Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সহযোগিতা জোরদার করতে ব্রিকস দেশগুলো সম্মত

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:১০ এএম

চীন ও ভারতসহ তিনটি প্রধান উদীয়মান অর্থনীতি গতকাল সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী সংগঠন সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে তাদের বিরুদ্ধে সহযোগিতা জোরদারে সম্মত হয়েছে। এসব সংগঠনের মধ্যে পাকিস্তানের কিছু সন্ত্রাসী সংগঠনও রয়েছে। এটা নয়া দিল্লীর জন্য এক কূটনৈতিক বিজয় বয়ে এনেছে।
চীনের জিয়ামেন নগরীতে অনুষ্ঠিত ব্রিকস (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা) শীর্ষ বৈঠকে গৃহীত ঘোষণায় পাকিস্তানভিত্তিক লশকর-ই-তৈয়বা ও জইশ-ই-মুহাম্মদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। জিয়ামেন ঘোষণায় আরো যাদের নাম আছে তাদের মধ্যে রয়েছে ইসলামিক স্টেট ও আল কায়েদা।
পাকিস্তানের এক গুরুত্বপূর্ণ মিত্র চীন জইশ-ই-মুহাম্মদের নেতা মাসুদ আজহারকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কালো তালিকাভুক্ত করার ভারতের চেষ্টায় বারবার বাধা প্রদান করার ফলে তা সফল হয়নি। ভারত তার প্রধান শত্রæ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তার মাটিতে হামলা চালানোর জন্য জঙ্গিদের আশ্রয়দান ও প্রশিক্ষণ দেয়ার অভিযোগ করেছে।
ভারতের সাথে দোকলাম নিয়ে সৃষ্ট সঙ্কট ১০ সপ্তাহ পর নিরসন হওয়ার পর ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যোগদানের পথ সুগম হয়।
জিয়ামেন ঘোষণায় আফগানিস্তানে সক্রিয় হাক্কানি নেটওয়ার্ক এবং চীনের উত্তর পূর্বের জিনজিয়াং অঞ্চলে অসন্তোষ সৃষ্টিকারী পূর্ব তুর্কিস্তান ইসলামি মুভমেন্টের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা প্রীতি সরণ বলেন, ব্রিকস শীর্ষ বৈঠকে এই প্রথমবার সন্ত্রাসী গ্রæপগুলোর সুনির্দিষ্ট একটি তালিকা করা হয়েছে। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
সরণ পাকিস্তান ভিত্তিক সংস্থাগুলোর তালিকা করা ও দোকলাম থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের মধ্যে কোনো যোগসূত্র থাকার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, এটি ৫টি সার্বভৌম দেশের বহুমাত্রিক ফোরাম। অন্য কোনো ঘটনার সথে এ ফোরামের কোনো যোগসূত্র নেই।
জিয়ামেন ঘোষণায় বলা হয়, আন্তর্জাতিক আইনের সাথে সঙ্গতি অনুসারে সন্ত্রাসী গ্রæপগুলোর বিরুদ্ধে সকল দেশের ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই করা উচিত। তবে কোনো রাষ্ট্রের সার্বভৌম বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার গুরুত্বের উপর জোর দেয়া হয়।
কূটনীতিকদের মতে, দোকলাম সঙ্কটের পরে অন্তত ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন চলাকালীন চীনও আর তিক্ততা বাড়াতে চায় না। তাই সম্মেলনের শুরুতে সন্ত্রাস নিয়ে মুখ খুলে নিজেই আলোচনার সুর বেঁধে দেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় সামগ্রিক পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে হবে। সন্ত্রাসের মূল কারণ ও উপসর্গ, এই দু’টি বিষয়েরই মোকাবিলা করা প্রয়োজন। তা হলে জঙ্গিরা লুকনোর জায়গা পাবে না।’’
ব্রিকসের সদস্য দেশগুলির মতভেদ ভুলে পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়ানো উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন শি জিনপিং। তার কথায়, কোনো সমস্যা হলে কূটনীতির মাধ্যমেই মেটাতে হবে। সূত্র : এপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ