Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজধানীকে ঘিরে রেলপথ নির্মাণ হবে -রেলপথ মন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রাজধানীকে ঘিরে চারদিকে রেলপথ নির্মান করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক। তিনি বলেন, রাজধানীর চারদিকে রেলপথ নির্মানের জন্য সমীক্ষার কাজ চলছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) রেলভবনে দুটি পৃথক প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগ এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে ২০০ টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচ সংগ্রহের লক্ষ্যে আলাদা দু’টি প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগের চুক্তিমূল্য প্রায় ৪১৭ কোটি টাকা এবং এই চুক্তির মেয়াদ ৬০ মাস। এশিয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে এটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এছাড়াও বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে ২০০ টি মিটারগেজ যাত্রীবাহি কোচ সংগ্রহের লক্ষ্যে আরেকটি চুক্তি আজ স্বাক্ষরিত হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার প্রতিষ্ঠান পিটি ইনকা চুক্তি কার্যকর হওয়ার ২০ থেকে ৩৩ মাসের মধ্যে কোচগুলো সরবরাহ করবে। রেলপথ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমল কৃষ্ণ ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক, ঢাকায় ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রিনা পি.সোয়েমার্নো এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ আমজাদ হোসেন সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে ৫ টি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে পরামর্শক হিসাবে নিয়োগ পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হল- এসএমইকে (স্মেক) ইন্টারন্যাশনাল (অস্ট্রেলিয়া), কানারেল কনসালট্যান্টস (কানাডা), সিস্ট্রা (ফ্রান্স), এসিই কনসালট্যান্টস (বাংলাদেশ) এবং স্ট্রাটেজি কনসালট্যান্টস (বাংলাদেশ)। এ চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রকল্প পরিচালক মোঃ মফিজুর রহমান ও স্মেক এর পক্ষে এ এস সাবাহ। পরে বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০০টি মিটার গেজ কোচ সংগ্রহের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ঋণ এবং বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে এতে মোট ব্যয় হবে ৫৭৯ কোটি ৩৮ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন, রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) মোঃ শামসুজ্জামান এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পিটি ইনকা’র প্রেসিডেন্ট ডিরেক্টর আর. অগাস এইচ পুর্নোমো। অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক বলেন, বর্তমান সরকার রেল খাতের প্রতি অধিক গুরুত্ব দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই খাতটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। এ জন্যই বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘রেলওয়েতে এখন উন্নয়ন দৃশ্যমান হচ্ছে। আমরা নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহন করতে পারছি’। কক্সবাজারের সাথে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের রেল যোগাযোগের গুরুত্ব তুলে ধরে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘রেলখাত এগিয়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজারে রেললাইন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে’। তিনি বলেন, ‘যমুনা নদীর উপর আলাদা বঙ্গবন্ধু রেলসেতু নির্মান করা হবে। কোচের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। যাত্রীরা যাতে রেলের মাধ্যমে সহজে যাতায়াত করতে পারে তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে’। পদ্মাসেতুতে রেলওয়ে সংযোগের বিষয়টি চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতি দেখানোর জন্য তিনি ইন্দোনেশিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানান। রেলমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল’। ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রিনা পি.সোয়েমার্নো বলেন, এই চুক্তি বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বের নিদর্শন। এর মধ্যদিয়ে দু’দেশের মধ্যে অংশীদারিত্বের আরও সুযোগ তৈরি হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে, বিশেষত, পরিবহন, যোগাযোগ ও রেলখাতে ইন্দোনেশিয়া উন্নয়ন সহযোগী হতে ইচ্ছুক। রেলপথ মন্ত্রনালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর বিকালে রেলভবনে দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার নতুন ডুয়েল গেজ রেল লাইন নির্মানের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ