পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে বিজিএমইএ ভবন সরিয়ে নিতে আরও একবছরের জন্য আদালতের কাছে সময় চেয়েছে বিজিএমইএ। ভবন ভাঙ্গার ঠিক দুই দিন আগে গতকাল শনিবার বিজিএমএ’র কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান এ কথা জানান। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ১১ সেপ্টেম্বর বিজিএমইএ ভবন ভেঙ্গে উত্তরায় নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও বিজিএমইএ’র সভাপতি বলেছেন, উত্তরায় সরকারের কাছে ভবনের জমির বরাদ্দ পেলেও ভবন নির্মাণের কাজ এখনও শুরু হয়নি। কাজ সম্পূর্ণ করতে এক বছর লাগবে একারণে আদালতের কাছে সময় চাওয়া হয়েছে। বিজিএমইএ’র নতুন ভবন নির্মাণের জন্য জায়গা বরাদ্দ দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তৈরি পোশাক শিল্পের অভিভাবক সংগঠনটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজিএমইএ ভবন নির্মাণের জন্য রাজধানীর উত্তরা ৩য় প্রকল্পে ১৭ নম্বর সেক্টরে অর্ধেক মূল্যে সাড়ে ৫ বিঘা জমি বরাদ্দ দিয়েছেন। এই জমিতে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য আমরা ইতোমধ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করেছি। দ্রæততার সঙ্গে ভবন নির্মাণ করে আমরা সেখানে চলে যাবো।’ হাতিরঝিল প্রকল্পে বিজিএমইএ’র বর্তমান ভবন এবং নতুন ভবনে স্থানান্তর নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে অসত্য তথ্য পরিবেশন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজিএমইএ সভাপতি। এসব তথ্য ‘বিভ্রান্তিকর’ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়ের পর থেকেই দাপ্তরিক কাজের জন্য ভবন ভাড়া নেয়ার উদ্যোগ নেয় বিজিএমইএ। ৩’শ কর্মীর জন্য অফিস ভবন খুঁজে না পাওয়ায় হাইকোর্টের নির্ধারিত সময়ে বর্তমান ভবন থেকে সরে যাওয়া সম্ভব হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পোশাক শিল্প ইমেজ নির্ভর শিল্প। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই আদালতের রায় ঘোষণার প্রথমদিন থেকেই বলে আসছি নতুন ভবন নির্মাণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা চলে যাবো। নতুন ভবন সম্পন্ন হতে আরও ১ বছর সময় লাগবে। আমরা আশা করি সমগ্র অর্থনীতিতে এই শিল্পের অবদান বিবেচনা করে মহামান্য আদালত আমাদের এই আবেদন বিবেচনা করবেন।’ তবে গত ১২ মার্চ বিজিএমইএ’র সভাপতি জানিয়েছিলেন আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ৬ মাসের মধ্যেই বিজিএমইএ ভবন সরিয়ে নেয়া হবে। ৬ মাস পর রাজধানীর উত্তরায় তাদের নতুন ঠিকানা হবে। ১৯৯৮ সালের ২৮ নভেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজিএমইএ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ভবন নির্মাণ শেষ হলে ২০০৬ সালের ৮ অক্টোবর বিজিএমইএ ভবন উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এরপর থেকে বিজিএমইএ ভবনটি তাদের প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করছে।
রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই কারওয়ানবাজার সংলগ্ন বেগুনবাড়ি খালে বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে উল্লেখ করে ২০১০ সালের ২ অক্টোবর ইংরেজি দৈনিক ‘নিউ এজ’ পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই দিনই প্রতিবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ডি এইচ এম মনিরউদ্দিন আদালতে উপস্থাপন করেন। এর পরদিন বিজিএমইএ ভবন কেন ভাঙ্গার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তার কারণ জানতে চেয়ে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।