পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে যোগদানের উদ্দেশে আবুধাবি থেকে নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী ইতিহাদ এয়ারওয়েজের বিমানটি নিউইয়র্কের জনএফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে স্থানীয় সময় বিকাল ৪ টা ৩৫ মিনিটে পৌঁছায়। এর আগে গত শনিবার বিকালে নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন শেখ হাসিনা।
এ সময় যুক্তরাষ্ট্রে নিয়োজিত বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত এম জিয়াউদ্দিন এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পররাষ্ট্রীমন্ত্রী এএইচএম মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে বিমান বন্দরে অভ্যর্থনা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ সেপ্টেম্বর বিকালে জাতিসংঘের ৭২তম সাধারণ সভায় ভাষণ দেবেন। একই দিন তিনি জাতিসংঘের মহাসচিব এন্তোনিয় গুতেরেসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে করবেন। গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আয়োজনে জাতিসংঘ সংস্কার বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে যোগ দেন। এছাড়া তিনি একই দিন জাতিসংঘ সদরদপ্তরে যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ ও অপব্যবহার বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে যোগ দেন।
গতকাল বিকালে কনবেনি কনফারেন্স সেন্টারে ‘গেøাবাল ডিল ফর ডিসেন্ট ওয়ার্ক অ্যান্ড ইনক্লুসিভ গ্রোথ’ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের এক ফলোআপ বৈঠকে যোগ দেন। এর আগে শেখ হাসিনা ভূটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টবগের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। তিনি আজ মঙ্গলবার অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিব আয়োজিত মধ্যাহ্ন ভোজে যোগ দেবেন।
এর আগে তিনি ‘উইমেন্স ইকোনমিক এমপাওয়ারমেন্ট ফর লিভিং নো ওয়ান বিহাইন্ড’-এর ওপর জাতিসংঘ মহাসচিবের উচ্চ পর্যায়ের প্যানেলের সঙ্গে এক গোল টেবিল বৈঠকে অংশ নেবেন।
প্রধানমন্ত্রী অপরাহ্নে জাতিসংঘ সদর দফতরে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ওআইসি কনটাক্ট গ্রæপের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেবেন। পরে মৌরিসাসের প্রধানমন্ত্রী প্রভিন্দ কুমার জুগনাউথের সঙ্গে তার দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক করবেন।
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে ও কমনওয়েলথের বর্তমান চেয়ার-ইন অফিস মাল্টার প্রধানমন্ত্রী ড. জোসেফ মাসকেট আয়োজিত কমনওয়েলথ রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের দেয়া সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।
শেখ হাসিনা সন্ধ্যায় ম্যাডিসন অ্যাভিনিউয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আয়োজিত শুভেচ্ছা সংবর্ধনায় অংশ নেবেন। পরে তিনি নিউইয়র্কের ম্যারিয়ট স্কয়ারে প্রবাসী বাংলাদেশীদের আয়োজিত সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল বুধবার ইউএনএইচকিউ-তে পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধকরণের ওপর চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন। পরে ইউএনএইচকিউ-তে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট মিজ কেরস্তি কালজুলাইদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা রয়েছে।
পাশাপাশি শেখ হাসিনা ‘এসডিজি ইমপ্লিমেন্টেশন, ফাইন্যান্সিং অ্যান্ড মনিটরিং: শেয়ারিং ইনোভেশনস থ্রু সাউথ-সাউথ এবং ট্রাইয়াঙ্গুলার কো-অপারেশন’ শীষর্ক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ইউএনএইচকিউ-তে সাউথ সাউথ কো-অপারেশনের ওপর ইউএনডিপি এবং ইউএন অফিসের সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে।
পরে, প্রধানমন্ত্রী ‘ক্রিয়েটিং এ পলিসি ভিশন ফর এসডিজি ফাইন্যান্স: ফ্যাসিলিট্যাটিং প্রাইভেট সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট ইন দ্য এসডিজিস’ শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ইউএনএইচকিউ-তে ইউএনডিপির সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশ ও কানাডা অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বিজনেস কাউন্সিল ফর ইন্টারন্যাশনাল আন্ডারস্ট্যান্ডিং (বিসিআইইউ) আয়োজিত একটি গোলটেবিল মধ্যাহ্ন ভোজে যোগ দেবেন। পরে, শেখ হাসিনা উন্নয়নের জন্য সার্বিক অর্থায়ন বিষয়ক জাতিসংঘের মহাসচিবের বিশেষ দূত নেদারল্যান্ডের রানী ম্যাক্সিমার সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন।
প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী ইস্যুতে ইথিওপিয়া প্রতিনিধিদল আয়োজিত একটি উচ্চ পর্যায়ের উন্মুক্ত আলোচনায় যোগ দেবেন। শেখ হাসিনার সঙ্গে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের নির্বাহী চেয়ারম্যান প্রফেসর ক্লাউস স্কোওয়াব এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সদানন্দ ধুমির সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
২১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার হোটেলে ভার্জিনিয়ার আইবিএমের প্রেসিডেন্ট মেরি রোমেটি সাক্ষাত করবেন। এরপর কসোবোর প্রেসিডেন্ট হাসগিম থাচির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। পরে প্রধানমন্ত্রী ইউএনএইচকিউ-এ পানি বিষয়ক একটি উচ্চ পর্যায়ের প্যানেলের চতুর্থ বৈঠকে যোগ দেবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে তার জাতিসংঘ সফরের ওপর সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন।
শেখ হাসিনা ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক থেকে সড়কপথে ভার্জিনিয়ার উদ্দেশে রওয়ানা হবেন। ভার্জিনিয়ায় এক সপ্তাহ অবস্থানের পর তিনি ২৯ সেপ্টেম্বর দেশের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন। ২ অক্টোবর দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।
###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।