পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুর্দশাগ্রস্ত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সরকারের বাসস্থান, খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুবিধাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষ যদি প্রয়োজন হয় দিনে এক বেলা খেয়ে আরেক বেলার খাবার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে খাবে। দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো পদ্মা সেতুর ওপর স্প্যান বসানোর খবরে উচ্ছ¡াস ও আবেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমরা প্রমাণ করেছি, আমরাও করতে পারি। আমি খুব খুশি। আমরা বাঙ্গালি জাতি যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। আমরা যা চাই, তাই করতে পারি, যদি আমরা সৎ ও সংকল্পবদ্ধ থাকি।
গত রবিবার সন্ধ্যায় রিট্জ কার্লটন হোটেলে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেট থেকে আসা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যদি আমরা ১৬ কোটি মানুষের খাদ্যের ব্যবস্থা করতে পারি, প্রয়োজনে রোহিঙ্গাদের এই দুর্দিনে আরও পাঁচ/সাত লাখ মানুষের খাদ্যের ব্যবস্থা করতে পারবো। আমরা দিনে একবেলা খেয়ে আরেক বেলার খাবার এই নিজ ভূখন্ড থেকে বিতাড়িত শরণার্থীদের সঙ্গে ভাগাভাগি করবো। তিনি বলেন, আমরা মানুষ। আমরা মানবতার পাশে দাঁড়িয়েছি।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম মতবিনিময়ের পর সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদিও আমরা ধনী না, তবে আমাদের মন আছে। তারা মানুষ, আমরা তাদের সাগরে ছুড়ে ফেলতে পারি না।
দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো পদ্মা সেতুর ওপর প্রথম স্প্যান বসানোর খবরে নিজের উচ্ছ¡াস প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা প্রমাণ করেছি, আমরাও করতে পারি। আমি খুব খুশি।
আবেগতাড়িত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা, বাঙালি জাতি যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। আমরা যা চাই, তাই করতে পারি, যদি আমরা সৎ ও সংকল্পবদ্ধ থাকি।
তিনি বলেন, গলবøাডার অপারেশনের পর চিকিৎসকরা তাকে সম্পূর্ণ বিশ্রামের পরামর্শ দিলেও তিনি তা উপেক্ষা করেই দেখা করছেন দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে।
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে বিশ্ব ব্যাংকের মুখ ফিরিয়ে নেয়ার পর, নিজেদের অর্থায়নেই তা করে দেখানোর সাহসী সিদ্ধান্তের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা ছিল একটা বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের জন্য বড় সিদ্ধান্ত। নিজেদের অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা আমাদের ভাবমূর্তির সঙ্গেও জড়িত। তিনি বলেন, পদ্মার মতো একটি খর স্রোতা নদীতে এমন বড়মাপের সেতু নির্মাণ কাজে হাত দিয়ে আমরা বিশ্বের বুকে উদাহরণ সৃষ্টি করেছি।
নিজের রাজনীতির লক্ষ্যের উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যে জনগণের জন্য রাজনীতি করি, জনগণের জন্য কাজ করি এবং আমরা পারি; তা প্রমাণ করেছি। স্বপ্নের এই পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতার জন্য দেশী-বিদেশী সকল বাংলাদেশীর প্রতি অভিনন্দন জানান তিনি।
দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ওপর গত শনিবার শরিয়তপুরের জাজিরা পয়েন্টে প্রথম স্প্যান বসানোর ফলে এটি এখন দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। প্রায় ৩২০০ টন ওজনের প্রথম স্প্যান সেতুর ৩৭ এবং ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর ওইদিন সকালে স্থাপন করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।