পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সে দেশের সেনাবাহিনীা নিষ্ঠুর অত্যাচারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।
গতকাল (শুক্রবার) এক বিবৃতিতে ইউট্যাবের ছয় শতাধিক শিক্ষক রোহিঙ্গা নিপীড়নের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, প্রাণ বঁাঁচাতে যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশ পালিয়ে আসছে তাদের প্রতি সরকারকে মানবিক আচরণ এবং ত্রাণ সহায়তা দেয়া দরকার। শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের দীর্ঘদিনের সোনালী ঐতিহ্য রয়েছে। তারা সেখানে বহু বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু সেদেশের সরকার রোহিঙ্গাদের ওপর বরাবরই নির্মম নির্যাতন চালিয়ে আসছে। স¤প্রতি সেই নির্যাতনের মাত্রা রেকর্ড ছাড়িয়েছে। অসংখ্য নারী-শিশুর লাশ নাফ নদীতে ভাসছে। পুরুষদেরকে গুলি করে মেরে ফেলা হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে সবকিছু লুট করা হচ্ছে। যা খুবই অমানবিক। সভ্য সমাজে এধরণের হত্যাকাÐ মানবতাবিরোধী অপরাধ। জাতিসংঘ সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে- মিয়ানামারে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে সেদেশের সেনাবাহিনী।
ইউট্যাব নেতৃবৃন্দ এহেন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদেরকে সম্ভাব্য সকল সহায়তা দেয়ার আহŸান জানিয়ে সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকারের ক‚টনৈতিক দুর্বলতার কারণে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা এখন অবাধে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে। সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। সেইসাথে রোহিঙ্গাদের জন্য বিএনপির ত্রাণবাহী ট্রাক আটকে দেয়ার নিন্দা জানিয়ে শিক্ষকেরা বলেন, এ ধরনের মানবিক ইস্যুতে বিএনপির ত্রাণের ট্রাক আটকে দেয়া হীন মানসিকতার পরিচয়। অথচ মানবতার প্রশ্নে এখন সকলের উচিৎ অসহায় রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানো।
তারা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলে রোহিঙ্গা সঙ্কটের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ১৯৭৮ সালেও রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার অকথ্য নির্যাতন করেছিল। তখন বহু রোহিঙ্গা শরণার্থী হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। জিয়াউর রহমান তাদেরকে বাংলাদেশে আশ্রয়, চিকিৎসা, খাদ্য সহ বিভিন্ন সেবা দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে মিয়ানমারের সাথে চুক্তি এবং দক্ষ ক‚টনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। একইভাবে ১৯৯২ সালেও রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন হয়। সেসময় মিয়ানমারের সাথে চুক্তি হয়েছিল, সেই চুক্তি অনুযায়ী মিয়ানমারকে আবারো চাপ দিতে হবে। তাদের বাধ্য করতে হবে, যাতে রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে এবং নাগরিকত্ব পান। এই ইস্যুটি আন্তর্জাতিক ফোরামে গুরুত্বের সাথে তুলে ধরতে সরকারের প্রতি আহŸান জানান ইউট্যাব নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী শিক্ষকদের অন্যতম হলেন- সহসভাপতি প্রফেসর ড. আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খান, ড. ফরিদ আহমেদ, প্রফেসর ড. আবদুর রশিদ, প্রফেসর আমিনুল ইসলাম মজুমদার, প্রফেসর সৈয়দ আবুল কালাম আযাদ, প্রফেসর লুৎফর রহমান, প্রফেসর ড. আল মোজাদ্দেদী আলফেছানী, প্রফেসর এম ফরিদ আহমেদ, ড. গোলাম রব্বানী, ড. মাহফুজুল হক, ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ড. সিদ্দিক আহমদ চৌধুরী (চবি), ড. এম এ বারি মিয়া, অধ্যাপক খায়রুল (শাবিপ্রবি), ড. শামসুল আলম সেলিম (জাবি), ড. সাব্বির মোস্তফা খান (বুয়েট), প্রফেসর তোজাম্মেল (ইবি) প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।