পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অঘোষিত সেনাশাসন চলছে : রোহিঙ্গা মুসলমান নিধন নিপীড়ন বিতাড়ন ভয়ঙ্কর মাত্রায় বৃদ্ধি : পাড়ায় পাড়ায় অগ্নিসংযোগ অব্যাহত- অনেক গ্রাম প্রায় জনশূণ্য : কত সংখ্যক মানুষ মারা গেছে হিসাব পাওয়াই কঠিন : নিখোঁজ হাজার হাজার : এখনও পাহাড়-জঙ্গল-গুহায় লাখো রোহিঙ্গা লতাপাতা খেয়ে পশুপাখির মতো বাঁচার চেষ্টা করছে : বাংলাদেশে পালিয়ে আসা উদ্বাস্তুর সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে : স্বজন হারানোর শোকের সাথে খাদ্য পানি চিকিৎসা আশ্রয় সঙ্কটে সীমান্তজুড়ে লাখো বনিআদমের আহাজারিতে বাতাস ভারী : মিয়ানমার নিরাপত্তা উপদেষ্টার আস্ফালন- ‘নাগরিকত্বের প্রমাণ ছাড়া কেউ আর ফিরে যেতে পারবে না’
পাশাবিক অত্যাচার-নিপীড়ন গণহত্যায় বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্য (রাখাইন স্টেট)। বাংলাদেশের কক্সবাজারের ওপারে আরাকানজুড়ে আদিবাসী রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাড়িঘরগুলো জ্বলছে আর জ্বলছেই। সবধরনের নির্মমতা চালানো হচ্ছে বর্মী সেনাবাহিনীর পূর্ব-পরিকল্পনা অনুসারে ছকে ছকে। গতকালও (শুক্রবার) আরাকানের আকিয়াব (সিটুইয়ে), মংডু, রাচিদং, বুচিদংসহ সমতল, পাহাড়-টিলা-উপত্যকাময় অনেক জনপদের উপর দিয়ে আগুনের লেলিহান শিখা এবং ধোঁয়ার কুÐলী উড়তে দেখা গেছে। পেট্রোল, কেরোসিন, গান পাউডার ছড়িয়ে এবং পেট্রোল বোমা ও আগুনি-বোমা মেরে বাড়িঘর পুড়ে ছাই করে দেয়া হচ্ছে। সীমান্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো এবং পালিয়ে আসা বিপন্ন রোহিঙ্গাদের জবানিতে আরও জানা গেছে, বর্মী সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে বিজিপি, গোয়েন্দা, পুলিশ মিলে যৌথবাহিনীর সাথে উগ্রমগ দস্যু যুবকরা হিং¯্র ও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। তারা রোহিঙ্গা মুসলমানদের পাইকারিভাবে নিধন, নিপীড়ন ও বিতাড়নের নামে বøক রেইড দিয়ে তথাকথিত অভিযান ভয়ঙ্কর মাত্রায় বৃদ্ধি করেছে। পাড়ায় পাড়ায় অগ্নিসংযোগ অব্যাহত রয়েছে। পুরুষদের গুলি করে হত্যা, মহিলাদের ধরে নিয়ে ধর্ষণ ও কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। শিশুদের আগুনের মধ্যে নিক্ষেপ করা হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের অনেক গ্রাম-পাড়া-মহল্লা গত দুই সপ্তাহের মধ্যেই প্রায় জনশূণ্য হয়ে গেছে। দমনাভিযানে এ পর্যন্ত কত সংখ্যক মানুষ অসহায়ভাবে মারা গেছে তার হিসাব পাওয়াই কঠিন একটি ব্যাপার। কেননা আরাকান রাজ্যে একমাত্র শাসকগোষ্ঠি ও মগরা ছাড়া মিডিয়া, সাহায্য-সেবা কিংবা মানবাধিকার সংস্থার কর্মীরাসহ দেশি-বিদেশি কারোরই স্বাভাবিক চলাচলের অনুমতি না থাকায় রাজ্যটি বলতে গেলে দীর্ঘদিন ধরেই একটি ‘ভয়াল ও নিষিদ্ধ জগতে’র মতোই। সেখানে কোন পর্যটক ভুলেও কখনো পা বাড়ান না।
এদিকে গত ১১ আগস্ট থেকে মুসলমানদের গ্রাম-পাড়াগুলো সেনাবাহিনী কর্ডন বা অবরুদ্ধ করে ‘মহড়া’ চালিয়ে এবং এরপর ২৪ আগস্ট থেকে ভয়াবহ আকারে রোহিঙ্গা নিমূল অভিযান শুরু হওয়ার পর এ যাবত নিখোঁজ কিংবা গুম রয়েছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা। তাদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যাই বেশি। এখনও আরাকানের পাহাড়-জঙ্গল-গুহায়, ধানক্ষেতে, খালে-বিলে, সমুদ্র উপকূলে পালিয়ে আছে লাখো রোহিঙ্গা। তারা লতাপাতা খেয়ে পশুপাখির মতো জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করছে। দীর্ঘ দূর্গম পথ পাড়ি দিয়ে অনেকে কক্সবাজারের টেকনাফ-উখিয়া ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসলেও অনেকে আসার পথে রয়েছে। আবার অনেকেই সীমান্তের জিরো লাইন বা নো ম্যানস ল্যান্ডে জড়ো হয়েছে প্রবেশের অপেক্ষায়। জাতিসংঘ ছাড়াও সাহায্য সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী ও চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী সংগঠনের কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশে পালিয়ে আসা উদ্বাস্তুর সংখ্যা খুব শিগগিরই তিন লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। এ যাবত এসেছে অন্তত দুই লাখ কিংবা আরও বেশি। সীমান্তের কাছাকাছি রয়েছে এখন প্রায় ৫০ হাজার রোহিঙ্গা। এ যাবত পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা বেশিরভাগই মহিলা, শিশু ও বয়োবৃদ্ধ। আশঙ্কা করা হচ্ছে চলমান অভিযানে পুরুষ রোহিঙ্গা অধিকাংশই আরাকানের মৃত্যুকুপে জীবন হারিয়েছে অথবা জীবন বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে। বাংলাদেশে পালিয়ে আসার পর থেকে স্বজন হারানোর শোকের মাতমের সাথে খাদ্য, পানি, চিকিৎসা ও আশ্রয় সঙ্কটে সীমান্তবর্তী বিশেষত টেকনাফ-উখিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকাজুড়ে লাখো বনিআদমের আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মাঝে পরিবার-পরিজনের খোঁজে অনেকেই স্থায়ী ও অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রগুলো এমনকি কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি থেকে ছুটে গেছে। আগে পালিয়ে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের হাত ধরে সদ্য আসা রোহিঙ্গারা বৃহত্তর চট্টগ্রামে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে প্রশাসন। এরজন্য নজরদারি বাড়ানো হলেও টেকসই কোন নিয়ম-নীতি নেই। আগে আশ্রিত ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গাসহ এবার উদ্বাস্তুর সংখ্যা অন্তত ৭ লাখে দাঁড়াতে পারে বলে একাধিক সূত্রের ধারণা। অথচ সেই অনুপাতে আশ্রয়কেন্দ্র, খাদ্য-পানি-চিকিৎসার সংস্থান না থাকায় রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের নিয়ে প্রশাসন ও সাহায্য সংস্থাগুলো হিমশিম অবস্থায় পড়েছে। যা আরও জটিলতার দিকে যাচ্ছে।
অঘোষিত মার্শাল ল’
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আরাকানে এখন চলছে অঘোষিত সেনাশাসন। মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা উ থাং তুন-এর পক্ষ থেকে প্রেসনোটের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, রাখাইনে আরও বেশিসংখ্যক সেনাবাহিনী পাঠানো হবে। উ থাং তুন আরও জানান, রাখাইন রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি ও রোহিঙ্গা াধ্যুষিত এলাকাগুলোতে মার্শাল ল’ জারি করতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি সরকার। বরং বেসামরিক সরকারের পরিস্থিতি মোকাবেলার সামর্থ্য রয়েছে। এজন্য রাখাইনে বর্ধিত হারে সেনা ও পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং সেনাবাহিনীর শক্তিবৃদ্ধি অব্যাহত আছে। বৃহস্পতিবার মিয়ানমার রাজধানী নেপিডোতে অনুষ্ঠিত রাখাইন দমনাভিযান নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট তিন চ্যাও। সভাশেষে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা উ থাং তুন গণহত্যা বন্ধের আশা কার্যত নাকচ করে দিয়ে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে আনা বা তাদের ভাগ্য সম্পর্কে দম্ভোক্তি ও আস্ফালনের সাথে সাফ জানিয়ে দেন, ‘নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র ছাড়া কেউ আর ফিরে যেতে পারবে না’। প্রসঙ্গত মিয়ানমারে (বার্মা) হাজার বছর ধরে বসবাসরত শান্তিপ্রিয় আদিবাসী রোহিঙ্গাদের মৌলিক নাগরিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে আগেই। তাদেরকে নাগরিকত্ব কার্ড দেয়া হয়নি। জন্মভূমির নাগরিক হিসেবে কোন পরিচয়ই রাখা হয়নি। এরফলে তারা (বাংলাদেশে পালিয়ে আসা) রোহিঙ্গারা কীভাবে প্রমাণপত্র দেবে? আর তা সম্ভব নয় বলেই তাদেরকে বিতাড়িত করে ভবিষ্যতে স্বদেশে প্রত্যাবাসনের পথ চিরতরে রুদ্ধ করে দেয়ার পাঁয়তারা করছে মিয়ানমার সরকারিমহল। অথচ রোহিঙ্গারা শুধুমাত্র জীবন এবং মহিলারা ইজ্জত-আব্রæ বাঁচাতেই গণহত্যা, নির্যাতনের মুখে কোনমতে পালিয়ে এসে তাদের কাছে সম্পূর্ণ এক ‘অচেনা জগত’ বাংলাদেশে আশ্রয় খুঁজছে। আর তাদেরকে ‘বাঙ্গালী সন্ত্রাসী’ আখ্যায়িত করে দেশছাড়া করছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
চারদিকে শুধু আগুন ধোঁয়া আর ছাই
আরাকান (রাখাইন) রাজ্যের চারদিকে শুধু আগুন ধোঁয়া আর ছাই উড়ছে। গত বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনীর দেয়া বেশকিছু শর্ত অনুসারে একদল বিদেশি সাংবাদিক রাখাইন রাজ্যের সীমিত কিছু এলাকায়, সীমিত সময়ের জন্য দেখতে যেতে সরকার অনুমতি দেয়। সেই ‘রেজিমেন্টেড’ বা নিয়ন্ত্রিত পরিদর্শনে গিয়ে রাখাইনে অকল্পনীয় ধ্বংসযজ্ঞ দেখলেন সাংবাদিকরা। গিয়ে প্রথম গ্রামটিকেই তারা দেখেন আগুনে জ্বলতে। তারা দেখেছেন, গ্রামগুলোতে নতুন করেই আগুন দেয়া হয়েছে। তখনও চোখের সামনে দিয়ে সেখানকার ঘরবাড়িগুলো দাউদাউ করে আগুন জ্বলছিল। মসজিদ-মাদরাসা ধ্বংস করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনের পৃষ্ঠাগুলো এখানে-ওখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে। রাখাইন রাজ্য ছেড়ে ইতিমধ্যে পালিয়ে গেছে রোহিঙ্গারা। গ্রামগুলোর এসব দৃশ্য রাখাইন পরিস্থিতি সম্পর্কে মিয়ানমার সরকারের বক্তব্যের সাথে মিলে না। অথচ সরকার শুরু থেকেই দাবি করে আসছে, নিপীড়িত রোহিঙ্গারাই নাকি নিজেদের ঘরবাড়িতে আগুন দিচ্ছে। দু’ডজন সাংবাদিক রাখাইন রাজ্য পরিদর্শনকালে খÐিত চিত্রের মধ্যেও দেখতে পান, মিয়ানমার শাসকদের দাবির ঠিক বিপরীত চিত্র। সাংবাদিকদের মধ্যে আলজাজিরার এক মহিলা তথ্যচিত্র নির্মাতা বলেন, ‘রাখাইন রাজ্যে আমি ‘অকল্পনীয় ধ্বংসযজ্ঞ’ দেখেছি’। যেসব পাড়ায় সাংবাদিকদের পরিদর্শনের অনুমতি ছিল সেগুলোতে কোথাও কোনো রোহিঙ্গাকে দেখতে পাননি তারা। একজন গ্রামবাসী জানান, পুলিশ ও বৌদ্ধ অধিবাসীরা মিলে রোহিঙ্গাদের গ্রামগুলোকে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। এরমধ্যে গৌদা গ্রামের যেসব বাড়িঘর, ভবন জ্বালিয়ে দেয়া হয় এরমধ্যে একটি মাদরাসাও দেখা গেছে। সেখানে পবিত্র কোরআনসহ ইসলামী বই-পুস্তক মাটিতে ফেলে আগুন দেয়া হয়েছে। আহ লেল থান কিয়ো নামে আরেকটি গ্রাম আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। সেটিকে মরুভূমির মতো দেখাচ্ছিল। যেখানে গিয়েছেন সেখানে সাংবাদিকরা দেখতে পান বাড়িঘরের উপর আগুন, ধোঁয়া, ছাই উড়তে। বেশকিছু গাড়ি, মোটর সাইকেল ও বাইসাইকেল এবং বাড়ির সামনে ও রাস্তাঘাটে গৃহস্থালী জিনিস, পোড়া ও আধাপোড়া আসবাবপত্র, কাপড়-চোপড়, শিশুদের খেলনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে। গৌদা গ্রামের একটি মসজিদও ধ্বংস করা হয়েছে। সাংবাদিকরা আরও জানান, দূরের আরও গ্রাম-পাড়া থেকে ধোঁয়ার কুÐলী উঠতে দেখা গেছে। একই সঙ্গে গুলির আওয়াজও শোনা যাচ্ছিল। চারিদিকে সুনসান নিরবতা ছাড়া কোথাও চোখে পড়েনি স্বাভাবিক জীবনযাত্রার সামান্যটুকু নমুনাও।
অজুহাতের দিয়ে স্বরূপে নির্মমতা
গত ১১ আগস্ট থেকে মুসলমানদের গ্রাম-পাড়াগুলো সেনাবাহিনী কর্ডন বা অবরুদ্ধ করে ‘মহড়া’ চালিয়ে এবং এরপর ২৪ আগস্ট থেকে ভয়াবহ আকারে রোহিঙ্গা নিমূল অভিযান শুরু হওয়ার পর এ যাবত নিখোঁজ কিংবা গুম রয়েছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা। ২৪ আগস্ট সকালে মিয়ানমার সরকারের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী অং সান সুচি এবং সরকার প্রধানের হাতে রাখাইনের রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব, চলাফেরার স্বাধীনতাসহ মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়াসহ ৮৭টি সুপারিশ সহকারে ৬৩ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন পেশ করেছিলেন একটি আন্তর্জাতিক কমিশনের প্রধান সাবেক জাতিসংঘ মহাসচিব কফি আনান। এটি অবিলম্বে বাস্তায়নের জন্যও তাগিদ দেয় আনান কমিশন। অন্যদিকে সেদিনই সন্ধ্যায় পশ্চিম আরাকানে (রাখাইন) ২০টি নিরাপত্তা চেকপোস্টে বোমা হামলা চালায় কথিত বিদ্রোহীরা। ‘আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি (আরসা)’ নামক একটি সংগঠন হামলার দায় স্বীকার এবং ২৫ আগস্ট আরসাকে নিষিদ্ধ ঘোষণার কথাও জানায় মিয়ানমার সরকার। অথচ সেই হামলার অজুহাতে নিরীহ-নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নর-নারী-শিশু-বৃদ্ধ নির্বিশেষে সমগ্র জাতিগোষ্ঠির উপর সেই ২৪ আগস্ট থেকেই নেমে আসে বর্বরোচিত কায়দায় নিধন-নিপীড়ন, জ্বালাও পোড়াও এবং সমূলে উচ্ছেদ করে বিতাড়ন। ঠিক একই কায়দায় গতবছররের ৯ অক্টোবর চেকপোস্টে এক হামলায় ৯ জন পুলিশ নিহত হওয়ার পরপর সেই একই অজুহাতে পরিচালিত নির্মম নিপীড়নের মুখে ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসে ঠাঁই নেয়। এহেন নিপীড়ন পরিকল্পিত বলেই আন্তর্জাতিক মিডিয়া ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো সন্দেহ করে আসছিল। চলমান রোহিঙ্গা খেদাও ও গণহত্যার বর্বরতা বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সেই সন্দেহই বাস্তবে রূপ নিয়েছে। # ০৮/০৯/১৭ইং
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।