পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে (বুধবার) দেশের উভয় শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৬৩ পয়েন্ট। এ ছাড়া অপর শেয়ার বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স কমেছে ১৩৩ পয়েন্ট। সেই সঙ্গে উভয় বাজারে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও।
এর আগে টানা দুই কার্যদিবস (সোমবার ও মঙ্গলবার) ডিএসইতে লেনদেন হওয়া সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হলেও ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলোর কল্যাণে মূল্যসূচকের বড় পতন হয়নি। তবে বুধবার এ খাতের প্রতিষ্ঠানেরও দরপতন হওয়ায় মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে।
গত কয়েকদিনের মতো এদিনও লেনদেনের ক্ষেত্রে আধিপত্য বিস্তার করে ব্যাংক খাত। তবে দর বৃদ্ধির আধিপত্য থেকে সরে এসে আজ ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোও দরপতনের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ২০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১৫টি। আর শীর্ষ দশ কোম্পানির তালিকায় রয়েছে ৭টি। আপরদিকে দাম কমার দিক থেকে শীর্ষে থাকা ১০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ব্যাংক রয়েছে ৫টি।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, বুধবার ডিএসইতে দরপতনের মাধ্যমে লেনদেনের শুরু হয়। প্রথম পাঁচ মিনিটে ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট কমে যায়। এরপর সূচক কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হয়ে বেলা ১১টায় ডিএসইএক্স ২০ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়। তবে সূচকের এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বেশিক্ষণ স্থায়ী থাকেনি।
বেলা ১১টার পর থেকে ক্রমেই নিম্নমুখী হতে থাকে সূচক। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকায় ডিএসইর তিনটি সূচকেরই বড় পতন ঘটে।
দিনের লেনদেন শেষে এদিন ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬৩ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১৭২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুটি সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৯৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৬৬ পয়েন্টে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২০৬টি বা ৬২ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে। অপরদিকে দাম বেড়েছে ৮৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির দাম।
ডিএসইতে আজ মোট ১ হাজার ৮২ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৫০৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিট। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৪২৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে গতকাল ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংকের শেয়ার। এদিন কোম্পানিটির মোট ৬৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সামিট পাওয়ারের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকার। আর ৩৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে আইএফআইসি ব্যাংক। লেনদেনে এরপর রয়েছে- এক্সিম ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, কেপিসিএল, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইফাদ অটোস, সিটি ব্যাংক এবং উত্তরা ব্যাংক।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আজ সিএসসিএক্স সূচক ১৩৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৫৭৯ পয়েন্টে। এদিন বাজারটিতে মোট ৫১ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয় ৭৮ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিট। সে হিসাবে বুধবার লেনদেন কমেছে ২৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
সিএসইতে আজ লেনদেন হওয়া ২৪১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে আগের দিনের তুলনায় দাম বেড়েছে ৭০টির। অপরদিকে কমেছে ১৪৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির দাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।