সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : পার্শ্ববর্তী বাড়ীতে কাজ করতে যাবার সময় শোয়েলা (মূল নামের আরবী পরিভাষা) নামে ১৭ বছর বয়সী এক গরীব তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে মনোহরদী উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের এই গণধর্ষনের ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে। গত ৬ সেস্পেম্বর রাতে নরসিংদী জেলা শহরের পূর্ব ব্রাহ্মন্দী মহল্লায় শান্তি (ছদ্মনাম) নামে ১২ বছর বয়সী এক গরীব শিশুকে ধর্ষণের ১০ দিনের মাথায় এটি একটি বড় ধরণের গণধর্ষণের ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মনোহরদী উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের জনৈক দিনমুজুরের কন্যা এই শোয়েলা আশেপাশের বাড়ীতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় সে নিজ বাড়ী থেকে পাশ্ববর্তী বাড়ীতে কাজ করার জন্য রওয়ানা দেয়। বাড়ীর কয়েকশ’ গজ দূরে যাবার সাথে সাথে ধর্ষক জহিরুল হক, মনির হোসেন ও জাকির হোসেন তাকে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক পার্শ্ববর্তী সুমনের মুরগীর খামারের পাশে নিয়ে যায়। সেখানে ধর্ষকরা তাকে উলঙ্গ করে একের পর এক ধর্ষণ করতে থাকে। একাধারে দীর্ঘ ৩ ঘন্টা ধর্ষণ করার ফলে শোয়েলা মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত যখম হয়ে যায়। এ অবস্থায় ধর্ষকরা তাকে ফেলে চলে গেলে অনেক চেষ্টা করে ধর্ষিতা শোয়েলা পার্শ্ববতী এক চৌকিদারের বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। চৌকিদার বাড়ীর লোকজন তাকে তাৎক্ষণিকভাবে মনোহরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। পরে মনোহরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তারগণ শোয়েলার অবস্থা খারাপ দেখে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। ইতোমধ্যে খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গেলে ধর্ষিতা শোয়েলা ধর্ষকদের নাম পুলিশের কাছে প্রকাশ করে জানায় যে, ধর্ষকরা তাকে মুখ চেপে ধরে ঘটনাস্থলে নিয়ে ধর্ষণ করে। এদিকে পুলিশ রাতেই মূল ধর্ষক জহিরুল ইসলাম বুলবুলকে তার বাড়ী থেকে গ্রেফতার করেছে। এ ব্যাপারে মনোহরদী থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে।