Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তুরাগ নদীর ভাঙনে বিলীন সেতু ও বসতঘর

| প্রকাশের সময় : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সেলিম আহমেদ, সাভার থেকে : নদী ভরাট করে দখল ও বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে সাভারের তুরাগ নদীর ভাকুর্তা ইউনিয়ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর ফলে ওই এলাকায় একটি সংযোগ সেতুসহ প্রায় ২৮টি বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। গত এক সপ্তাহে পর্যায়ক্রমে নদীতে বিলীন হয়ে যায় বাড়িগুলো।
সাভারের বলিয়ারপুর-শ্যামলাসি সড়কে উপজেলা প্রকৌশলীর তত্ত¡াবধানে ৮০ ফুট দৈর্ঘের সেতুটি ২০০৫ সালে নির্মাণ করা হয়। সেতুটির মাধ্যমে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে সাভারের সঙ্গে যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ পথ ছিল। তবে গত বৃস্পতিবার সকালে বন্যার পানির তীব্র ¯্রােতে প্রথম দফায় তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে নদীর তীব্র ¯্রােতে ব্রিজের দুই পাশের মাটি সরে গিয়ে তুরাগ নদীতে তলিয়ে যায়। এ সেতুটি ধসে পড়ায় ভাকুর্তা ইউনিয়নের সঙ্গে ঢাকার কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ, দোহার ও মোহাম্মদপুরের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা চরম বিপাকে পড়েন। সেতুটি ধসে পরার পর থেকে ওই সড়কের প্রায় আধা কিলোমিটার জুড়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এদিকে নদী ভাঙন থেকে রক্ষার দাবিতে স্থানীয়রা নদী ও ভ‚মিদস্যুদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন। এলাকাবাসী অবিলম্বে তুরাগ নদে ভেঙে যাওয়া সেতুটি পুনঃনির্মাণ করে সড়ক যোগাযোগ সচল করার দাবি জানান। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. খলিলুর রহমান বলেন, বন্যায় ভাকুর্তায় কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে ও ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ও সড়ক মেরামত কাজ শীঘ্রই শুরু করা হবে। এলাকার মানুষের যাতায়াতর দুর্ভোগ লাঘব করতে বিশেষ বরাদ্দের মাধ্যমে দ্রæত রাস্তা-ঘাট মেরামত করা হবে। এদিকে একই ইউনিয়নের ঢাকা আরিচা মহাসড়কের তুরাগ বেইলি ব্রিজটিও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ব্রিজটি যে কোনো সময় ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করেছেন স্থানীয়রা।
ভাকুর্তা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, দিন দিন তুরাগ নদের পাড় দখল হয়ে যাচ্ছে। বালু উত্তোলনের ফলে নদী ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। নদীর চোরাই বালু দিয়ে ভরাট করে অনেকে হাউজিং করে প্লট বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তিনি ভেঙে যাওয়া সেতু ও সড়কটি দ্রæত নির্মাণের দাবি জানান।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ