পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের নিপীড়ক রাষ্ট্র মিয়ানমারের ঢাকার দূতাবাস ঘেরাওয়ে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল আটকে দিয়েছে পুলিশ।
আজ সোমবার দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটের দিকে মিছিলটি শান্তিনগর মোড়ে এলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। পরে পুলিশ সংগঠনটির ১০ সদস্যকে দূতাবাসে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে।
হেফাজতের ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা নূর হোসেন কাসেমির নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে আছেন- মাওলানা আজিজুল হক, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, মাওলানা আতাউল্লা প্রমুখ।
এর আগে দুপুর সোয়া ১২টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেট থেকে মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি নিয়ে যাত্রা শুরু করে হেফাজতে ইসলাম। তার আগে বেলা ১১টা থেকে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন হেফাজতের নেতাকর্মীরা। রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর গণহত্যার প্রতিবাদে মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি উপলক্ষে এ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা নূর হোসেন কাসেমির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন- হেফাজতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক, ঢাকা মহানগর নেতা মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফি, মাওলানা হামিদুল্লাহ, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, মাওলানা নুরুল ইসলাম, মাওলানা মজিবুর রহমান, মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, মাওলানা আহমদুল্লাহ কাশেমি, মাওলানা শেখ গোলাম আজগর প্রমুখ।
সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি দেখে যান আরাকান স্বাধীন করার জন্য লাখ লাখ মুসলমান প্রস্তুত রয়েছে। আর কোনো রোহিঙ্গার জীবন হুমকির মুখে পড়তে দেওয়া হবে না। অবিলম্বে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। আমরা আরাকানে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত। অস্ত্র দিন নইলে কূটনীতিক পদ্ধতিতে মিয়ানমারকে নির্যাতন বন্ধে বাধ্য করুন।
তাঁরা আরও বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকে মিয়ানমারে সামরিক জান্তাদের হাতে অনেক মুসলমানের রক্ত ঝরেছে। অনেক নির্যাতন চলেছে। এত দিনের নির্যাতন নিপীড়ন আর সহ্য করা হবে না। এখন সময় এসেছে প্রতিবাদের। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মুফতি, ওলামা মাশায়েখ ঐকমত্যে পৌঁছেছেন যে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জিহাদ ফরজ হয়ে গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।