পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
পরিচালনা বোর্ড সদস্যদের সেচ্ছাচারিতা, অব্যবস্থাপনার আর অদক্ষতার কারণে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে ব্যাংকিং খাতে। একই সঙ্গে অনিয়ম দুর্নীতির সঙ্গে বাড়ছে এ খাতে মন্দ ঋণের পরিমাণ। এসব নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য কোনো উদ্যোগ না নিয়ে উল্টো পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ কমিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে আর্থিক খাতে ঝুঁকি বাড়ছে।
জেনেভা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডবিøউইএফ) প্রকাশিত ‘গেøাবাল কম্পিটিটিভনেস রিপোর্ট ২০১৭-১৮’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ডবিøউইএফ-এর পক্ষে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫১ শতাংশ ব্যবসায়ী মনে করেন ২০১৬ সালে ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্যবেক্ষণ ও পরিদর্শন কমানো হয়েছে। প্রতিবেদন প্রকাশকালে সিপিডির পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশে বেশ কিছু সূচকের উন্নতি হলেও আর্থিক খাতের তেমন অগ্রগতি হয়নি। বিশেষ করে ব্যাংকিং খাতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বড় আকারের মন্দ ঋণ আদায় হচ্ছে না। ব্যাংকের বোর্ডকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। বড় বড় কোম্পানির কাছে ঋণ কেন্দ্রভূত হচ্ছে। টেকসই উন্নয়নের করতে হলে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি আর্থিক খাতেরও শৃঙ্খলা আনতে হবে। আর্থিক খাতে বাংলাদেশ একধাপ উন্নতি হয়ে ৯৮তম স্থানে অবস্থান করছে। তবে এতে আশানুরূপ হওয়া কোনো কারণ নেই। কারণ এক সময় আর্থিক খাতে শৃঙ্খলার দিক থেকে আমাদের অবস্থান ৭০ এর নিচে ছিল। দেশের আর্থিক খাত একটি জায়গায় এসে আটকে গেছে উল্লেখ করে সিপিডি জানায়, এ জন্য ব্যবস্থাপনা নীতি ও এখাতের সচ্ছতা বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে উন্নতি করতে হবে।
২০১৬ সালে বিদ্যুৎ, রেল, সড়কসহ বেশকিছু খাতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু নৌ বন্দরে তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। ফলে পণ্য আমদানি ও রফতানির ক্ষেত্রে সময় বেশি লাগছে। তাই নৌ বন্দরের উন্নয়ন জরুরি।
প্রতিবেদনের আরও বলা হয়, মানব সম্পদ উন্নয়নে তেমন অগ্রগতি হয়নি। শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়লেও প্রাথমিক খাতে তেমন উন্নতি হয়নি। একই সঙ্গে ব্যবসায় শিক্ষা, গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞাতা কম বলে জানানো হয়। এছাড়া অনলাইনে অর্থ আয়ের সক্ষমতাও কম।
এ সময় বৈশিক পর্যায়ে অর্থনীতিকে নিতে হলে আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, উচ্চশিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে দক্ষতা বাড়ানোসহ শ্রম বাজারের উন্নয়ন প্রয়োজন। বর্তমানে বৈষয়িক ব্যবসায় ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় হুমকি জঙ্গি ও সাইবার অ্যাটাক। এ বিষয়ে দক্ষতা বাড়াতে হবে।
প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। এ সময় সিপিডির সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনসহ সংস্থার অন্য গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।