পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বাড়িতে আগুন দেওয়ার স্যাটেলাইট দৃশ্য প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল। তাদের দাবি, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী ‘পরিকল্পিতভাবেই’ রোহিঙ্গা মুসলিমদের গ্রামগুলো জ্বালিয়ে দিচ্ছে। তাদের কাছে অনেক প্রমাণ রয়েছ বলেও দাবি করে সংস্থাটি। শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্যাটেলাইট থেকে তোলা রাখাইন রাজ্যের অনেক ছবি বিশ্লেষণ করে অ্যামনেস্টি জানায়, গত তিন সপ্তাহে আশিটিরও বেশি স্থানে বিশাল এলাকা পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং তাদের সহযোগী স্থানীয় গোষ্ঠীগুলো এই কাজ করছে বলেও তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করে অ্যামনেস্টি।
স্যাটেলাইটে তোলা ছবি, স্যাটেলাইটে আগুন সনাক্ত করতে পারে এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং ঐ অঞ্চল থেকে পাওয়া ছবি ও মানুষের বক্তব্য বিশ্লেষণ করে সংস্থাটি জানায়, গত ২৫ আগস্টের পর থেকে মোট ৮০টি জায়গায় ব্যাপক মাত্রায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
সংস্থাটর কর্মকর্তা তারানা হাসান বলছেন, ‘এটা পরিষ্কার যে সুপরিকল্পিতভাবে এসব সহিংসতা চালানো হচ্ছে। প্রমাণ যেসব জায়গায় আগুন দেয়া হয়েছে সেই জায়গাগুলোর আগের চার বছরের স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণ করে কোন অগ্নিসংযোগের ঘটনা দেখতে পাওয়া যায়নি। বেছে বেছে রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতেই আগুন দেয়া হয়েছে।’ আর যেসব গ্রামে রোহিঙ্গা এবং রাখাইনরা পাশাপাশি বাস করে, সেখানে রাখাইন বাড়িগুলো আগুনের হাত থেকে বেঁচে গেছে বলে জানায় সংস্থাটি। সূত্র : বিবিসি।
অ্যামনেস্টির নতুন প্রতিবেদনে কী রয়েছে?
অ্যামনেস্টি বলছে, অগ্নিসংযোগের তথ্য, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পাওয়া ছবি, তোলা ছবি, ভিডিও, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তারা নতুন তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে। এসব থেকে প্রমাণ হয় প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের গ্রামকে লক্ষ্যবস্তু করে পরিকল্পিত অভিযান ও অগ্নিসংযোগ চালিয়েছে। অ্যামনেস্টির ক্রাইসিস রেসপন্স ডিরেক্টর তিরানা হাসান বলেন, এসব তথ্যপ্রমাণ অকাট্য। রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে তাড়াতেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইনে অভিযান চালাচ্ছে। নিঃসন্দেহে এটি জাতিগত নির্মূল অভিযান। অ্যামনেস্টি আরও বলেছে, নিরাপত্তাবাহিনী গ্রামকে ঘিরে রাখে, পালানোর সময় মানুষকে গুলি করে, তাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়Íএসবই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। ২৫ আগস্টের পর থেকে রোহিঙ্গাদের বসবাসরত এলাকায় কমপক্ষে ৮০টি বড় ধরনের অগ্নিসংযোগের ঘটনা শনাক্ত করেছে অ্যামনেস্টি। গত চার বছরে এত প্রকটভাবে অগ্নিসংযোগের ঘটনা আর ঘটেনি।
জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের দূত রাখাইনে চলা সহিংসতার জন্য রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের দায়ী করে বলেছেন, মিয়ানমার এ ধরনের নৃশংসতা কখনো বরদাশত করবে না। মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির দপ্তরের মুখপাত্র জ তের বরাত দিয়ে মিয়ানমার টাইমস জানায়, বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে সেদেশের সরকার। বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রস্তাব দিয়েছিল। মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আগামী সপ্তাহে ভাষণ দেবেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। জাতির উদ্দেশে দেওয়া তাঁর ভাষণ টেলিভিশনে স¤প্রচার করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।