পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জীবন বাঁচাতে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে জন্ম না হয়ে আমার জন্মটা রাখাইন রাজ্যেও হতে পারত। তাহলে কি হতো! অপু বিশ্বাসের মতো আমরা যদি সবাই নিজেদের জন্ম রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের যায়গায় কল্পনা করি তাহলে পরিস্থিতি কেমন দাঁড়ায়? সে মানসিকতা নিয়ে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। অপু বিশ্বাস গত রবিবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক ফ্যানপেজে রোহিঙ্গাদের দুর্দশার একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে কিছু কথা লিখেন। ইনকিলাব পাঠকদের জন্য এই নায়িকার ফসবুকে ছবির ক্যাপসনে লেখা হুবহু তুলে ধরা হলো।
‘আমার খুব বেশি ফেসবুকে আসা হয় না। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে ফেসবুকে আসলে রোহিঙ্গা বিষয়ক ছবিগুলো দেখলে শরীর শিউরে উঠে। আমি রক্ত সহ্য করতে পারি না, তার ওপর এসব বীভৎস ছবি দেখে ভয়ে ফেসবুক থেকে লগআউট করি।’
‘গতকাল ফেসবুকে লগইন করতে গিয়ে এই ছবিটা (নির্যাতিত রোহিঙ্গা) দেখতে পাই। ছবিটার ওপর আমার চোখ আটকে যায়। এদের জায়গায় নিজেকে কল্পনা করি। আমারও একটা সন্তান আছে। বাংলাদেশে জন্ম না হয়ে যদি আমার জন্মটা রাখাইন রাজ্যেও হতে পারত। আমিও তখন এই পরিস্থিতিতে পড়তে পারতাম।’ ‘না আর ভাবতে পারছি না, অনুভব করলাম চোখের কোণে গরম ‘তপ্ত জল’ গড়িয়ে পড়ছে। নিজের সন্তানকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম---- আরও বেশি শক্ত করে।’
অপু বিশ্বাস লেখেন, ‘মানুষ কি করে এত অমানবিক হতে পারে? কি করে নির্দয় হয়। উফ! ভাবতে পারছি না। খোদা তুমি রহম করো।’ ‘আমি একজন ছোটখাটো মানুষ, আমি খুব বেশি গুছিয়ে লিখতেও পারি না। দেশের উপরের মহলের প্রতি অনুরোধ করছি তাদের (রোহিঙ্গা শরণার্থী) পাশে আরও বেশি করে দাঁড়ান। তাদের প্রতি আরও বেশি সদয় হোন। সারাবিশ্ব দেখুক আমরা কতটা শান্তিপ্রিয় মানুষ। পরিশেষে মানবতার জয় হোক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।