পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হামলা-নির্যাতন-হত্যাযজ্ঞ থেকে বাঁচতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখতে আজ কক্সবাজার যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শনে যাবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলো পরিদর্শন করে তাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করবেন এবং রোহিঙ্গাদের আবাসন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা দিবেন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুর হক টুটুল সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান সকাল ১০টায় কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। এরপর বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে তিনি উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। তিনি রোহিঙ্গাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা শুনবেন এবং তাদের সমবেদনা জানাবেন। পরিদর্শন শেষে উখিয়ার কুতুপালংয়ে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রীর রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্যাতিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে মিয়ানমারের ওপর চাপ দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। গতকাল কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ত্রাণ বিতরণ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার সফরে সরেজমিনে রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখবেন। তিনি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে রোড়ম্যাপ দেবেন।
জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য মতে বর্মী সেনাবাহিনীর নির্মমতা ও হত্যাযজ্ঞ থেকে জীবন বাঁচাতে গত ১৫ দিনে মিয়ানমরের রাখাইন রাজ্য থেকে তিন লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। স্থানীয়দের হিসেবে এ সংখ্যা আরো বেশি। প্রতিদিন প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। শরণার্থীদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রেজিষ্ট্রেশন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার মানবিক কারণে এসব শরণার্থীকে প্রাথমিক সাহায্য দিয়ে উখিয়ার বালুখালীতে বন বিভাগের জায়গায় তাদের থাকার জন্য অস্থায়ীভাবে আশ্রয়কেন্দ্র তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারের এই প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বারবারই আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও দেশের প্রতি সহযোগিতার জন্য আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মতো একটি ছোট জনবহুল দেশের জন্য এই বিশাল শরণার্থীর বোঝা বহন করা কঠিন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের ঢাকাস্থ শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে ৫ দফায় ডেকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি রাখাইনে হামলা-নির্যাতন বন্ধেরও দাবি জানিয়েছে। এই অবস্থার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শনে যাচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।