ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
দেশে একটা কথা ব্যাপকভাবে চালু হয়েছে। তা হচ্ছে, বিদ্যুতের খবর কি? গ্রাম-গঞ্জে থাকা আত্মীয় স্বজনরা প্রায়ই ফোন করে এ কথা বলেন। কারণ, অনেকদিন যাবতই মফস্বলে বিদ্যুৎ তেমন থাকে না। অবশ্য ঢাকা তা থেকে কিছু ব্যতিক্রম। তবে, একেবারেই নিরবচ্ছিন্ন নয়। দিনে-রাতে কয়েকবার করে যায়। আর ভোল্টেজ কম-বেশি যখন তখনই হয়। ফলে বিভিন্ন কাজে খুবই ব্যাঘাত ঘটে। সরকার বলছেন দেশের ৮০% মানুষ বিদ্যুতের সুবিধা পেয়েছে। কিন্তু ডয়চে ভেলের খবরে প্রকাশ, এবছরের জুন মাস পর্যন্ত বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা ২.৪৯ কোটি দাবি করা হয়, ‘দেশের ৮০% মানুষ বিদ্যুতের সুবিধার আওতায়। তাদের সকলকে বিদ্যুৎ দিতে ১০.৫-১১ হাজার মেগাওয়াট প্রয়োজন। কিন্তু তা উৎপাদন হচ্ছে না। তাই বিদ্যুৎ পাওয়ার সংখ্যা ৬৫ ভাগের বেশি হবে না’ রিনিউয়েবলস গেøাবাল স্ট্যাটাস রিপোর্ট› ২০১৭ অনুযায়ী ‘বাংলাদেশের ৬ কোটি মানুষ এখনো বিদ্যুৎ সুবিধার বাইরে রয়েছে। তবে, বিশ্বে সৌরশক্তি ব্যবহারকারী দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। বিশ্বে ৬০ লাখ সৌর প্যানেলের মধ্যে বাংলাদেশেই রয়েছে প্রায় ৪০ লাখ। এছাড়া ক্লিন স্টোভ ও বায়োগ্যাস ব্যবহারেও সামনের দিকে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারে বাংলাদেশ ৫ম’। ইডকল এর তথ্য মতে ‘সারাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে দুই কোটি মানুষ সৌরবিদ্যুৎ পাচ্ছে, যা মোট জনসংখ্যার ১২%’। সরকার বিদ্যুতের চাহিদা পূরণকল্পে ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার, ২০৩০ সালের মধ্যে৪০ হাজার আর ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছে এবং ২০২১ সালের মধ্যে সবার কাছে বিদ্যুৎ দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। কিন্তু এখন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলছেন,’ না এই সময়ের মধ্যে টার্গেট পূরণ হবে না, আরো সময় লাগবে। বড় প্লান্টগুলোবাস্তবায়নে ঝামেলা হচ্ছে’। সৌর বিদ্যুতের ক্ষেত্রেও তাই। ২০২০ সাল নাগাদ টার্গেট করা হয়েছে ২ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদনের। তা হচ্ছে না সোলার আইপিপি নির্মাণের জন্য গত এপ্রিল ১৭ পর্যন্ত ৭৯টি প্রস্তাবের কোনটিরই তেমন অগ্রগতি নেই! তাই অযাচিত প্রকল্প গ্রহণ বাতিল করা হয়েছে। ইরান বেতারে প্রকাশ, সরকারি মতে ২০১৬ সালেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ১৫ হাজার মেগাওয়াট। আর এর বিপরীতে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছে ৯,২০০ মেগাওয়াট। বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ঘাটতি দুই হাজার মেগাওয়াটের বেশি।ফলে এই পরিমাণ লোডশেডিং হচ্ছে। গ্রামাঞ্চল ও মফস্বল শহরে লোডশেডিং হচ্ছে প্রায় ১০ ঘণ্টা করে’’। গ্যাস সংকট,প্লান্ট সংস্কার ইত্যাদি কারণে সক্ষমতার সব উৎপাদন হচ্ছে না। সম্ভবত বর্তমানে মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ৫১% বেসরকারী খাতের। অর্থাৎ সরকারের উৎপাদনের পরিমান চার হাজার মেগাওয়াটের মতো। অথচ এই পরিমান উৎপাদন তো গত সরকারের আমলেও ছিল। তাহলে এই সরকারের আমলে সরকারী উৎপাদন বেড়েছে কোথায়? অবশ্য সক্ষমতা বেড়েছে। কিন্তু তার আউটপুট পাওয়া না গেলে লাভ কি? দ্বিতীয়ত: ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে। কিন্তু এতেও লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি! কারণ, এর ক্রয়মূল্য ১২-১৪ টাকা প্রতি ইউনিট। আর বিক্রয় মূল্য অনেক কম। ফলে ভর্তূকি দিতে হচ্ছে বিপুল। যেমন: ‘জুলাই,০৮ থেকে ডিসেম্বর ১৬ পর্যন্ত ৯৩৭.৮৯ বিলিয়ন টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে সংশ্লিষ্ট কোম্পানীগুলোকে’। আর বিআইডিএসের হিসেব মতে, ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ ক্রয়ের কারণে এক লাখ কোটি টাকার অর্থপ্রবাহ বেড়েছে। এসব তথ্য মতেই লাভের চেয়ে লোকসান ১০গুণ বেশি, যা ভর্তুকী দেয়া হয়। আর এ জন্যই এই কয়েক বছরে মূল্য বাড়ানো হয়েছে সাতবার, যার শিকার হয়েছে সাধারণ মানুষ! তবুও পুনরায় মূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও করতে হবে! তাই বিশেষজ্ঞগন ভাড়া ভিত্তিক বিদ্যুৎ ক্রয়ের শুরু থেকেই প্রচন্ড বিরোধীতা করছেন। তবুও এটা বন্ধ করা হয়নি, বরং মেয়াদ আরো তিন বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এক সেমিনারে অধ্যাপক তামিম বলেছেন,’ দেশের জ্বালানি খাতে কর্মরত মধ্যম থেকে শুরু করে শীর্ষ পরিচালকদেরও টেকনিক্যাল যোগ্যতা খুবই নিম্নমানের। এটা একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানবসম্পদ তার কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার দিক থেকে পিছিয়ে থাকলে কখনোই তারা লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে না’। প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেছেন, ‘আমাদের জ্বালানি সংকট আছে, খরচও একটু বেশি। কারণ আমাদের বিদ্যুৎ এখনো গ্যাসনির্ভর। বর্তমানে প্রায় ৫০% বিদ্যুৎ কেন্দ্র গ্যাসে চলে। আর গ্যাসের সংকট তো আছেই। ফলে বিদ্যুৎতে গ্যাস সরবরাহ করতে গেলে অন্যদিক সংকটে পড়ে। দুটির মধ্যে সমন্বয় করতে গিয়ে সিস্টেম লসে পড়তে হয়। তবে বর্তমানে সিস্টেম লস ৩৫% থেকে নেমে ১০% এসেছে। আগামী বছর গ্যাসের উৎপাদন আরো ৪০% বাড়বে। ফলে বিদ্যুতের সিস্টেম লস সিঙ্গেল ডিজিটে নেমে আসবে। ভারত থেকে ইতোমধ্যে ১,১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়েছে। জ্বালানি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বক্তব্য, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে ভারত যতটা উন্নতি করেছে আমরা ততটা করতে পারিনি। ভারতে এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে তিন টাকা খরচ হয়। আর আমাদের ১৭ টাকা। আশা করি আমাদের গবেষকরা এ সমস্যাগুলোর সমাধান করবেন’। বিদ্যুৎ খাতের আরো কিছু খবর হচ্ছে, পাবনার রূপপুরের পরমান বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানিবর্জ্য রাশিয়া ফেরত নিবে বলে চুক্তি হয়েছে। ফলে এ নিয়ে দু:শ্চিন্তা দূর হয়েছে ।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দেশের জ্বালানি খাতের মূল চালিকাশক্তি হবে জাতীয় সংস্থা, দেশীয় প্রতিষ্ঠান ও জন-উদ্যোগ। ২০৪১ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে সরকার ১২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের যে পরিকল্পনা নিয়েছে, তার বিপরীতে ১১০ বিলিয়নমার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে টার্গেট থেকে অনেক বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। বিদ্যুতের দামও সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ১২.৭৯ টাকার বিপরীতে ৫.১০ টাকায় আনা সম্ভব’। অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ ভাষায়, ‘জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, আমরা কখনো দ্বিমত করিনি যে আমাদের বিদ্যুৎ প্রয়োজন নেই। কিন্তু এটা দেখিয়ে সুন্দরবন বিনাশী রামপাল কয়লা প্রকল্পের প্রয়োজন নেই। সরকার যেভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায়, এটা হলে দেশ ঋণের শৃঙ্খল ও আধিপত্যের মধ্যে পড়বে, পানি-মাটি-পরিবেশ বিপর্যস্ত হবে। এ থেকে বেরিয়ে আসতেই জাতীয় কমিটি বিকল্প প্রস্তাব করছে’। তার মতে, ‘শুধু এলএনজি আমদানির কথা বলা হচ্ছে। এর ফলে গ্যাসের ও বিদ্যুতের দাম বাড়বে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির কথাও সরকার বলে। বিদেশে এ নিয়ে ঢাকঢোল পেটানো হচ্ছে। কিন্তু দেশে এর কোনো অগ্রগতি নেই। অথচ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ পরিবেশ বিনাশী পথ বাতিল করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নির্ভরতার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। অথচ আমরা এসব চিন্তা করছি না। তাই দেশের সৌর-বায়ু-বর্জ্যরে ব্যবহার বাড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে’।
সরকারের মহাপরিকল্পনা, ১৬ অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের টার্গেট করা হয়েছে। যেখানে আমদানি ও নিজস্ব গ্যাসে ৩৫%, আমদানিকৃত কয়লায় ৩৫%, তেল, বিদ্যুৎ আমদানি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে ৩০%। এ ব্যাপারে অধ্যাপক তামিম বলেন, অনেক কিছু সমন্বয় করেই এ মহাপরিকল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু সরকার এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে অগ্রসর হতে পারছে না। অনেক দিন ধরে আমরা আমদানি করা কয়লা নিয়ে কথা বলছি।কিন্তু আমাদের কোনো কয়লা আমদানির ইয়ার্ড নেই। তাহলে কয়লা আমদানি করব কিভাবে? ফলে যেভাবে বলা হচ্ছে ২০১৮, ২০২০ ও ২০২১ সালের মধ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আসবে, এটি নিয়ে আমাদের সন্দেহ হয়। উপরন্তু রূপপুর পরমাণুবিদ্যুৎ কেন্দ্র ২০২৪ সালে উৎপাদনে আসবে বলা হচ্ছে। কিন্তু এই সময়ে হবে কি না সন্দেহ আছে। উল্লেখ্য, বিশেষজ্ঞরা জোর দিচ্ছেন আঞ্চলিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে। নেপাল, ভুটান থেকেও বিদ্যুৎ আনার সমঝোতা হয়েছে। ভারত বিদ্যুতের করিডোর দিতে প্রাথমিকভাবে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু স¤প্রতি ভারত আইন পরিবর্তন করে এখন নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ নেবে। আর ভারত থেকে নিবে বাংলাদেশ। কিন্তু এতে খরচ বাড়বে। অপরদিকে, ইউনেস্কোর প্রতিবেদন অনুযায়ী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে পুনরায় ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে।
বায়ূ মন্ডলের উঞ্চতা হ্রাস কল্পে জীবাস্ম জ্বালানী বন্ধ করে নবায়নকৃত জ্বালানীর দিকে গুরুত্ব দেয়ার জন্য প্যারিস জলবায়ূ চুক্তি,২০১৫ হয়েছে। তাই বিশ্ববাসী এদিকে ঝুঁকে পড়েছে। হয়তো স্বল্প সময়ের মধ্যেই এটা বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে। ইতোমধ্যেই চীন, শ্রীলংকা,ভারত, বৃটেন কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা বন্ধ করে দিয়েছে এবং চালুগুলো ২০৩০ সাল থেকে বন্ধ করে দেয়ার ঘোষনা দিয়েছে। উপরন্তু যুক্তরাজ্য,চীন ও ফ্রান্স ২০৩০ সাল থেকে গ্যাস ও তেল দিয়ে যানবাহন চালনা বন্ধ করার কথা বলছে। এখনই বিভিন্ন দেশে বিমান, গাড়ী, ট্রেন ইত্যাদি সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে চালানো শুরু হয়েছে। মরক্কো তার ১৫ হাজার মসজিদে সৌর প্রযুক্তি চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। দেশটির জ্বালানির ৯৫% আমদানীকৃত। তাই নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে ঝুঁকছে সর্বোপরি বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানীদের স¤প্রতি প্রণীত একটি রোডম্যাপে বলা হয়েছে ‘২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৭০% দেশের পুরো বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ হবে পানি, বায়ু ও সৌর উৎস থেকে। বড় অর্থনীতির দেশগুলো প্রাকৃতিক এসব উপাদানকে ব্যবহার করে বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণ করবে। এটা হলে বৈশ্বিক উষ্ণতার মারাত্মক ক্ষতি পূরণের পাশাপাশি প্রতি বছরে লাখ লাখ অকাল মৃত্যুৎও রোধ হবে। এছাড়া ঐ সময়ের মধ্যে যে পরিমাণ কর্মসংস্থান হারাবে তার চেয়ে আরও ২.৪০ কোটি কর্মসংস্থান তৈরি হবে। আমাদের দেশেও কিছু মসজিদে, নৌকায়, অফিস, বাড়ী, স্থাপনা ও রাস্তাঘাটে সৌর বিদ্যুৎ চালু করা হয়েছে। এই ব্যবস্থা দেশের সব প্রার্থণালয়, শিক্ষাঙ্গন, রাস্তাঘাট, হাটবাজার, বাসাবাড়ী, অফিস, আদালত, স্থাপনা ও পাহাড় তথা সর্বত্রই সৌরবিদ্যুৎ বাধ্যতামূলক করা আবশ্যক অবিলম্বেই। এছাড়া, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী প্রযুক্তি সর্বত্রই ব্যবহার, বিদেশীদের সংশ্লিষ্টতা ছাড়া আপাতত সর্বত্রই এসি বন্ধ করে দেয়া, ব্যাটারী চালিত রিক্সা বন্ধ, পুরানো ও কম ক্যাপাসিটির ট্রান্সমিটার ও পুরাতন লাইনগুলো পরিবর্তন, সব লাইন মাটির নীচ দিয়ে স্থাপন করা অপরিহার্য। এছাড়া, যথাশিগিগির সর্বত্রই ডিজিটাল মিটার ও প্রি-পেইড কার্ড চালু করা দরকার। সৌর প্লান্ট করতে অনেক জমির প্রয়োজন বলে অনেকের অভিমত। কিন্তু কিছুদিন আগে এক মাছ চাষী বিদেশী এক মিডিঁয়াকে বলেন, আমি মাছের ঘেরের উপরে খুটি গেড়ে সোলার প্যানেল লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি’। এই ব্যবস্থা সব মাছের ঘেরে, উপকুলে ও পাহাড়ে করা দরকার। এমনকি ফসলি জমির আইলেও খুটি গেড়ে সৌর প্যানেল স্থাপন করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। এতে ফসলের কোন ক্ষতি হবে না। উল্লেখ্য, আমাদের দেশে দিনের বেশিরভাই প্রখর সূর্যের আলো থাকে। তাই সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করা খুবই সহজ। সর্বপরি সৌর প্যানেল এখন দেশেই তৈরী হচ্ছে। মূল্যও কম। প্যানেল প্রতি ৭-৮ হাজার টাকা। তাই সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। এমনকি বায়ূ ও জৈব থেকেও প্রচুর বিদ্যুৎ উৎপাদন করার সুযোগ রয়েছে। তাই এসবেরও পূর্ণ সদ্ব্যবহার করা দরকার। অন্যদিকে, বিদ্যুতের যেসব প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, সেসব যথাসময়ে বাস্তবায়ন হওয়া জরুরী।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিষ্ট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।