পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : কৃষি ও ক্ষুদ্রঋণ বিতরণে ব্যাংকগুলোকে উৎসাহিত করতে বিশেষ ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। উভয় খাতে অ-খেলাপি ঋণের বিপরীতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন সংরক্ষণের হার আড়াই শতাংশ থেকে কমিয়ে মাত্র ১ শতাংশ করা হয়েছে। এতে কৃষিঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলোর ব্যয় অনেক কমে যাবে। বুধবার এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশে ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ।
দেশে কার্যরত সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়, কৃষি ও ক্ষুদ্র খাতে স্বল্প মেয়াদি ঋণ বিতরণে উৎসাহিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতদিন উভয় খাতে অ-খেলাপি নিয়মিত-অনিয়মিত সব ঋণের বিপরীতে আড়াই শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক ছিল। এখন থেকে তা দেড় শতাংশ কমিয়ে এক শতাংশ নির্ধারণ করা হল। আগে ১০০ টাকা ঋণ দিলে আড়াই টাকা জমা রাখতে হত, এখন জমা রাখতে হবে মাত্র ১ টাকা। এছাড়া প্রভিশনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তর অপরিবর্তিত থাকবে। অর্থাৎ ‘সাব-স্ট্যান্ডার্ড ও ডাউটফুল’ প্রাথমিক ও সন্দেহজনক খেলাপি ঋণের বিপরীতে ৫ শতাংশ এবং ক্ষতিজনক মানের খেলাপির বিপরীতে ১০০ ভাগ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে। ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আবু ফরাহ মো. নাছের বলেন, অ-খেলাপি ঋণে প্রভিশন প্রথমে ৫ শতাংশ ছিল। পরে আড়াই শতাংশে নামানো হয়। এবার সেটা ১ শতাংশে নামানো হয়েছে। মূলত কৃষি ও ক্ষুদ্রঋণে উৎসাহিত করার জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।