পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা
ধর্ষণের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করা আইনের ছাত্রী রূপা প্রামাণিকের লাশ টাঙ্গাইলের কবর থেকে উত্তোলন করে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার আছানবাড়ি গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে কবর দেওয়া হয়েছে। রূপার ভাই হাফিজুর প্রামাণিকের আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার মধ্যে লাশ উত্তোলন করে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া। পুলিশের উপস্থিতিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রহিম সুজন রূপার লাশ তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করেন। গত শনিবার অজ্ঞাত হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে রূপাকে কবর দেওয়া হয়।
এর আগে গত বুধবার লাশ উত্তোলন করে নিজ এলাকায় দাফনের জন্য নিহতের ভাই হাফিজুর প্রামাণিক মধুপুর আমলী আদালতে আবেদন করলে বিচারক তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদনের নির্দেশ দেন। পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটার মধ্যে লাশ উত্তোলন করে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করার নির্দেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রহিম সুজনকে লাশ উত্তোলন করে তার ভাই হাফিজুর প্রামাণিকের নিকট হস্তান্তরের আদেশ দেন। পরে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে লাশ উত্তোলন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রহিম সুজন রূপার ভাই হাফিজুর প্রামাণিকের নিকট হস্তান্তর করেন। এর পরই এম্বুলেন্সে করে রূপার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে সিরাজগঞ্জের তারাশ উপজেলার আছানবাড়ি গ্রামের নিজ বাড়িতে।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ আগস্ট শুক্রবার রাতে ঢাকার আইডিয়াল ল’ কলেজের আইনের ছাত্রী রূপা প্রামাণিককে ধর্ষণের পর হত্যা করে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে মধুপুর উপজেলার পচিশ মাইল এলাকায় ফেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে তার ভাই হাফিজুর প্রামাণিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সুত্র ধরে মধুপুর থানায় এসে নিহতের ছবি দেখে তার বোনকে সনাক্ত করে। এসময় হাফিজুর জানায়, তাদের বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার আছানবাড়ি গ্রামে। তাদের পিতার নাম জিলহাস প্রামাণিক। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে গত সোমবার ছোয়া পরিবহনের বাসের চালক হাবিবুর রহমান (৩০), সুপারভাইজার ফজল আলী (৫৮), সহকারি শামীম (২৭), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) আটক করে মধুপুর থানা পুলিশ। আটককৃতরা টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নিকট ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করে। এসময় তারা দোষ স্বীকার করে লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দেয়। এর আগে শনিবার লাশের ময়না তদন্ত শেষে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে কবর দেওয়া হয় রূপাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।