Inqilab Logo

শনিবার, ০৮ জুন ২০২৪, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী কারসাজি করে চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা হয়েছে

প্রকাশের সময় : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:১৬ এএম, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

কারসাজি করে ও মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে বাজারে গুজব ছড়িয়ে চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন,বর্তমানে দেশে কোন ধরণের খাদ্য সংকট নেই। ভারত চাল রপ্তানি বন্ধ করেছে বলে যে তথ্য পত্রিকায় ছাপানো হযেছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা ও ভূয়া। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এ ধরণের কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। একই তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, গত তিন বছর ধরে আমরা আউশ ধানের উৎপাদন বাড়াতে প্রনোদনা দিয়ে আসছি। এ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বছরের তুলনায় এবার আউশের উৎপাদন বেড়েছে। গতকাল সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে জাতীয় পার্টি দলীয় এমপি নুরুল ইসলাম মিলনের প্রশ্নের উত্তরে ওই দুই মন্ত্রী এসব তথ্য জানান। মাগরিবের নামাজের বিরতির পর নুরুল ইসলাম মিলন পয়েন্ট অব অর্ডারে বলেন, ভারত থেকে চাল আমদানি বন্ধ বলে পত্রিকায় জেনেছি। আসলে ভারত কি এ ব্যপারে কোন সিদ্ধান্ত নিয়েছে? এটা বিস্তারিত জানতে চাই। এরপরই পয়েন্ট অব অর্ডারে বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, নুরুল ইসলাম মিলন আজ আমার অফিসে গিয়েছিলেন। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে এটা তিনি জানতে চাইতেই পারেন। তাকে নিশ্চিতকরতে চাই, আমাদের খাদ্যের কোন অভাব নেই। প্রশ্নটা হলো- আমাদের দুর্ভাগ্য। যে দেশ রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। যে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের সামনে বাংলাদেশেকে তুলে ধরেছেন সেখানে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। গতকাল (বুধবার) সাংবাদিকরা আমার কাছে একটি কাগজ দেখিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে- ভারত নাকি চাল রপ্তানি বন্ধ করেছে। সঙ্গে সঙ্গে আমি ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করি। আজ মানবজমিন পত্রিকায় এ নিয়ে রিপোর্ট দিয়েছে। আমি ওই পত্রিকার সম্পাদককে ফোন করেছিলাম। তিনি বলেন,ভারতের একটি বাণিজ্য প্রতিনিধি দল এখন বাংলাদেশে আছে। ভারত চাল রপ্তানি বন্ধ করেছে বলে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পুর্ন বানোয়াট সংবাদ। তোফায়েল আহমেদ বলেন,কেউ কেউ মুনাফা লাভের কারণে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেছে। দিনাজপুরের এমপি আমাকে বলেছেন সেখানে কোন চালের সংকট নাই। প্রত্যেকের ঘরে চাল আছে। মিলের মালিক বা কলের মালিকদের কাছেও চাল আছে। একটি আর্টিফিশিয়ালি সংকট তৈরির চেষ্টা হয়েছে। আমরা এখন খাদ্যে উদ্বৃত্ত দেশে পরিনত হয়েছি। শ্রীলংকায় চাল রপ্তানি করেছি। নেপালে দূর্যোগের সময় চাল পাঠিয়েছি। তিনি বলেন,আকস্মিকভাবে হাওড়সহ কয়েকটি জেলায় বন্যা হওয়ায় এবার উৎপাদন সামান্য কমেছে। যেটুকু উৎপাদন কমেছে সেটুকু আমরা আমদানি করছি। এখানে চালের অভাব কোথায়? তিনি বলেন,কোথাও কোন সাপ্লাই চেইন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছে। আজ সারা বাংলাদেশের গ্রাম শহরে পরিণত হয়েছে। বন্যা হলেও খাদ্যের কোন অভাব নেই। জোর জবরদস্তি করে বাজার নিযন্ত্রণ করা যায় না। দেশবাসিকে জানাতে চাই, মিনিমাম এক কোটি টন চাল আমাদের ঘরে ঘরে আছে। তাই খাদ্যের ঘাটতি তো নেই। মন্ত্রী বলেন, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের মহাপরিচালক আলোক চতুর্বেদির একটা কাগজ দেখিয়ে বলা হয়েছে রপ্তানি বন্ধ। ওই চিঠি মোবাইল ফোনে ছবি তুলে ব্যপকভাবে প্রচার করা হয়েছে। কারসাজি করে চালের দাম বাড়াতেই এটা করা হয়েছে। বেনাপোলে খোঁজ নিয়েছি সেখানে অনেক ট্রাকে চাল আছে। তিনি বলেন, দেশবাসি,মিল মালিকদের জানাতে চাই, সকলে যেনো দেশপ্রেমিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। এি নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কয়েকজন এডিটরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও যোগাযোগ করেছি। তিনি এতে অবাক হন। তোফায়েল আহমেদ বলেন,মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে বাজারে সংকট তৈরির চেষ্টা চলছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এ নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। রোববার থেকে ওএমএস এর মাধ্যমে চাল বিতরণ করা হবে। সুতরাং খাদ্যের অভাব কোথায়? এ সময় স্পিকারের চেয়ারে দায়িত্ব পালন করা ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে অনেক সজাগ। তাই খাদ্যের ঘাটতির কোন প্রশ্নই আসে না।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ