পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নাছিম উল আলম
ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষে আজ মধ্যরাত থেকে ২২দিনের জন্য দেশের উপক‚লের ৭হাজর বর্গ কিলোমিটার এলাকায় সব ধরনের মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি সারাদেশেই ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বিপণন নিষিদ্ধ হচ্ছে। মৎস বিজ্ঞানীদের সুপারিশের আলোকে আশ্বিনের বড় পূর্ণিমার আগে পরে ইলিশের মূল প্রজননকালে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে। ইতোপূর্বে এ মেয়াদ ১১দিন থাকলেও গত বছর থেকে তা ২২দিনে উন্নীত করা হয়েছে। মূল প্রজনন সময়টিতে ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা সহ জাটকা আহরণী অনেকটা বন্ধের ফলে দেশে গত এক যুগে এ মাছের উৎপাদন ও সহনীয় আহরন দ্বিগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি ২০১৫-১৬অর্থ বছরে দেশে ইলিশের উৎপাদন ৪লাখ টনে উন্নীত হলেও গত অর্থ বছরে তা প্রায় ৫লাখ টনের কাছে পৌঁছে বলে মৎস অধিদফতরের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে। আশ্বিনের বড় পূর্ণিমার আগে থেকেই মা ইলিশের দল ঝাকে-ঝাকে সাগর মোহনা সহ ভাটি মেঘনার ভোলা ও ল²ীপুর জেলার মধ্যবর্তী ঢালচর, মনপুরা, মৌলভীর চর, কালির চর ও পটুয়াখালীর আন্ধারমানিক নদী এলাকার প্রায় ৭হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ছুটে এসে ডিম ছেড়ে থাকে। ফলে ইলিশের মূল প্রজনন ক্ষেত্র, উপক‚লের ওই ৭হাজার বর্গ কিলোমাটার এলাকায় আজ মধ্যরাত থেকে ২২দিন সব ধরনের সব ধরনের মৎস আহরনই বন্ধ থাকবে। এসময়টিতে নৌ পুলিশের পাশাপাশি কোষ্টগার্ড, নৌ বাহিনী ও র্যাব যার যার অবস্থান থেকে বিষয়টির প্রতি সতর্ক নজরদারী চালাবে। উপক‚লের বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের সহায়তায় মৎস বিভাগ অভিযান পরিচালনা সহ ভ্রাম্যমান আদালতও পরিচালনা করবে।
তবে ২২দিন সাড়ে ৩লাখ বেকার জেলেদের অন্ন সংস্থানে মৎস অধিদফতর থেকে ৪০কেজি করে চাল প্রদানে ইতোমধ্যে সরকারের কাছে আবেদন জানান হয়েছে। এ প্রস্তাবনা মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠান হয়েছে। তবে এখনো বরাদ্ধনা মেলায় জেলেরা কবে সে চাল পাবেন তা নিশ্চিত করতে পারেননি মৎস অধিদফতরের দায়িত্বশীল মহল। মৎস অধিদফতরের মতে, দেশের ৪০টি জেলার ১৪৫টি উপজেলার দেড় হাজার ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে ৪লাখ জেলে পরিবার ইলিশ আহরণের সাথে জড়িত। যার ৩২% সার্বক্ষনিক ও ৬৮% খন্ডকালীন এ পেশার সাথে সম্পৃক্ত। এছাড়াও ইলিশ বিপণন পরিবহন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, জাল ও নৌকা তৈরী এবং মেরামত কাজেও আরো ২০Ñ২৫লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। দেশের ৬টি বিভাগের মধ্যে শুধুমাত্র বরিশাল বিভাগেই প্রায় দেড় লাখ জেলে এ পেশার সাথে জড়িত বলে মৎস অধিদফতর জানিয়েছে। যার ৬৫% সার্বক্ষনিকভাবে ইলিশ আহরণে জড়িত বলে মৎস অধিদফতরের এক জরিপে বলা হয়েছে।
মৎস অধিদফ্তরের মতে, প্রকৃতিক প্রজনন সাফল্য নিরুপন সমিক্ষায় ২০০৮, ২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৩ ও ২০১৪সালে যথাক্রমে ৩৮.৭২%, ১৭.৬২%, ৩৩.৬৯%, ৩৬.২৭%, ৩৫.৭৯% , ৪১.০২% ও ৩৮.৭৯% প্রজননোত্তর ইলিশ পাওয়া যায়। যা বিগত বছরগুলোর তুলনায় যথেষ্ঠ আশাব্যঞ্জক বলে জানা গেছে। মৎস বিজ্ঞানীদের মতে, ২০১৪সালের প্রজনন মওসুমে ১১দিন আহরণ নিষিদ্ধ থাকায় প্রায় ১.৬৩ কোটি ইলিশ আহরন থেকে রক্ষা পায়। আহরণ রহিত এসব মা ইলিশ থেকে ৪লাখ ১৭হাজার ৭৬৫ কেজি ডিম প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত হয়েছে। উৎপাদিত এসব ডিমের ৫০ভাগ পরিস্ফুটন ধরা হলেও দেশে ২লাখ ৬১হাজার ১০কোটি রেনু উৎপাদিত হয়। যার শতকরা ১০ভাগ বেঁচে থাকলেও ২৬হাজার ১শ’ কোটি জাটকা নতুন ইলিশ প্রজন্মে যুক্ত হয়।
মৎস বিজ্ঞানীদর মত, সারা বিশ্ব আহরিত ইলিশর ৫০Ñ৬০%বাংলাদশ উৎপাদিত হছ। মায়নমার ২০Ñ২৫% এবং অবশিষ্ট ১০-১৫% ভারত আহরিত হয় থাক। আমাদর জাতীয় অর্থনীতিত ইলিশর একক অবদান ১%-এরও বশী। মৎস সম্পদ একক প্রজাতি হিসব এর অবদান প্রায় ১২Ñ১৩%। এমনকি সারা বিশ্ব যখান ইলিশর উৎপাদন ক্রমশ হৃাস পাছ, সখান বাংলাদশ এখন তা গড় ৫% স¤প্রসারিত হছ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।