Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক আচরণ বিশ^বিবেক শেখ হাসিনাকে বলছে মাদার অফ হিউম্যানিটি’ : বাণিজ্যমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, মিয়ানমারে মানুষের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে। হত্যা চালানো হচ্ছে মিযানমারে। গ্রামের পর গ্রাম এর জ¦ালিয়ে দিয়ে, মানুষ হত্যা করা হচ্ছে এবং তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে দেশ থেকে এ ঘটনা বিশ^বিবেককে নাড়া দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক কারনে সাময়িক ভাবে এ বিপদ গ্রস্থ মানুষ গুলোকে আশ্রয় দিয়েছেন, খাবার দিচ্ছেন। বিশ^বিবেক শেখ হাসিনাকে বলছে ‘মাদার অফ হিউম্যানিটি’। যুক্তরাজ্যের চ্যানেল-৪ টিভিতে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। আর বিএনপি’র নেতারা অন্যায় ভাবে সরকারের সমালোচনা ও মিথ্যাচার করছে। অথচ এ সংকটময় মহুর্তে তাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার খরব নেই, হারিয়ে গেছেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ^বাসী মিয়ানমারের এ গণহত্যার নিন্দা করছে। অবিলম্বে এ গণহত্যা বন্ধ করা হোক, রোহিঙ্গাদের নিজেদের ঘরবাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হোক।
বাণিজ্যমন্ত্রী গতকাল ঢাকায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট এর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে বীরমুক্তিযোদ্ধা ড. এস. এম. জাহাঙ্গীর আলম রচিত ৪টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বইগুলো হচ্ছে-বঙ্গবন্ধুর মর্মকথা (২য় খন্ড), আথর্-সামাজিক উন্নয়নে জ¦ালানী খাতের ভূমিকা ঃ প্রেক্ষিত বাংলাদেশ, চলমান অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য এবং সমসাময়িক সাধারণ জ্ঞান।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিশ^বিবেক আজ সোচ্চার মায়ানমারের আচরনে। তুরস্কের ফাষ্টলেডি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপিয়ন ইউনিয়নসহ সকল দেশের রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গাদের অবস্থা পরিদর্শন করেছেন, উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জাতিসংঘ গণহত্যার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে এবং পদক্ষেপ গ্রহন করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আসন্ন অধিবেশনে বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বে সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে জাতিসংঘে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদানের জন্য আজ সেখানে গেছেন। বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপে বিশ^বাসী সন্তুষ্ট, আর আমাদের দেশের বিএনপি অসন্তুষ্ট।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশে^র মধ্যে উন্নয়নের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য তাঁরই যোগ্যকন্যা শেখ হাসিনা সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতি বিশ^বাসীর জন্য অনুকরনীয়। দেশের কৃষকরা মাত্র ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খুলে সরকারের সহায়তা গ্রহণ করছে। কৃষকরা এখন আর কোন ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন না। জ¦ালানী খাতে দেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে, দেশে এখন ১৫৭০০ মে.ও. বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে দেশে শতভাগ বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হবে। দেশের রপ্তানি বাড়ছে। নতুন নতুন রপ্তানি পণ্য এবং বাজার সৃষ্টি করা হচ্ছে। শ্রীলংকার সাথে এফটিএ করা হচ্ছে এবং থাইল্যান্ডের সাথে এফটিএ করার জন্য সমীক্ষা পরিচালনা করা হচ্ছে। বাংরাদেশে চলমান উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করতেই বিভিন্ন ভাবে দেশী-বিদেশী তৎপরতা চলছে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইব্রাহিম হোসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেকমন্ত্রী ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর এবং বিচারপতি মমতাজউদ্দিন আহমেদ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ