পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পঞ্চায়েত হাবিব : মহান বিজয় দিবস যেন সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয় এজন্য বৈশাখী ভাতার মতো বিজয় দিবস ভাতা চালু করছে সরকার। এ ভাতা প্রচলনের বিষয়ে মতামত চেয়ে সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে অর্থ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে চিঠিও পাঠানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মঈনউল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষাক্রমে বিজয় দিবস ভাতা প্রচলনের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক ইনকিলাবকে বলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে বিজয় দিবসের ভাতা চালু হয়। তবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো এখনো এবিষয়ে কোনো কিছু বলেনি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম ইনকিলাবকে বলেন, বিজয় দিবসের ভাতা প্রচলনের জন্য কাজ চলছে। কবে কার্যকর হবে সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন ইনকিলাবকে বলেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় দিবস ভাতা প্রচলন সংক্রান্ত একটি চিঠি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এসেছে। আমরা এ বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছি। এটা চালু করলে পজেটিভ হবে না নেগেটিভ হবে এটা আগে জানতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নেব। অর্থ সচিব আরো বলেন, এবিষয়টি দেশের স্বাধীনতার সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ ধরণের বিশেষ ভাতা চালুর মতো চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। ফলে পুরো প্রক্রিয়াটি কিছুটা সময় সাপেক্ষও বটে। তবে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করলে বলতে পারব কবে থেকে এটা কার্যকর হতে পারে। এবিষয়ে চ‚ড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। শিগগির আলোচনা করব। জনপ্রশান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, বিজয় দিবসের ভাতা চালু করার জন্য আলোচনা চলছে। তবে আমি এবিষয়ে বিস্তারিত জানি না।
মন্ত্রিপরিষদ ভিবাগ সূত্রে জানা গেছে, মহান বিজয় দিবস যেন সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়। সর্বত্র এটা প্রতিভাত হয় যে, আজকের দিনটি বিজয় দিবস। এজন্য বৈশাখী ভাতার মতো বিজয় দিবসের বিশেষ ভাতা চালু করতে চাচ্ছে সরকার। কারণ, এখন শুধু সকালে কিছু প্যারেড, তারপরে কিছু অনুষ্ঠান, বিকালে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মাধ্যমে দিনটি শেষ হয়ে যায়। বিশেষ এই ভাতা চালু করা হলে ঈদ, পূজা ও বাংলা নববর্ষের মতো দিনটি উৎসবমুখর পরিবেশে কাটবে। এতে নতুন লাল সবুজের বর্ণিল পোশাক পড়ার একটা ব্যাপার থাকবে। এখন যেমন ঈদ-পূজা উপলক্ষে মানুষ বন্ধুবান্ধব, আত্মীযস্বজন, সহকর্মীর বাড়িতে বেড়াতে যাই, এরকম একটি ব্যাপার যেন ঘটে। যেটা আমাদের সবাইকে এক সূত্রে আবদ্ধ করতে পারে।
জনপ্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, দেশের ১৩ লাখ ৮২ হাজার ৩৯৩ জন সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারির জন্য বিজয় দিবসের বিশেষ ভাতা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করা হচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই এই ভাতা চালু করার সম্ভাবনা রয়েছে।
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, বিজয় দিবসের ভাতা চালুু হলে ভালো হবে। যেসব কর্মকর্তারা পাবেন তারা খুশি হবে। যদি হয় তাহলে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জন্যও হওয়া উচিত। তারা যেন বাদ না পড়ে। কারণ, আমরাও দীর্ঘকাল সরকারকে সেবা করেছি।
উল্লেখ্য, এর আগে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে বিভিন্ন জেলার ডিসিরা এ প্রস্তাবটি দিয়েছিলেন। এর আলোকে গত ৩১ মে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার ‘বিজয় দিবস ভাতা’ চালুর প্রস্তাব করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে বিজয় দিবস ভাতা চালুর যৌক্তিকতা তুলে ধরার চেষ্টা করেন তিনি। ওই চিঠির প্রেক্ষিতে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ সম্প্রতি এবিষয়ে মতামত চেয়ে অর্থ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। এখন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো এবিষয়ে কাজ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।