পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মিয়ারমারের ওপারে মংডু টাউনশীপে এখন পর্যন্ত ১২২ গ্রাম আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। ওপারে ফের দাউ দাউ ফের আগুন জ্বলছে। প্রাণের রক্ষার ভয়ে রোহিঙ্গারা প্রতিদিন পালিয়ে আসছে। আগুনের ধোঁয়া মিশে যাচ্ছে মেঘের সঙ্গে। বাংলাদেশের টেকনাফ সীমান্ত থেকেও রাখাইন প্রদেশে লাগিয়ে দেয়া আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যাচ্ছে। গ্রামের পর গ্রাম জ্বলতে দেখা গেছে। সীমান্তের কাছাকাছি বসবাসকারী মানুষ জ্বলন্ত গ্রামগুলো দেখতে ভীড় জমিয়েছে। বর্মী সেনারা নতুন করে গ্রামে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। জাতিগতভাবে রোহিঙ্গা নির্ধনের জন্য এখনো আগুন জ্বলছে মিয়ানমারে। গতকাল বৃহস্পতিবার সারাদিন দেশটির সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যের মংডু এলাকার পেরানপুরু, হামপাড়া, মাঙ্গালা, কোয়াংবন, বাঘঘোনা,ফইজিপাড়া, গর্জনদিয়া, সারাপাড়া, বড়ডেইল ও খোনকারপাড়া, ছেরাপাড়া, মোল্লাপাড়া, খুইন্নার পাড়া, গজ্জনদিয়া, বডডেইল পাড়া, খেয়ারী পাড়া, নাইনসংপাড়া গ্রামে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। একই সঙ্গে হেলিকপ্টার থেকে দাহ্য পদার্থ ছড়িয়ে দেওয়া হয়। অবশ্য ওই পারে অঝরধারায় বৃষ্ট নামায় আগুন বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
মিয়ানমার থেকে কোনোমতে জীবন বাঁচিয়ে যখন রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছেন, তখন এখানেও দালালদের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছেন অনেকেই। হুমকি-ধমকি ও পদে পদে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন তারা। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিয়ানমারে সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড পুলিশ ও উগ্র বৌদ্ধদের নির্যাতনের শিকার হয়ে সহায়সম্বল ও স্বজনদের হারিয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা প্রতারিত হচ্ছেন ঘাটে ঘাটে। গত ২৫শে আগস্ট গভীর রাতে নিরাপত্তা রক্ষীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মিয়ানমারের সেনারা রাখাইন প্রদেশে যৌথ অভিযান শুরু করে। এরপর থেকে হাজার হাজার রোহিঙ্গা জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। জাতিসংঘের হিসেব মতে, এ পর্যন্ত বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে প্রায় ৩ লাখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।