Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আসছে ১০ উপজেলা

আগামী রোববার উদ্ধোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

 স্টাফ রিপোর্টার : দেশের আরও ১০টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আসছে। আগামী রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এই ১০টি উপজেলার শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় নিয়ে আসার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, নতুন করে ঘোষণা করতে যাওয়া এই ১০টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আসছে উপজেলাগুলো হচ্ছে, বাগেরহাটের মোল্লারহাট ও ফকিরহাট, দিনাজপুরের হাকিমপুর, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর, সিলেটের সদর ও ফেঞ্চুগঞ্জ, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা, কিশোরগঞ্জের ভৈরব, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড ও নরসিংদী জেলার সদর উপজেলা সহ দেশে মোট ৪৩টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় এসেছে। আরও ৩৫টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়ন হওয়া শিগগিরই উদ্বোধন করা হবে। এছাড়া দেশের অনেক উপজেলায় মাত্র এক থেকে দুই কিলোমিটার এলাকা বিদ্যুতের আওতায় আসা বাকি রয়েছে। ফলে এ বছরের মধ্যেই সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ৪৬০টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ওদিন প্রধানমন্ত্রী আশুগঞ্জ ৪৫০ মেগাওয়াট নর্থ কম্বাইন্ড সাইকেল, সিম্পল সাইকেল প্লান্ট (দক্ষিণ) এবং কেরানীগঞ্জে ১০৮ মেগাওয়াটের ফার্নেস ওয়েলভিত্তিক বিদ্যুৎ প্লান্ট উদ্বোধন করবেন। তাছাড়াও, তিনি ত্রিপুরা থেকে ৬০ মেগাওয়াট অতিরিক্ত বিদ্যুৎ আনার সঞ্চালন লাইনের উদ্বোধন করবেন। সরকার শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় নিয়ে আসতে ২০২১ সালের মধ্যে প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর বলে ইনকিলাবকে জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি)-র চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মইন উদ্দিন বলেন, ১৬টি উপজেলা ইতোমধ্যেই শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। আরও ৩৫টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় নিয়ে আসার কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি জানান, বিআরইবি এবছরের মধ্যেই ৪৬০টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় নিয়ে আসতে পারবে এবং ২০২১ সালের মধ্যে ৪৯১টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনতে সক্ষম হবে বলে আশা করছে। বিআরইবি চেয়ারম্যান বলেন, এক কোটি ৭৪ লাখ গ্রাহক দেশের বিভিন্ন স্থানের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে বিদ্যুৎ সেবা পাচ্ছে। এছাড়া আমরা সিস্টেম লস ১১ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি।
জাতীয় গ্রীডে যোগ হচ্ছে আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪৫০ মেগাওয়াট (নর্থ) নামে আরো একটি নতুন ইউনিটের উৎপাদন
মোঃ হুমায়ূন কবির আশুগঞ্জ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)থেকেঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানীর উৎপাদন ৩ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। নতুন করে জাতীয় গ্রীডে যোগ হয়েছে ৪৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন আশুগঞ্জ কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট নামে আরো একটি নতুন ইউনিট।বর্তমানে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এনিয়ে মোট ১১টি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা দাড়িয়েছে ১৮‘শ মেগাওয়াটে।আগামী ১০ সেপ্টেম্বর রবিবার ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে এই নতুন পাওয়ার প্ল্যান্টের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই উপলক্ষে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানীর পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে তা জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
কারখানা সূত্রে জানা যায়, ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ”এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বর্তমান মহাজোট সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পানা গ্রহন করেছে। দেশের বৃহৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানীর ৪৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট(নর্থ) ইউনিটের নির্মান কাজ ২০১৪ সালের ২এপ্রিল শুরু হয়।এডিবি,আইডিবি ও জিওবি ঋন সহায়তায় এবং আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানীর নিজস্ব তহবিল থেকে ২৫৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৮ মাসের মধ্যে এই ইউনিটের নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়। এর মধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিজস্ব তহবিল ছিল ২৯০ কোটি টাকা এবং বিদেশী ঋণ ২৩০০ কোটি টাকা। প্রাকৃতিক গ্যাস ভিত্তিক এই পাওয়ার প্ল্যান্টটির নির্মাণ কাজ শেষে চলতি বছরের ১১ জুন থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে। এই ইউনিটের নির্মাণ কাজ করেছেন স্পেনের ইউটিই-টেকনিকাস রিইউনিডাস এন্ড টিএসকে ইলেক্ট্রনিকা ওয়াই ইলেক্ট্রি সাইডাড গ্রæপো এসএ নামে ২টি ঠিাকাদারী প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে এই ইউনিট থেকে ৩৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন আশুগঞ্জ পাওয়া স্টেশন কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ সাজ্জাদুর রহমান।এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আশুগঞ্জ পাওয়া স্টেশন কোম্পানীর নির্বাহী পরিচালক(পরিকল্পনা ও প্রকল্প) আজিত কুমার সাহা,নির্বাহী পরিচালক (প্রকৌশল) এম.এ ইয়াকুব,প্রধান প্রকৌশলী মোঃ শাহ আলম ও প্রকল্প পরিচালক ক্ষিতিশ চন্দ্র বিশ্বাসসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা । প্রাকৃতিক গ্যাস ভিত্তিক এই পাওয়ার প্ল্যান্টটির নির্মান কাজ শেষে চলতি বছরের ২০১৭ সালের ১১জুন থেকে বানিজ্যিক ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছে।এই ইউনিটের নির্মান কাজ করেছেন স্পেনের ইউটিই-টেশনিকাস রিইউনিডাস(টিআর) এন্ড টিএসকে গ্রæপো এসএ নামে দু‘টি ঠিাকাদারী প্রতিষ্ঠান। প্রথম দিকে ২৫০ মেগাওয়াট থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৩‘শ৬০ মেগাওয়াটে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা হলেও আগামীতে প্রয়োজনে ৪‘শ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উন্নীত করা সম্ভব।
জানা যায়,আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এনিয়ে মোট ১৩টি ইউনিটের পুরাতন ২টি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে । পুরাতন ২টি ইউনিট হল ৫৬ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন জিটি-১ ও ৩৪ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এসটি । এই বৃহৎ পাওয়ার প্ল্যান্টটিসহ মোট ১১টি ইউনিট চালুর মধ্য দিয়ে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানীর উৎপাদন ক্ষমতা দাড়িয়েছে প্রায় ১হাজার ৬২৭মেগাওয়াট ।





 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ