Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আওয়ামী লীগের তৃণমূল সবসময় সঠিক, উঁচু মহলে উল্টাপাল্টা প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, একসময় ছয় দফা হবে না আট দফা হবে তা নিয়ে দলের মধ্যে তুমুল বিতর্ক হলো। পাকিস্তান থেকে দলের নেতারা আসলেন। আওয়ামী লীগের একটা গুণ আছে দলের তৃণমূল নেতারা সব সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু উঁচু মহলে গেলে একটু উল্টোপাল্টা হয়ে যায়। তখন দেখেছি অনেক বড় বড় নেতারা আট দফার দিকে জোর দিচ্ছেন। কিন্তু মার একটাই কথা ছিলো উনি (বঙ্গবন্ধু) ছয় দফা দিয়ে গেছেন, এর বাইরে যাওয়া যাবে না। তখন মায়ের পক্ষে ছিল পার্টির তৃণমূল কর্মী আর ছাত্রলীগ। পরে ২/৩ দিন মিটিংয়ের পরে সিদ্ধান্ত হয় ছয় দফাই থাকবে। এজন্য কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসেনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার শোকের মাস আগস্ট উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব স্মরণে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এই আলোচনা সভা হয়। ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন।
শেখ হাসিনা বলেন, সে সময় আমিও অনেক নেতার সঙ্গে তর্ক করেছি। আমাদের ধানমন্ডির বাসা থেকে বেরিয়ে তর্ক করতে করতে অনেক সময় মিরপুর রোড পর্যন্ত চলে যেতাম। কিন্তু তারা বলতেন, তুমি ছোট মানুষ, তুমি এসব বুঝবে না। তিনি জানান, পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে প্যারোলো জামিন দিতে চেয়েছিল। তাকে নেয়ার জন্য বিমানও প্রস্তুত ছিল। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা অনেকেই এর পক্ষে ছিলেন। তারা বঙ্গবন্ধুকে বোঝানোর চেষ্টাও করেছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তার সহধর্মিনীর পরামর্শে তাতে সম্মত হননি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেতারা বঙ্গবন্ধুকে বোঝাতে না পেরে আমার মায়ের কাছে আসেন। তারা এসে সবচেয়ে জঘন্য কথাটি বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে প্যারোলে জামিনের অনুমতি না দিলে আপনাকে বিধবা হতে হবে। কিন্তু আমার মা তাদেরকে বলেছিলেন, বন্দী আরও অনেকেই আছে, তাদের স্ত্রীদের কথাও তো চিন্তা করতে হবে। বঙ্গবন্ধু দেশের জন্য কাজ করেন। তিনি সসম্মানে ফিরে আসবেন। তিনি বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ নিয়েও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা অনেকে অনেক কথা বলেছেন। কেউ কেউ লিখিত পয়েন্ট দিয়েছেন। কিন্তু বাবাকে উদ্দেশ্য করে আমার মা বললেন, তোমার সামনে জনগণ, পেছনে ইয়াহিয়া খানের বন্দুক। কারও কথা শোনার দরকার নেই। তোমার মনে যে কথা আসে সেই কথা বলবা। কারও কথা শোনার দরকার নেই। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ঐতিহাসিক সেই ভাষণে তাই বলেছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সবসময় বঙ্গবন্ধুর পাশে ছিলেন তার সহধর্মিনী। স্বাধীনতার পেছনে বঙ্গমাতার অবদান অনেক। তাকে পাশে পেয়েছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা আনতে পেরেছেন। তিনি তার মায়ের স্মৃতিচারণ করে বলেন, আব্বা কেন মন্ত্রীত্ব ছাড়লেন; এজন্য কোনো অভিযোগ করেননি আম্মা। তিনি আব্বার প্রতিটি পদক্ষেপে সমর্থন দিয়েছেন। মায়ের মধ্যে কোনো হা-হুতাশ ছিল না। তার কোনো চাহিদা ছিল না। কোনো কিছু বলে বাবাকে তিনি বিরক্ত করেননি।
দলের জন্য বঙ্গমাতার অবদানের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি দল থেকে, সরকার থেকে কোনো কিছু নেননি। বরং দলের প্রয়োজনে নিজের গহনাগাটি পর্যন্ত বিক্রি করে দিয়েছেন। যেসব নেতা কারাগারে ছিলেন তাদের বাড়িতে গিয়ে বঙ্গমাতা বাজার-খরচ দিয়ে আসতেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি জানান, বঙ্গমাতা খুনি মোশতাকের বাসায়ও বাজার-খরচ পৌঁছে দিয়েছেন। কিন্তু সেই মোশতাক গাদ্দারি করে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশে দেখি অনেকে রাজনীতিবিদ হয় অর্থকড়ি কামাই করতে। সমাজে প্রতিপত্তি বিস্তার করতে। কিন্তু জাতির পিতার রাজনীতি ছিল দেশকে কী দেবেন, মানুষকে কী দেবেন, সেই চিন্তা। আমরা প্রায়ই দেখি মন্ত্রীত্ব পাওয়ার জন্য দল ত্যাগ করে, আর বঙ্গবন্ধু দলের জন্য মন্ত্রীত্ব ত্যাগ করেছেন। যারা দেশের ও মানুষের জন্য রাজনীতি করতে চান তাদের জন্য এটা একটি বিশেষ শিক্ষা।
ছয় দফাকে কেন্দ্র করে পুরো আন্দোলনটাই আমার মা গড়ে তুলেছিলেন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সব কাজের পেছনে তার স্ত্রী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার অসামান্য অবদান ছিল উল্লেখ করে তাদের কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যতবারই আব্বাকে জেলে যেতে হয়েছে মা কখনোই মনোবল হারাননি। সংসারের সব ঝামেলা থেকে তাকে দূরে রাখতেন। পাশাপাশি সংগঠনের প্রতি দৃষ্টি দিতেন। ছাত্রলীগের একটা যোগাযোগ মায়ের সঙ্গে ছিল। তিনি আত্মপ্রচারে বিশ্বাস করতেন না। পর্দার আড়ালে থেকেই সব করতেন। ছয় দফাকে কেন্দ্র করে পুরো আন্দোলনটাই আমার মা গড়ে তুলেছিলেন। বাবার প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি সমর্থন দিতেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জাতির জনক স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার আকাঙ্খা নিয়ে এ জাতিকে ধাপে ধাপে তৈরি করেন। পাকিস্তানিদের বৈষম্য তিনি বার বার তুলে ধরেছেন। এদেশের মানুষের কথা বলতে গিয়ে তাকে বার বার কারাবরণ করতে হয়েছে। লক্ষ্য স্থির রেখে তিনি এগিয়েছেন। সব বাধাবিপত্তি অতিক্রম করেছেন স্বাধীন দৃঢ়চেতা মনোভাব থেকেই। বাবার প্রতিটি পদক্ষেপে আমার মা সমর্থন দিতেন। দলের প্রয়োজনে গয়নাগাটি ও ঘরের জিনিসপত্রও বিক্রি করে দিতেন। অনেক নেতার বাড়িতে গিয়ে আমার মা বাজারের টাকাও দিতেন। যাদের তিনি বাজারের টাকা দিতেন তাদের মধ্যে বেঈমান খন্দকার মোস্তাকও ছিল।
তিনি আরও বলেন, মায়ের কোনও চাহিদা ছিল না। কোনও চাহিদার কথা বাবাকে বলতেন না। তার ত্যাগের কথা বলে শেষ করা যাবে না। আমার মা ত্যাগ স্বীকার করেছেন বলেই আব্বা দেশের জন্য কাজ করতে পেরেছেন। মা পাশে ছিলেন বলেই আব্বা নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে পেরেছিলেন। দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। দেশ স্বাধীনের পর তিনি শুন্য থেকে শুরু করে একটা প্রদেশকে রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে দিয়ে গেছেন।
বঙ্গমাতার উৎসাহে জতির পিতা জেলে বসে লেখালেখি করতেন উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, জেলে যাওয়ার সময় মা খাতাগুলো দিতেন বলেই আজ আমরা ইতিহাসের অনেক কথা জানতে পারছি। আরও কিছু লেখা শিগগিরই বের হবে। সেখান থেকে আরও অনেক কিছু জানতে পারবো।
ছয় দফা হবে না আট দফা হবে তা নিয়ে দলের মধ্যে সৃষ্ট বিতর্কের প্রসঙ্গ তুলে শেখ হাসিনা বলেন, একসময় ছয় দফা হবে না আট দফা হবে তা নিয়ে দলের মধ্যে তুমুল বিতর্ক হলো। পাকিস্তান থেকে দলের নেতারা আসলেন। আওয়ামী লীগের একটা গুণ আছে দলের তৃণমূল নেতারা সব সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু উঁচু মহলে গেলে একটু উল্টোপাল্টা হয়ে যায়। তখন দেখেছি অনেক বড় বড় নেতারা আট দফার দিকে জোর দিচ্ছেন। কিন্তু মার একটাই কথা ছিলো উনি (বঙ্গবন্ধু) ছয় দফা দিয়ে গেছেন, এর বাইরে যাওয়া যাবে না। তখন মায়ের পক্ষে ছিল পার্টির তৃণমূল কর্মী আর ছাত্রলীগ। পরে ২/৩ দিন মিটিংয়ের পরে সিদ্ধান্ত হয় ছয় দফাই থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে অনেক রকম রাজনীতি হয়। অনেকে রাজনীতি করে অর্থ সম্পদ বাড়িয়ে নিজের মান মর্যাদা বাড়িয়ে নেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু রাজনীতি করেছিলেন দেশের মানুষের জন্য। মানুষ মন্ত্রীত্বের জন্য দলও ত্যাগ করেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু মন্ত্রীত্ব ত্যাগ করেছিলেন দলের জন্য। এট সবার জন্য একটা শিক্ষার বিষয়।
ছাত্রলীগের কাছে এলে মনে হয় মন খুলে কথা বলি
ছাত্রলীগকে শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেয়ার আহŸান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষাটা হচ্ছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। ছাত্রলীগ থেকে ভবিষ্যতে নেতৃত্ব আসতে হবে। তার জন্য শিক্ষা একান্তভাবে দরকার। ছাত্রলীগের প্রত্যেকটি কর্মীকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। তাহলে এ দেশটাকে আমরা গড়ে তুলতে পারবো।
ছাত্রলীগের সঙ্গে আত্মার সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্রলীগের কাছে এলে মনে হয় মন খুলে কথা বলি। কারণ আমি নিজেও ছাত্রলীগের একজন সামান্য সদস্য ছিলাম। একজন কর্মী থেকে সব সময় রাজপথের সংগ্রামে ছিলাম। বলতে গেলে এটাই হচ্ছে মূল সংগঠন যার সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে সবাইকে এগিয়ে যাওয়ার আহŸান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। দেশ এগিয়ে যাবে।
শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে শিক্ষিত নেতৃত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এসময় বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, অশিক্ষিত নেতৃত্ব দায়িত্ব পেলে দেশের কী সর্বনাশ হতে পারে তা তো আমরা দেখেছি। তারা মানুষ পুড়িয়ে মারতে পারে, লুটপাট করতে পারে, দুর্নীতি করতে পারে, মানি লন্ডারিং করতে পারে। নিজেদের বিত্ত বৈভব গড়ে তুলতে পারে। কিন্তু দেশের মানুষকে কিছু দিতে পারে না। তিনি বলেন, শান্তি ছাড়া কখনও প্রগতি আসে না। আমরা এটাই চাই আমাদের দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকবে। আমরা ধীরে ধীরে দেশকে প্রগতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন কোনও দুর্যোগ দুর্বিপাক হয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ সবাইকে উদ্বুদ্ধ করি। দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে, তাদের সেবা করতে। মানবতার কাজ করতে। এটা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। এই আদর্শ নিয়ে সবাইকে কাজ করতে হবে।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাÐের প্রসঙ্গ টেনে তার কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়া হয়েছিল। সন্ত্রাস-খুন-জঙ্গিবাদ কায়েম করা হয়েছিল। খুনিদের মদদ জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া সবাই দিয়েছে। তাদের সংসদে বসিয়েছে। তাদের নানাভাবে উৎসাহিত করেছে। এসব করেছে আমাকে আঘাত দেয়ার জন্য। আমি যাতে ভেঙে পড়ি সেই জন্য। কিন্তু আমি কোন বাবার মেয়ে, কোন মায়ের মেয়ে সেটা তারা উপলব্ধি করতে পারেনি। বাবা ও মা’র কাছ থেকে দেশকে ভালোবাসার, দেশের কল্যাণে কাজ করার, দেশের জন্য যে কোনও ত্যাগ স্বীকার করার শিক্ষা পেয়েছি। শিক্ষা পেয়েছি যেকোনও ঝুঁকি নেয়ার মতো সাহস রাখার। তাই প্রতিকূল অবস্থা মোকাবেলা করে আজ আওয়ামী লীগ পর পর তিনবার সরকার গঠন করেছে বলেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। যখন একটু ভালো কাজ হয়, মানুষজন ভালো থাকে, বার বার এটাই মনে হয় আমার বাবা-মার আত্মা নিশ্চয়ই শান্তি পাবে। এটা ভেবে যে তার গরীব মানুষেরা একটু ভালো আছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতার পরিবারের কেউ ক্ষমতায় আসবে এই চিন্তা তো তারা (হত্যাকারীরা) করেনি। তারা তো এটা চায়ওনি। এজন্য তারা ১৫ আগস্ট আমার বাবা-মা-ভাইসহ সবাইকে হত্যা করে। একই সঙ্গে ৩টি বাড়িতে আক্রমণ করে ওই হত্যাযজ্ঞ তারা ঘটায়। যেন ওই রক্তের কেউ না থাকে। আমরা দুই বোন ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে আমাদের দুর্ভাগ্য ছিল যে বিদেশে ছিলাম বলে বেঁচে যাই।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে ওঠা এবং দেশের কল্যাণে কাজ করার আহŸান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাবা-মায়ের কাছ থেকে শিক্ষা পেয়েছি কীভাবে মানুষের সেবা করতে হয়। বাবা যেমন ত্যাগ স্বীকার করেছেন আমিও দেশের মানুষের জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১১:০৪ পিএম says : 0
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যান্ত সত্য কথা বলেছেন এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু কথা হচ্ছে তিনি কি পারছেন সেইভাবে চলতে??? তিনি ছাত্রলীগ নিয়ে সবসময়ই বড় বড় কথা বলেন, কিন্তু তার বলা সেইসব সোনার ছেলেরা যে সন্ত্রাস কায়েম করে চদাবাজি করে যাচ্ছে সিন্ডিকেট বানিয়ে সেটা কি তিনি বন্ধ করতে পেরেছেন??? তিনি বার বার ছাত্রলীগ নিয়ে ভাল ভাল কথা বলেন কিন্তু সেই ছাত্রলীগ কারা নেতৃত্ব দিচ্ছে সেটাকি তিনি দেখছেন??? আজ তার সোনারছেলেরা (ছাত্রলীগ) কিভাবে দেশে অরাজগতা সৃষ্টি করছে তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এটাকি তিনি দেখতে পান??? না নাকি না দেখার ভান করেন এটা আজ প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে জনতার কাছে। ছাত্রলীগের অত্যাচারে দেশবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এখন ভয় হয় দেশবাসী এদের অত্যাচারে আবার না কুমিল্লার মেয়র নির্বাচনের মত নীরব ভোটে পাকিস্তানের সমর্থক জামাত-বিএনপিকে ক্ষমতায় না বাসায়!!! আল্লাহ্ সবজান্তা সাথে সাথে ন্যায় বিচারক এটাই মহা সত্য। আমীন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ