পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মিয়ানমারে গণহত্যার প্রতিবাদে আগামীকাল (শুক্রবার) বাদ জুমা দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। হেফাজতে ইসলামের আমীর শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী গতকাল (বুধবার) এক বিবৃতিতে মিয়ানমারের আরাকানে মুসলিম নারী ও শিশু নির্যাতন এবং নির্বিচারে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিল সফল করা আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলমানদের সাহায্য করা সকলের ঈমানী দায়িত্ব। গণহত্যা বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদ করাও আমাদের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সরকারী বাহিনী ও বৌদ্ধঅস্ত্রধারীরা যৌথভাবে ইতিহাসের বর্বতম হত্যাকান্ড চালাচ্ছে। বার্মার মগসন্ত্রাসীদের পৈশাচিক আর নির্মমতার কোন নজীর দুনিয়াতে নেই। গত কয়েক দিনে মুসলমানদের ঘর বাড়ি, মাদরাসা ও মসজিদগুলি আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে, শিশুসহ সব বয়সী মানুষদেরকে দা দিয়ে কুপিয়ে মারছে, এমনকি জীবন্ত মানুষগুলোকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করছে। নদীতে ভাসছে মিয়ানমারের নির্যাতিত মুসলমান শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতি, বৃদ্ধ নারী পুরুষের বিকৃত লাশ। মায়ের সামনে মেয়েকে, মেয়ের সামনে মাকে, স্বামীর সামনে স্ত্রীকে ধর্ষণ করে নির্বিচারে হত্যা করছে সরকারী বর্বর বাহিনী। এদের কাছে মানবিকতা বলতে কিছুই নেই, এরা মানবতার শত্রু।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা আমাদের ভাই বোন। নির্যাতিত, নিপীড়িত অসহায় মজলুম। এদের সাহায্য করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। মিয়ানমারের নির্যাতিত মুসলিম মা বোনদের রক্ত নিয়ে যারা হোলি খেলায় মেতে উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা রাষ্ট্র ও জনগণের নৈতিক কর্তব্য। তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সোচ্চার হোন, কুটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করুন। মানবতার শত্রুদের মোকাবিলায় বিশ্ব মুসলিম নেতৃবৃন্দ ও রাষ্ট্রগুলোকে শামিল করুন। দেশের জনসাধার এব্যাপারে ঐক্যমত পোষণ করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।