পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে কোনো সাহায্য পাওয়ার আশা করছেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের ঢল নিয়ে সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা হয়েছে তার। শরণার্থীদের তিনি কীভাবে দেখেন, তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন। ফলে তার কাছ থেকে সাহায্য পাওয়ার আশা করছেন না শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জাতিসংঘের সংস্কার বিষয়ে বৈঠক শেষে ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন বের হচ্ছিলেন, তখন কয়েক মিনিটের জন্য তাকে থামান তিনি। ট্রাম্প জানতে চান, ‘বাংলাদেশ কেমন আছে?’ আমি বলি, খুবই ভালো। কিন্তু একটিমাত্র সমস্যা আছে, তা হলো- মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থী। কিন্তু শরণার্থী নিয়ে তিনি কোনো কথা বলেননি।’
সোমবার ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন বাংলাদেশ সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা।
গত ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের নামে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা শুরু করলে প্রতিদিন হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। জাতিসংঘের হিসামতে, এ পর্যন্ত প্রায় ৪ লাখ ১০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। নিহত হয়েছে সহস্রাধিক রোহিঙ্গা। মিয়ানামরের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নতুন করে দেশটির সেনাবাহিনীর তাণ্ডব চালানোর খবর পাওয়া যাচ্ছে। জাতিসংঘের দৃষ্টিতে, মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ‘জাতিগত নিধন’ চালাচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে শেখ হাসিনা বলেছেন, শরণার্থীদের নিয়ে ট্রাম্পের অবস্থান পরিষ্কার। ফলে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিষয়ে তার কাছে সাহায্য চাওয়া ঠিক হবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ইতিমধ্যে আমেরিকা ঘোষণা দিয়েছে, তারা আর শরণার্থী গ্রহণ করবে না। আমি তাদের কাছ থেকে কী আশা করতে পারি, বিশেষ করে প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে। এরই মধ্যে তিনি তার মনের কথা বলে দিয়েছেন... সুতরাং আমি কেন সাহায্য চাইব?’
নিজেদের সক্ষমতার প্রসঙ্গে দৃঢ়তার সঙ্গে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ধনী দেশ নয়... কিন্তু আমরা যদি ১৬ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারি, তাহলে আরো ৫-৭ লাখকে পারব।’
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলাপের বিষয়ে কিছু জানেন না দাবি করে হোয়াইট হাউসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘এ বিষয়ে ট্রাম্প খুবই আগ্রহী। তার সামনে যদি বিষয়টি তোলা হয়, তাহলে অবশ্যই তিনি এতে যুক্ত হবেন।’
সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর আরো বেশি আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করতে হবে। রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান তাদের দেশে ফেরার মধ্যেই।
মিয়ানমারের ডিফ্যাক্টো সরকারপ্রধান অং সান সু চির অবস্থান বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘তাকে মানতে হবে, এসব মানুষ তার দেশের এবং মিয়ানমার তাদের দেশ। তাদের ফিরে যেতে দিতে হবে।’ তিনি আরো যুক্ত করেন, ‘এসব মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।