পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অস্ট্রিয়ায় মুসলিম মহিলাদের প্রকাশ্য স্থানে পুরো মুখ-ঢাকা নিকাব বা বোরকা পরা নিষিদ্ধ করে যে আইন হয়েছে - তা গত রোববার থেকে কার্যকর হয়েছে। অস্ট্রিয়ার সরকার বলছে, এই আইনে মাথার চুল থেকে চিবুক পর্যন্ত মুখ দৃশ্যমান থাকতে হবে এবং অস্ট্রিয়ার মূল্যবোধ রক্ষার জন্যই এটা করা হচ্ছে।
অস্ট্রিয়ায় প্রায় ৭ লাখ মুসলিম বাস করেন, কিন্তু তার মধ্যে মাত্র ১৫০ জনের মতো মহিলা পুরো মুখ-ঢাকা বোরকা বা নিকাব পরেন বলে অনুমান করা হয়। এ আইন এমন এক সময় কার্যকর হচ্ছে যখন দেশটিতে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নির্বাচনের আগে ইসলাম-ভীতি বা বিদ্বেষের অনুভূতিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, আগামী মাসের ওই নির্বাচনে হয়তো একটি উগ্রদক্ষিণপন্থী দল কোয়ালিশন সরকারের অংশ হয়ে উঠতে পারে। নিকাব নিষিদ্ধ করার এই আইনের অন্য আরো কিছু দিকও আছে। এ আইনে চিকিৎসাগত কারণে মুখ ঢাকা বা সং সাজাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ আইনের কারণে পর্যটন কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, অস্ট্রিয়াতে প্রতি বছর উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্র থেকে যেসব পর্যটকরা আসে তার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে হবে। ফ্রান্স এবং বেলজিয়াম ২০১১ সালে বোরকার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নেদারল্যান্ডের পার্লামেন্টেও এ ধরনের একটি বিল আনা হয়েছে। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল বলেছেন, আইনগতভাবে সম্ভব হলে জার্মানিতেও পুরো-মুখ-ঢাকা বোরকা বা নিকাব নিষিদ্ধ করা উচিত। যুক্তরাজ্যে নিকাব বা বোরকার ওপর কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। অস্ট্রিয়ার জনসংখ্যা ৮০ লাখের মতো। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।