পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশবরেণ্য নিসর্গবিদ ও লেখক অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মা আর নেই। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
ফুসফুসে সংক্রমণসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি। গত ২৩ জুলাই দ্বিজেন শর্মাকে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ২৯ জুলাই তাকে হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউতে) নেওয়া হয়।
দ্বিজেন শর্মার জন্ম ১৯২৯ সালের ২৯ মে, তৎকালীন সিলেট বিভাগের বড়লেখা থানার শিমুলিয়া গ্রামে। কলকাতা সিটি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন দ্বিজেন শর্মা। পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করেন।
বহুগুণে গুণান্বিত ছিলেন দ্বিজেন শর্মা। একাধারে শিক্ষক, অনুবাদক, বিজ্ঞান লেখক এবং প্রকৃতিবিদ। সব ছাপিয়ে তিনি ছিলেন প্রকৃতিপ্রেমিক। প্রকৃতিই ছিল তার ধ্যান-জ্ঞান। প্রকৃতি নিয়ে প্রচুর লেখালেখি করেছেন তিনি। অন্য বিষয়েও লিখেছেন তিনি।
বৃক্ষপ্রেমিক দ্বিজেন শর্মা অনেক গাছ লাগিয়েছেন। গাছের পরিচর্যা করেছেন। সবুজ প্রকৃতির জন্য লড়ে গেছেন। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলা একাডেমি, একুশে পদকসহ বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন দ্বিজেন শর্মা।
উদ্ভিদ ও প্রকৃতি নিয়ে লেখা তার আকরগ্রন্থ ‘শ্যামলী নিসর্গ’। তার লেখা বইয়ের মধ্যে রয়েছে-‘সপুষ্পক উদ্ভিদের শ্রেণীবিন্যাস’, ‘ফুলগুলি যেন কথা’, ‘গাছের কথা ফুলের কথা’, ‘এমি নামের দুরন্ত মেয়েটি’, ‘নিসর্গ নির্মাণ ও নান্দনিক ভাবনা’, ‘সমাজতন্ত্রে বসবাস’, ‘জীবনের শেষ নেই’, ‘বিজ্ঞান ও শিক্ষা : দায়বদ্ধতার নিরিখ’, ‘ডারউইন ও প্রজাতির উৎপত্তি’, ‘বিগল যাত্রীর ভ্রমণ কথা’, ‘গহন কোন বনের ধারে’, ‘হিমালয়ের উদ্ভিদরাজ্যে ডালটন হুকার’, ‘বাংলার বৃক্ষ’ ইত্যাদি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।