টাঙ্গাইলে সর্বোচ্চ ৩৬.৫ ঢাকায় ৩৫.৬ ডিগ্রি সে.
বিশেষ সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম ব্যুরো
অসময়ে অসহ্য ভ্যাপসা গরমের সাথে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় সারাদেশে মানুষ হাঁসঁফাস করছে। অস্বাভাবিক আবহাওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় ভাইরাস জ্বর, সর্দি-কাশি, পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন রোগ-ব্যাধির প্রকোপ দেখা দিয়েছে। গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টাঙ্গাইলে ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৬ ও ২৬.৬ ডিগ্রি সে.। যা এ সময়ের স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে প্রায় সারাদেশে ২ থেকে ৫ ডিগ্রি সে. বেশি। ‘ইট-পাথরের খাঁচা’ অপরিকল্পিত ও অবরুদ্ধ মেগাসিটি ঢাকায় তাপদাহের অনুভূতি ৪০ থেকে ৪৩ ডিগ্রি সে.।
এদিকে আবহাওয়া পূর্বাভাসে আজ (বৃহস্পতিবার) সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা আরো কিছুটা বৃদ্ধি এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকাতে পারে বলে জানানো হয়। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। এর পরের ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শুধুই গোপালগঞ্জে ৭ মিমি, রাজশাহীতে এক মিমি বৃষ্টিপাত ছাড়া সমগ্র দেশ ছিল বৃষ্টিবিহীন এবং কড়া সূর্যের দহনে গ্রীস্মের তাপপ্রবাহে তীব্র খরতপ্ত। আশ্বিনের শেষ দিকে এসে এ ধরনের খেয়ালী ও বৈরী আবহাওয়ায় বেড়ে গেছে নানামুখী জনদুর্ভোগ।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, মৌসুমি বায়ুর একটি বলয় বিস্তৃত রয়েছে ভারতের উত্তর-প্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে, যা তাপদাহের অন্যতম কারণ। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে।