ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
ঢাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
রাজধানী ঢাকাকে এখন শুধু মসজিদ বা রিকশার শহর নয়, বরং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শহরও বলা যেতে পারে। ঢাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো প্রতিটি স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অগণিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রতিদিনই অগণিত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্ম হচ্ছে। শিক্ষার মান খারাপ হওয়ার পেছনে এই অপরিকল্পিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই বেশি দায়ী।
ঢাকায় কয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে তার সঠিক তথ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় দিতে পারবে কি না, সে ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। আর এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ হয় একেবারে অপরিকল্পিতভাবে। অনেকে যোগ্যতা ছাড়াই শিক্ষক হচ্ছে। শিক্ষার মান কমে যাওয়ার এটাও অন্যতম কারণ। এরাই আবার ছাত্রদের কাছ থেকে প্রচুর টিউশন ফি নিচ্ছে। যাহোক, সরকারের প্রতি অনুরোধ, প্রতিটি জেলা–উপজেলায় চাহিদা ও প্রয়োজনের ওপর ভিত্তি করে যেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। কুশিক্ষা নয়, আমরা সুশিক্ষা চাই।
মো. নিজাম গাজী
ঢাকা।
ধর্ষণের দ্রুত বিচার
দেশে শিশু, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। সারা দেশেই নারীরা নানাভাবে নির্যাতিত ও ধর্ষিত হচ্ছেন। স¤প্রতি চলন্ত বাসে এক নারীকে তিনজন নরপশু ধর্ষণের পর অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে। বনানীর হোটেলে ধর্ষণ, বগুড়ার তুফান–কান্ড, সিলেটের বদরুল–কান্ডসহ দেশের অসংখ্য নারী ধর্ষণ ও নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এতে দেশবাসী আতঙ্কিত না হয়ে পারে না। নারীর প্রতি এমন নিষ্ঠুরতা অপরাধের সকল মাত্রাই যেন ছাড়িয়ে যাচ্ছে। দেশের কোনো বিবেকবান মানুষ এ অবস্থা মেনে নিতে পারেন না।
প্রতিদিন সারা দেশে ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও বেশির ভাগ সংবাদ গণমাধ্যমে আসে না। পারিবারিক ও সামাজিক নিরাপত্তার কারণে ধর্ষণের অনেক ঘটনাই প্রকাশ না পেলেও একজন ধর্ষিত নারীর জীবন তছনছ হয়ে যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অপরাধীরা ধরা পড়ছে, অপরাধ স্বীকারও করছে, কিন্তু দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়ার পর তাদের কী শাস্তি হলো বা তা কার্যকর হয়েছে কি না, তার অনেক সংবাদই আমরা পাই না। এ তো বিচারের ব্যাপার। কিন্তু মানুষের চেতনাগত পরিবর্তন না হলে পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটবে না। এটাই সবচেয়ে বেশি জরুরি। এর জন্য দরকার পারিবারিক, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা।
বিপ্লব আহমেদ
ফরিদপুর।
বন্যায় কৃষি
বন্যা একটি দুর্যোগের নাম, যে দুর্যোগ মানুষকে বিপন্ন করে দেয়। সেই দুর্যোগ নিয়ম করে প্রায় প্রতিবছরই দেশে হানা দেয়। দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বেশ কিছু জেলায় ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল। ঘরবাড়ি ডুবে গিয়েছিল। রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝরে গেছে অসংখ্য তাজা প্রাণ। বন্যার কারণে নদীভাঙনের সৃষ্টি হয়ে অসংখ্য ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ফসলি জমি ও ফসল নষ্ট হয়ে কৃষকেরা নিরুপায় হয়ে গেছেন।
বলার অপেক্ষা রাখে না, বন্যায় কৃষকের ক্ষতিই বেশি হয়। ফসল নষ্ট হলে যেমন তাঁদের ক্ষতি, তেমনি এতে খাদ্য উৎপাদনে ভীষণ ঘাটতি হবে, যা দেশের বিরাট ক্ষতির কারণ হবে। বিদেশ থেকে চাল আমদানি করে কত দিনই বা চালানো যাবে। দেশের এই অপূরণীয় ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কৃষি ও কৃষককে গুরুত্ব দিতে হবে। অন্যথায় দেশের কৃষি ও কৃষকের সুফল আসবে না।
মো. আজিনুর রহমান
নীলফামারী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।