে এবং এই ঘটনা কাউকে না জানানোর শর্তে তারা আমাদের প্রাণে না মেরে ছেড়ে দেয়। পরে ওই দম্পতি পুঠিয়া থানায় এসে পুলিশের কাছে ঘটনা খুলে বলেন। পরে পুঠিয়া থানা পুলিশ ঔই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭জনকে আটক করে।
এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সায়েদুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুঠিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই প্রনয় কুমার, এসআই সাইফুল ইসলাম ও এএসআই জসিম উদ্দিনসহ সঙ্গীয় ফোর্স পাঠিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৭ জনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছে ধারালো দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ৮জনকে আসামি করে ধর্ষিতার স্বামী বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।