Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রবীণ আলেম মুহাদ্দিস মাওলানা আহমদ হোছাইনকে আগুনে পুড়িয়ে মারল মগদস্যুরা

আরাকানে বেছে বেছে হত্যা আলেম পীর-মাশায়েখদের

| প্রকাশের সময় : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শামসুল হক শারেক, মিয়ানমার সীমান্ত থেকে ফিরে : আরাকানের হাজার বছরের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে জোর করে আরাকান থেকে বের করে দিয়ে মিয়ানমার সরকারের সেনা-পুলিশ ও মগদস্যুরা আরাকানকে এখন খাঁিট ‘মগের মুল্লুক’ বানাতে চায়। মিয়ানমার সরকার আরাকান থেকে মুছে দিতে চায় ইসলাম ও মুসলমানদের নাম নিশানা। বিরান ভূমি আরাকানে এখন খাঁ খাঁ করা পুড়া ঘর-বাড়ি, মসজিদ, মাদরাসা ও জনশুন্য গ্রামগুলো তারই প্রমাণ। রোহিঙ্গা জাতিকে নেতৃত্ব শুন্য করতে বেছে বছে হত্যা করা হচ্ছে জাতির সম্মানিত আলেম ওলামা ও পীর মশায়েখদের।
বর্মী হায়েনার দল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে, নারী শিশু পুরুষদের নির্মমভাবে হত্যা করে ও যুতীদের জানোয়ারের মত ধর্ষন করে ক্ষ্যান্ত নয়। তারা একই সাথে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে একের পর এক জ্বালিয়ে দিচ্ছে আরাকানের ঐতিহ্যবাহী মসজিদ-মাদরাসা ও ধর্মীয় স্থাপনা।
অর্ধশত মসজিদসহ দুই শতাধিক মসজিদ, অর্ধশত মাদরাসা ও অসংখ্য খানাকাহ যেন এখন শুধুই ইতিহাস। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ভবিষ্যত বংশধর শিশুদের যেমন নির্দয়ভাবে হত্যা করে চলেছে বর্মী হায়েনারা। একইভাবে রোহিঙ্গা জাতির কর্ণধার আলেম-ওলামা, পীর-মশায়েখ ও ধর্মীয় নেতাদের হত্যা করে চলেছে বেছে বেছে। কিছু আলেম ওলামা সেনা-পুলিশ ও মগদস্যুদের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিতে পারলেও অধিকাংশ বয়স্ক আলেম ওলামা ও পীর মশায়েখদের হত্যা করেছে তারা। এতে করে গত ২৪ আগষ্ট থেকে আজান নামাজ বন্ধ হয়েগেছে জনশুন্য আরাকানের মসজিদ সমূহে।
আরাকানের বড় বড় ২০টি দাওরায়ে হাদিস (কামিল) মাদরাসার সাথে এবতেদায়ী বাদ দিয়ে মাধ্যমিক স্থরের আরো ৩০ টি মাদরাসা এখন বিরান।
সায়দুল্লাহর চর এলাকার বড় মাদরাসার মুহাদ্দিস প্রবীণ আলেমে দ্বীন মাওলান আহমদ হোছাইন (৯০) কে বর্মী হায়েনার দল যেভাবে নিষ্ঠুর নির্মমভাবে হত্যা করেছে তা বর্ণনাতিত। তিনি ছিলেন ওই মাদরসার মুহাদ্দিস ও পরিচালক। বিগত ৬০ বছর ধরে তিনি হাদিসের দরস দিয়ে আসছেন। ৩০ আগষ্ট সেনা-পুলিশ ও মগদস্যুদের একটি দল ওই এলাকা ঘেরাও করে। মাদরাসার ছাত্র-শিকক্ষ যাকে যেভাবে পেয়েছে কাউকে গুলি করে আবার কাইকে ধারালো ছুরি দিয়ে, দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। কেউ বা পাশের বনে জঙ্গলে পালিয়ে লুকিয়ে থেকে পরে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
সকলের সম্মানিত প্রবীন বৃদ্ধ অলেমে দ্বীন মুহাদ্দিস মাওলানা আহমদ হোছাইন কোথাও যেতে পারেননি। তিনি মাদরাসায় থেকে যান। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা সেখানে দূর থেকে প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, সেনা-পুলিশ ও মগদস্যুরা তাঁেক প্রথমে গুলি করে হত্যা করতে চেয়ে ব্যার্থ হয়। পরপর কয়েটি গুলি করে তাঁর শরীরে গুলি না লাগায় তারা ক্ষেপে যায়। তখন ধারালো ধা দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করতে চেয়ে ও ব্যার্থ হয়। তখন তারা তাঁর শরীরে পেট্টোল ঢেলে দিয়ে ধরিয়ে দিয়ে হত্যা করে।
সূত্র মতে রোহিঙ্গা জাতির নেতা হচ্ছে আলেম ওলামা ও পীর মশায়েখগন। চলমান গণহত্যায় নরী ও শিশুরদের পাশাপাশি সহ¯্রাধিক আলেম ওলামাকেও হত্যা করা হয়েছে আরাকানে।



 

Show all comments
  • selina ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৪:৪১ এএম says : 0
    Needs financial and military (infantry air and navy co-ordinated attack)drastic direct action to save rohinga Muslim people from Burmese government forces brutal massive killing/massacre /genocide urgently.
    Total Reply(0) Reply
  • AHMED HOSSAIN KHAN ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৮:০৭ এএম says : 0
    OH THE UN UN ,PLS DO'NT LATE TO SAVE THE ARAKA'NS HUMEN,THEY ARE NOW IN THERE ZONE OF DANGER KINDLY SEND THERE THE FORCES OF THE PEACE KEEPER,
    Total Reply(0) Reply
  • Shariful islam ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ২:২৪ পিএম says : 0
    Allah muslimderke hefajot korun o jalimder poysala korun
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ