পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোটার : গতকাল ছিল হিজরী নববর্ষ ১৪৩৯। এ উপলক্ষ্যে আহলে সুন্নাতওয়াল জামা’য়াত ধারার সংগঠনগুলো আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিলের কর্মসূচি পালন করেছে। দাওয়াতে ইসলামীর মাদানী মারকায, ফয়যানে মদীনা, জনপথ মোড়, সায়েদাবাদ ঢাকায়, হিজরী নববর্ষ ১৪৩৯ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও নাত মাহফিল, ঢাকা বিভাগীয় দাওয়াতে ইসলামী’র নিগরান (সভাপতি) জনাব মোহাম্মদ সেলিম আত্তারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিধি ছিলেন দাওয়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এর সভাপতি মুফতি জহিরুল ইসলাম মুজাদ্দেদি। আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেন, ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। একজন মানুষের ব্যক্তি, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রিয়সহ সর্বক্ষেত্রে ইসলামের সংস্কৃতির চর্চা একান্ত কর্তব্য। আমরা যেন নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাতকেই একমাত্র ইবাতদ মনে না করি, বরং মুসলমানের জীবনের প্রতিটি মূহুর্ত-ই ইবাদতের মধ্যে শামিল করতে হবে, আর তা সম্ভব হবে একমাত্র হুজুর সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদর্শ বা সুন্নাহ অনুসরণের মাধ্যমে। হিজরী নববর্ষ ও ইসলামী সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ তাই সকল মুসলমানের উচিৎ হিজরী নববর্ষ উদযাপন ও প্রচলন করা। বক্তাগণ আরো বলেন, মুসলমানদের অধপতনের একমাত্র কারন হচ্ছে হুজুর সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদর্শ বা সুন্নাহ অনুসরণ না করা। তাই আমাদের সকলেই হুযুর সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদর্শকে অনুসরণ করতে হবে। দাওয়াতে ইসলামী বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২০০টির অধিক দেশে হুযুর সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদর্শ বা সুন্নাহ প্রচার করে যাচ্ছে। তাই সকলকে দাওয়াতে ইসলামীর সাথে মিশে দ্বীনের এই দাওয়াতকে সর্বত্র পৌছে দেয়ার আহŸবান জানান। আলোচনা শেষে মিলাদ-কিয়াম ও দেশ-জাতি, মুসলিম উম্মার কল্যাণ ও নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলমানদের হেফাজত ও তাদের জন্মভুমির অধিকার ফিরে পাওয়ার অকুতি জানিয়ে বিশেষ দোয়া করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।