Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের মৌলিক দায়িত্ব -ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০৪ পিএম | আপডেট : ১২:০৫ পিএম, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিশ্ববাসী যখন রাখাইন (আরাকান) রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যা, নির্যাতন ও নিজেদের বসত বাড়ি থেকে উৎখাতের বিরুদ্ধে সোচ্চার তখন বাংলাদেশ সরকার নিশ্চুপ। তিনি বলেন, সরকার মানবিক ও কূটনৈতিক দিক থেকে রোহিঙ্গাদের ইনকিলাব ডেস্ক
রাখাইন সংকটে যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা ও উদ্বেগ
মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের রক্তক্ষয়ী হামলার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রাখাইন সংকটে উদ্বেগ জানিয়ে সেখানে মানবিক সাহায্য কর্মীদের প্রবেশের অনুমতি দিতে দেশটির কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আজ শুক্রবার আল জাজিরা টেলিভিশনের অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র হিথার নওয়ার্ট গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, রাখাইনে গণহারে রোহিঙ্গা গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া, নিরাপত্তা বাহিনী ও সশস্ত্র বেসামরিক লোকজন কর্তৃক সহিংসতাসহ গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরিপ্রেক্ষিতে বড় ধরনের বাস্তুচ্যুতি ঘটেছে।

হিথার নওয়ার্ট বলেন, ‘মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর রক্তক্ষয়ী হামলা ফের নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে স্থানীয় (রাখাইন) লোকজনের ওপর দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর আরও হামলা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মতো আমরাও আহ্বান জানাই।’

মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চি গতকাল দাবি করেন, তাঁর সরকার রাখাইন রাজ্যের প্রত্যেকে রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ‘এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল’-এর সঙ্গে আলাপকালে এই দাবি করেন সু চি। তবে তিনি রাখাইনে নির্যাতনের শিকার সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিষয়ে কোনো কিছু বলেননি।
গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের কয়েকটি তল্লাশি চৌকিতে উগ্রবাদীদের হামলার সূত্র ধরে রাখাইন রাজ্যে দমন অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এরপর থেকেই প্রাণভয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে।

রাখাইনে সহিংসতা থেকে প্রাণ বাঁচাতে প্রায় ৩ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে বলে ধারণা করছে জাতিসংঘ। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকায় রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের আসা অব্যাহত আছে। নতুন আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল হলেও সংখ্যাটা এখন ৩ লাখের ধারেকাছে বলে মনে করছে জাতিসংঘ।

বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। পালিয়ে আসা আশ্রয়প্রার্থীরা সীমান্তের ওপারে সেনাবাহিনীর হত্যা, ধর্ষণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পরিকল্পিত দমন অভিযানের বিবরণ দিচ্ছে।

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা দুই সপ্তাহ ধরে অব্যাহত থাকায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে নিন্দা অব্যাহত রয়েছে।আশ্রয়ের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি।

আজ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। রোহিঙ্গা মুসলমানদের হত্যা ও নির্যাতন বন্ধের প্রতিবাদে দিলটি এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া ও তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের মৌলিক দায়িত্ব, বিশ্ব মানবতার পাশে সব সময় দাঁড়াতে হবে, একথা পরিষ্কার করে সংবিধানে বলা আছে। কিন্তু সরকার এক্ষেত্রে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।

সরকারকে গণবিচ্ছিন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, গণবিচ্ছিন্ন হওয়ায় জনগণের কাছে সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ