অসময়েই মৌসুমি বায়ু জোরদার বন্দরে সঙ্কেত বহাল : স›দ্বীপে ১৭৯ মিমি বৃষ্টিপাত
বিশেষ সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম ব্যুরো
এখন মাঝ-আশ্বিন। অর্থাৎ ঋতুচক্রের হিসাবে শরৎ শেষপ্রান্তে। অথচ অসময়েই বর্ষারোহী মৌসুমি বায়ুমালা আরো সক্রিয় এমনকি জোরদার হয়ে উঠেছে। সক্রিয় মৌসুমি বায়ু এবং একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বিরাজমান গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার প্রভাবে গতকাল (শুক্রবার) সারাদেশেই বর্ষণ হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের অনেক জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণে আবহাওয়া বর্ষার রূপ নেয়। আজও (শনিবার) ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। মৌসুমী বায়ুর কারণে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস এবং বিক্ষিপ্তভাবে অতি ভারী বর্ষণেরও সতর্কতা রয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রামের স›দ্বীপে ১৭৯ মিলিমিটার। এ সময় ঢাকায় ১০৭ মিমি, সিলেটে ৫৩ মিমি, ময়মনসিংহে ৩৩ মিমি, রাজশাহীতে ১৭ মিমি, রংপুরে ৬ মিমি, খুলনায় ১৭ মিমি, বরিশালে ৩৫ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিপাতের ফলে ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নেমে আসে ২৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
এদিকে আবহাওয়া বিভাগ জানায়, মৌসুমী বায়ুর একটি বলয় তৈরি হয়ে আছে ভারতের উত্তর-প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ মধ্যাঞ্চল অতিক্রম করে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে জোরদার অবস্থায় বিরাজ করছে।
আজ শনিবার ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা এক থেকে ২ ডিগ্রি সে. হ্রাস পেতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। এর পরবর্তী ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে।
এদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরী অব্যাহত রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩নং স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।