পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান। গতকাল (বুধবার) সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি এই দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণকালে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সকলের সহযোগিতা চান। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এর আগে ২০১৬ সালের ২৩ জুন থেকে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান ২০১৪ সালে কলা অনুষদের ডিন নির্বাচিত হন। প্রেসিডেন্ট ও চ্যান্সেলর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩-এর ১১(২) ধারা মোতাবেক সাময়িকভাবে তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির দায়িত্ব প্রদান করেছেন।
সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত : ড. মো. আখতারুজ্জামান ১৯৬৪ সালের ১ জুলাই বরগুনা জেলার আজিজাবাদ উপজেলার কালিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের বি এ অনার্স ও এম এ পরীক্ষায় ১ম স্থান অধিকার করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিপ্লোমা ইন পার্সিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ বিষয়ক পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট সম্পন্ন করেন। তিনি ভারতের আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ ডি ডিগ্রি অর্জন করেন। যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন কলেজের ফুলব্রাইট স্কলার এবং যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ ফেলো ছিলেন তিনি। ১৯৯০ সালে তিনি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের লেকচারার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৯৫ সালের ১৫ জানুয়ারি সহকারী অধ্যাপক, ২০০০ সালের ২ জানুয়ারি সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০০৪ সালে তিনি অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি বিভাগীয় চেয়ারম্যান এবং ২০০৭ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত কবি জসীম উদদীন হলের প্রাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৪, ২০০৫ ও ২০০৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং ২০০৯ ও ২০১১ সালে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। তিনি বিভিন্ন মেয়াদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা-সহায়তা ট্রাস্টের সদস্য, পাঠ্যপুস্তক সংকট নিরসন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক, পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বিতরণ পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শদান জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক, জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য, ন্যাশনাল কারিক্যুলাম কো-অর্ডিনেশন কমিটির (এনসিসিসি) সদস্য, জার্নাল অব সিরাজুল হক সেন্টার ফর ইসলামিক রিসার্চ এবং জার্নাল অব দি এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ (হিউম্যানিটিজ)-এর সম্পাদনা পরিষদের সদস্য, বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ পত্রিকা “ইতিহাস”-এর সম্পাদক, এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ-এর কাউন্সিল মেম্বর, বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ-এর সাধারণ সম্পাদক, আলীগড় ওল্ড বয়েজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর সাধারণ সম্পাদক, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা (ষষ্ঠ-দশম শ্রেণি) পাঠ্যপুস্তকের সম্পাদক, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় (নবম-দশম শ্রেণি) পাঠ্যবইয়ের পরিমার্জনকারী এবং বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস)-এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ফর আমেরিকান স্টাডিজ, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ফর ফুলব্রাইট স্কলার্স ও ইন্ডিয়ান হিস্ট্রি কংগ্রেসসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। দেশ-বিদেশে প্রকাশিত বিভিন্ন জার্নালে তাঁর ৪২টি গবেষণামূলক প্রবন্ধ রয়েছে। অনন্য সাধারণ গবেষণার জন্য ২০০৮ সালে তিনি ‘বিচারপতি ইব্রাহিম স্বর্ণপদক’ লাভ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।