পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
গঙ্গাচড়া (রংপুর) উপজেলা সংবাদদাতা ঃ রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলায় এনজিও ও দাদন ব্যবসায়ীদের ঋণের জালে জড়িয়ে হাজার হাজার পরিবার সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছে। সামাজিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। জানা গেছে, গঙ্গাচড়া উপজেলার এনজিওগুলোর হাতে সামাজিক উন্নয়ন কর্মকান্ড, বয়স্ক শিক্ষা, শিশু শিক্ষা, বনায়ন, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি পালন, নার্সারি, স্যানিটেশন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহসহ নানা কর্মসূচী থাকলেও মূলত সুদের ব্যবসা তাদের প্রধান কাজ। প্রথম পর্যায়ে এনজিও কর্মীরা সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার আশ্বাস দিয়ে দরিদ্র পরিবারের মহিলাদের সমিতির সদস্য বানিয়ে তাদের প্রথমে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়া হয়। তারা সদস্যদের হাঁস-মুরগি পালন অথবা গরু-ছাগল পালনের জন্য ঋণ ফরমে স্বাক্ষর করালেও আদৌ তারা তা বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তা তদারকি করে দেখেন না। অপরদিকে এনজিওর নিয়ম অনুযায়ী ঋণের টাকা খাটিয়ে তার আয় থেকে কিস্তির টাকা আদায় করে থাকে। এ ঋণের সুদের হার ব্যাংকের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। গ্রামের হতদরিদ্র মহিলারা জানান, প্রতি সপ্তাহে কিস্তির টাকা শোধ করতে ব্যর্থ হলে এনজিও কর্মীদের অশালীন ভাষায় গালিগালাজসহ সংসারের আসবাবপত্র থেকে শুরু করে হাঁস-মুরগি এমনকি ঘরের টিন পর্যন্ত খুলে নেয়ার জন্য টানাটানি শুরু করে দেয়। এ অবস্থায় এক সংস্থার ঋণের টাকা পরিশোধ করতে একাধিক এনজিওর ঋণের জালের জড়িয়ে পড়ছেন সহজ-সরল মানুষ। অপরদিকে কিছু অসাধু ব্যক্তি শতকরা ২০ টাকা হারে প্রকাশ্যে সুদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মহাজনরা ঋণের টাকা আদায় করতে না পারলে গ্রহীতার ভিটাবাড়ি পর্যন্ত দখল করে নিচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।