পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারের ভর্তুকি দেওয়ার কথা তুলে ধরে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে দেশের সকল নাগরিকদের অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় যাত্রা শুরু হয়েছে দেশের উচ্চগতি সম্পন্ন দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্টেশনের ভিডিও কনফারেন্সে কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
গতকাল রোববার গণভবনে এক অনুষ্ঠানে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেছেন,আপনারা বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হবেন। অহেতুক বিদ্যুৎ চালু রাখবেন না। আপনাদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ, নিজ হাতে সুইচ বন্ধ করুন। আমি যখন ঘর থেকে বের হই, আমি নিজ হাতে সুইচ বন্ধ করি। কাজেই আমি সবাইকে এটি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হবার অনুরোধ জানাব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার সারাদেশে বিদ্যুতের অপচয়রোধে প্রিপেইড মিটার অন্তর্ভুক্ত করবে। বিদ্যুৎ একটি দেশ ও জনগণের সম্পদ। কাজেই আমি সবাইকে এটি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হবার অনুরোধ জানাব।
সকালে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে সদ্যনির্মিত দুটি বিদুৎকেন্দ্র, ভারতের ত্রিপুরা থেকে রেডিয়াল মোডে অতিরিক্ত ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যক্রম এবং দশটি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন উদ্বোধন করেন। দুই হাজার ৫৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে আশুগঞ্জ সাড়ে ৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্টে জ্বালানি হিসাবে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হবে। চলতি বছরের ১১ জুন থেকে এই কেন্দ্র থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গত বছরের ২৩ মার্চ শেখ হাসিনা বাংলাদেশ-ভারত দ্বিতীয় গ্রিড আন্তঃসংযোগ এবং ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আশুগঞ্জ ৪৫০ মেগাওয়াট নর্থ কম্বাইন্ড সাইকল, সিম্পল সাইকল প্লান্ট (উত্তর) এবং ১০৮ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন কেরানিগঞ্জ ফার্নেস অয়েলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করেন। এ ছাড়া তিনি অনুষ্ঠানে ভারতের ত্রিপুরা থেকে রেডিয়াল মোডে অতিরিক্ত ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যক্রমও উদ্বোধন করেন। যেসব উপজেলা শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহের আওতায় এসেছে সেগুলো হচ্ছে-বাঘেরহাটের মোল্লাহাট এবং ফকিরহাট, দিনাজপুরের হাকিমপুর, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ এবং সিলেট সদর, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা, কিশোরগঞ্জের ভৈরব, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড এবং নরসিংদী জেলার নরসিংদী সদর।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বলানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এবং বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস একটি উপস্থাপনার মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক বিদ্যুৎ পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরেন। মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় শ্রেণি- পেশার জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।এর আগে মার্চে ১৬টি উপজেলার শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করা হয়। সরকারের লক্ষ্য ২০১৮ সালের মধ্যে দেশের ৪৬০ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করা। পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় যাত্রা শুরু হয়েছে দেশের উচ্চগতি সম্পন্ন দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্টেশনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্টেশন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সব উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডকে সাধুবাদ জানান সবাই। বিএসসিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, এখন কক্সবাজারে একটি সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন আছে। সেখান থেকে প্রতি সেকেন্ডে ২৫০ গিগাবাইট (জিবিপিএস) গতির ইন্টারনেট পাওয়া যাচ্ছে। এ থেকে আমরা সবার চাহিদা মেটাতে পারছি না। এখন কুয়াকাটার কাছাকাছি এ স্টেশনটি থেকে পর্যায়ক্রমে আমরা দেড় হাজার জিবিপিএস গতির ব্যান্ডউইথ সরবরাহের সক্ষমতা অর্জন করতে পারব।
মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনটি চালু হওয়ায় দেশীয় টেলিকম কোম্পানিগুলোকে বিদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ কিনতে হবে না। বরং অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত ব্যান্ডউইথ রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশ বড় অঙ্কের অর্থ উপার্জনের সুযোগ পাবে। এর ফলে একটি স্টেশনে সমস্যা হলে আরেকটি দিয়ে কাজ চালিয়ে নেওয়া যাবে। তা ছাড়া পটুয়াখালী, বরিশাল, যশোর, খুলনা, ফরিদপুরসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ কম দামে ব্যান্ডউইথ পাবে। এর গুণগত মান ভালো হবে এবং ইন্টারনেটের দ্রুততাও বাড়বে। জাপানের এনইসি এবং ফ্রান্সের অ্যালকাটেল লুসেন্ট যন্ত্রপাতি স্থাপনসহ এই সাবমেরিন কেবল নির্মাণ হয়েছে। কুয়াকাটা সৈকত থেকে একটি ব্রাঞ্চের মাধ্যমে মূল কেবলে বাংলাদেশ যুক্ত হবে। প্রায় ৬৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রকল্পটিতে বাংলাদেশ সরকার ১৬৬ কোটি টাকা ও বিএসসিসিএল ১৪২ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) প্রকল্পের বাকি প্রায় ৩৫২ কোটি টাকার ঋণসহায়তা দিয়েছে। ন্যাশন ওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কের (এনটিটিএন) অপারেটর হিসেবে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) কুয়াকাটা থেকে ঢাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে ব্যান্ডউইথ পৌঁছানোর জন্য অপটিক্যাল ফাইবার ব্যাকহোল তৈরির কাজ করেছে। উদ্বোধনের সময় কুয়াকাটা প্রান্তে পটুয়াখালী-৪ আসনের এমপি মো. মাহাবুবুর রহমান তালুকদার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম বিপিএম, বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদউদ্দিন মান্নান, পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক ড. মো. মাছুমুর রহমান, বিএসসিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ভিডিও কনফারেন্সিং’র মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরসিংদীসহ দেশের ১০ উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত ঘোষণা
সরকার আদম আলী,নরসিংদী থেকে : নরসিংদী সদর উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সিং’র মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা প্রদান করেছেন। একই সময়ে প্রধানমন্ত্রী বাগেরহাটের মোল্লাহাট, ফকিরহাট, দিনাজপুরের হাকিমপুর, ঝিনাইদহ’র কোটচাঁদপুর, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ ও সিলেট সদর, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা, কিশোরগঞ্জে ভৈরব ও চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত ঘোষণা করেন। এর মাধ্যমে রোববার সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয়বারের মত শতভাগ বিদ্যুতায়িত ১০টি উপজেলার নাম ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স উপলক্ষে নরসিংদী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়কে বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়। মূল অনুষ্ঠান পরিচালিত হয় জেলা প্রশাসকের কনফারেন্স রুমে। বাইরে জায়ান্ট পর্দার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে কনফারেন্স দেখার সুযোগ করে দেয়া হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের রাস্তা ডেকোরেশন ফ্লাগ দিয়ে সাজানো হয়। নিচে জায়ান্ট পর্দার সামনে দর্শকদের বসার জায়গা করা হয়। ভিডিও কনফারেন্স চলাকালে নরসিংদীতে উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী লে: কর্ণেল (অব:) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হীরু বীর প্রতীক, এড. নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এমপি, সিরাজুল ইসলাম মোল্লা এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নরসিংদী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ভূইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান ভূইয়া, সাবেক এমপি জহিরুল হক ভূইয়া মোহন, নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, পুলিশ সুপার আমেনা বেগম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মন্জুর এলাহী, নরসিংদী পৌরসভার মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল, মাধবদী পৌর সভার মেয়র মোশাররফ হোসেন মানিক, নরসিংদী চেম্বার অব কমাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ আল মামুন, নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোর্শেদ শাহরিয়ার, সাধারণ সম্পাদক সফিকুল মোহাম্মদ মানিক, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ডিজিএম মো: মোশাররফ হোসেনসহ বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তা।
কনফারেন্সে পানিস্পদ প্রতিমন্ত্রী লে: কর্ণেল (অব:) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হীরু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে। গত ৩০ বছরে বিভিন্ন সরকার বিদ্যুৎখাতের উন্নয়নে যা করতে পারেনি মাত্র ৮ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে ৩০ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করেছেন। ইতোপূর্বে কোন সরকার বিদ্যুৎ খাতে এত উন্নয়ন সাধন করতে পারেনি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌছে দেয়া হবে। দেশে বিদ্যুৎহীন কোন গ্রাম থাকবে না। বলাবাহুল্য যে, নরসিংদী পল্লীবিদ্যুত সমিতি’র অধীনে এ নিয়ে ৩টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়িত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নরসিংদী জেলা জেলার পলাশ ও সদর ও কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলা। প্রাপ্ত তথ্য মতে, সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ৩১২টি গ্রামে বিদ্যুত সুবিধা পৌছানো হয়েছে। নরসিংদী সদর উপজেলা ১,৮৭,৬১৭ জন গ্রাহকের মধ্যে ১,৬৭,১৮২ টি আবাসিক, ১০,২৭০টি বাণিজ্যিক, ১,৩৯৭ টি সেচ, ৭,০৮০ টি শিল্প ও বিবিধ সংযোগ রয়েছে ১,৬৮৮ টি। নরসিংদী সদর উপজেলায় পিক আওয়ারের বিদ্যুতের চাহিদা হচ্ছে ১৫৭ মেগাওয়াট। ভৈরব উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৮৪টি গ্রামকে বিদ্যুতায়িত করা হয়েছে। সেখানকার গ্রাহক সংখ্যা দাড়িয়েছে সর্বসাকুল্যে ৫৪ হাজার ১৬৫টি। নরসিংদী পল্লীবিদ্যুত সমিতি-২ এর জিএম সাইরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই বেলাব উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত করার কাজ শেষ হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে শিবপুর, ডিসেম্বর মাসে মনোহরদী ও রায়পুরা উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ শেষ হবে।
গণভবন থেকে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী : সীতাকুন্ডে শতভাগ বিদ্যুতায়ন
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় এসেছে। গতকাল (রোববার) সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সাথে দেশের আরো ৯টি উপজেলার শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি।
এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সীতাকুন্ড আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলম, বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমীন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শংকর রঞ্জন সাহা, সিএমপি কমিশনার মো. ইকবাল বাহার, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. মনির উজ-জামান, জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও বোয়ালখালী উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের আওতায় আসে।
সিলেটের দুই উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
সিলেট অফিস জানায় : সিলেটের সদর ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রোববার সকাল ১১টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই উপজেলাগুলোতে শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষে সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছিল। সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এমপি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের মহানগর ও জেলার নেতৃবৃন্দসহ সংসদ সদস্যবৃন্দ এবং প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২০২১ সালের মধ্যে দেশের সকল মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসার অংশ হিসেবে সরকার দেশের ১০টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় নিয়ে এসেছে। এই ১০টির মধ্যে রয়েছে সিলেটের দু’টি উপজেলা। এগুলো হচ্ছে সিলেট সদর ও ফেঞ্চুগঞ্জ। বাকি উপজেলাগুলো হচ্ছে, বাগেরহাটের মোল্লারহাট ও ফকিরহাট, দিনাজপুরের হাকিমপুর, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা, কিশোরগঞ্জের ভৈরব, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড ও নরসিংদী জেলার সদর উপজেলা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।