Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেড়েছে সবজি ও কাঁচা মরিচের দাম

| প্রকাশের সময় : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : রাজধানীর কাঁচাবাজারে সরবরাহ বাড়লেও কমেনি সবজির দাম। উল্টো বেড়েছে কাঁচামরিচ, শিম, গাজরসহ অন্যান্য সবজির দাম। এখনও ৫০ টাকা কেজি দরের নিচে পাওয়া যাচ্ছে না কোনো সবজি। পটল, ঝিঙা, করলা, ঢেঁড়স, ধুন্দল, বেগুনসহ সব সবজিই বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকার ওপরে।
বাজারে শীতের আগাম সবজি হিসেবে এসেছে বাঁধাকপি। তবে দাম বেশ চড়া। ছোট আকারের প্রতিপিচ বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। গতকাল শুক্রবার যাত্রাবাড়ি ও সায়দাবাদ অঞ্চলের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। মৌসুম শুরু না হলেও শীতের বেশ কিছু সবজি ইতোমধ্যে বাজারে চলে এসেছে। কিন্তু পাইকারদের কাছ থেকে সব সবজিই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই আগের সপ্তাহের মতই চড়া দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
গত সপ্তাহের তুলনায় দাম বাড়ার তালিকার শীর্ষে রয়েছে শিম। প্রতি কেজি শিমের দাম বেড়ে আজ (শুক্রবার) বিক্রি হয়েছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা দরে। যা আগের সপ্তাহে ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। আর কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে হয়েছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে যা ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা।
তবে দাম কিছুটা কমেছে ঢেঁড়সের। এ সবজিটি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি। যা আগের সপ্তাহে ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। আগের সপ্তাহের মতোই ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে শশা। তবে গাজরের দাম ৮০ টাকা থেকে বেড়ে ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকা হয়েছে।
আগের সপ্তাহের মতোই বাজার ও মান ভেদে প্রতিকেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে। ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে।
এ ছাড়া আগের সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে করলা, বেগুন, বরবটি, টমেটো। করলা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন ও বরবটি। ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে টমেটো। তবে ছোট করলা দাম কিছুটা বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।
এদিকে আগের সপ্তাহের মতোই এ সপ্তাহে অনেকটা স্থিতিশীল রয়েছে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে। আমদানি করা রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকা, আর দেশি রসুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে।
তবে অপরিবর্তিত রয়েছে গরুর মাংসের দাম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। খাসির মাংস ৭০০ থেকে সাড়ে ৭০০ টাকা এবং সাদা বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে। আর প্রতিকেজি লাল মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা দরে।
যাত্রাবাড়ি কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আনোয়ার বলেন, দাম সহসা কমার সম্ভাবনা নেই। শীতের সবজি বাজারে পুরোপুরিভাবে না আসা পর্যন্ত চড়া দামই অব্যাহত থাকবে।
ধলপুর বজারে কথা হয় গৃহিনী ময়না বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে আধাকেজি শিম কিনেছিলাম ৪০ টাকা দিয়ে। আজ একপোয়া (২৫০ গ্রাম) শিম কিনেছি ৩৫ টাকা দিয়ে। অর্থাৎ এককেজি শিমের দাম ১৪০ টাকা। আর পটল, ঝিঙে কোনো কিছুই ৬০ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে না। বাজারে চালের দামও চড়া। সবকিছুর দাম এমন হলে আমাদের মত নিম্ন আয়ের মানুষের তিনবেলা খাওয়ায়ই দুরূহ হয়ে পড়বে বলে তিনি মন্তব্য করেন।#####

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ