Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রোহিঙ্গা মুসলিম

মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা হলো নির্যাতিত জনগোষ্ঠী। বৌদ্ধরা এই রোহিঙ্গাদের উপর অমানবিক নির্যাতন করছে। রোহিঙ্গারা রাখাইন রাজ্যে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারছে না। অত্যাচার আর নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশান্তরিত হচ্ছে। মিয়ানমার সরকার তো সেটাই চাইছে। রাখাইন রাজ্যকে তারা রোহিঙ্গামুক্ত করতে চায়। মিয়ানমারে দীর্ঘদিন ধরে এক ধরনের বৌদ্ধ সন্ত্রাস চলছে। বৌদ্ধ ভিক্ষুরা মিয়ানমারকে একটি বৌদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। মিয়ানমারে জনসংখ্যা প্রায় ৫ কোটি ১০ লাখ। আর দেশটিতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ৮ লাখ। মিয়ানমারে প্রায় ১৩৫টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী থাকলেও এদের মধ্যে রোহিঙ্গাদের কোনো স্বীকৃতি নেই। সুচি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেও একাধিকবার স্পষ্ট করেছেন, ‘রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক নয়, তারা বাঙালি।’সুচি শান্তিতে নোবেল পেয়ে মুসলমানদের উপর অমানবিক কাজ করছে।বাংলাদেশ একটি ছোট্ট দেশ। বাংলাদেশ বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে স্থায়ী আবাসনের নিশ্চয়তা দিতে পারবে না। ১৯৭৯ সালের পর থেকে যেসব রোহিঙ্গা কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছিল, মিয়ানমার তাদের অনেককেই ফিরিয়ে নেয়নি। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার ফেরত নেওয়ার জন্যে চাপ প্রয়োগ করতে হবে। তাছাড়া বাংলাদেশ জাতিসংঘ, ওআইসি ও ইইউর সহযোগিতা নিতে পারে।
মাহফুজুর রহমান খান

চিনিতোলা, মেলান্দহ, জামালপুর।
রাস্তাটি পাকা করা হোক
নীলফমারী জেলার ডিমলা উপজেলার ৮নং ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পাকার মাথা (সমিতির স্কুল সংলগ্ন) থেকে আছানধনী মিয়া পাড়া দিয়ে খালিশা চাপানী ফাযিল মাদরাসা পর্যন্ত এই তিন কিঃমিঃ রাস্তাটির অবস্থা একেবারেই করুন। বর্ষাকালে বৃষ্টি হলে কাদা কাদা হয়ে যায়। যানবাহন তো দূরের কথা হেঁটে চলাচল করাটাও বিপজ্জনক। আশেপাশের সকল রাস্তা পাকা হলেও এই রাস্তাটি পাকা করার কোন উদ্দ্যোগ কেউ নিচ্ছে না। এই রাস্তাটির মাঝামাঝি রয়েছে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান -একটি দাখিল মাদরাসা ও একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। রাস্তার সর্বপশ্চিমে রয়েছে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- একটি ডিগ্রী মাদরাসা ও একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর পূর্বে রয়েছে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই রাস্তাটিই ছাত্র ছাত্রীদের একমাত্র পথ। বর্ষাকালে কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীদের কষ্টের সীমা থাকে না। নাউতারা, খালিশা চাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী এই তিন ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় বাজার চাপানী বাজার। নাউতারা ও খালিশা চাপানী ইউনিয়নের লোকদের চাপানী বাজারে যেতে হলে এই রাস্তাটি পাড়ি দিতে হয়। এছাড়া ডিমলা উপজেলায় যেতে ধুমপাড়া, খচরু পাড়া, মধ্যপাড়া, চৌধুরী পাড়া, মাওলানা পাড়ার লোকজনকে এই রাস্তাটি অতিক্রম করতে হয়। বাধা একটাই -রাস্তাটি বেহাল। রাস্তাটি পাকা হলে অত্র এলাকার কয়েক হাজার মানুষের কষ্ট লাঘব হবে। পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি ছাত্রছাত্রী ও প্রত্যান্ত অঞ্চলের মানুষের দিকে তাকিয়ে রাস্তাটি পাকা করার জরুরী উদ্দ্যোগ নিতে নীলফামারী ১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
লেখক, মোঃ আজিনুর রহমান লিমন, গ্রামঃ আছানধনী মিয়া পাড়া, ডাকঃ চাপানী হাট, উপঃ ডিমলা, জেলাঃ নীলফামারী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন