পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠশিল্পী, বিশিষ্ট সঙ্গীতজ্ঞ ও মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বারের মৃত্যুতে সর্বত্র শোকের ছায়া। সংগীত জগত থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তিবর্গরা তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। পাঁচ দশকের বেশি সময় বাংলাদেশের গানের ভূবনে আলো ছড়ানো দরাজ কণ্ঠের এই শিল্পীর সকলের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল। এশিল্পী আধুনিক বাংলা গানের বিভিন্ন মানবপ্রেম, ভালবাসা, লোকজ, দেশাত্ববোধক, মরমী, দ্রোহ, বিষাদ, প্রতিবাদী, উদ্দীপনা, চলচ্চিত্র, ভক্তিমূলকসহ নানা ধরনের গান গেয়ে শ্রোতাদের কাছে গানের জগতে এক মহা পুরুষ হিসাবে পরিনত হন তিনি। বাংলা গানের এই কিংবদন্তি শিল্পীর মৃত্যুর সংবাদ দ্রত রাজধানীসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃত্যুর সংবাদ দ্রæত সোসাল মিডিয়া ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর থেকেই ফেইসবুক থেকে শুরু করে বিভিন্নভাবে শোক প্রকাশ করে অনেকেই। যেন ধরনের শোকের ছায়া সর্বত্র নেমে আসে। জনপ্রিয় ওই শিল্পের গানে শুনে চির দিনের জন্য মনে রাখার চেস্টা করছেন অনেকই। আবার কেউ বা মরহুমের (আবদুল জব্বারের) আত্মার মাগফিরাত কামনা করে স্ট্যাটাস দেন।
শোক প্রকাশ করে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে আবদুল জব্বাবের গান মুক্তিযোদ্ধা ও দেশের তরুণ সমাজকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতায় তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এই শিল্পীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিশিষ্ট সঙ্গীতজ্ঞ ও মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। তার শোক বার্তায় মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। আরো শোক প্রকাশ করেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও আইন মন্ত্রী আনিসুল হক। আইনমন্ত্রী তার শোকবার্তায় মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এছাড়াও শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তথ্যমন্ত্রী হাসনুল হক ইনু বলেন, আবদুল জব্বারের মত জাতীয় ব্যক্তিত্ব আজ সমস্ত ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে চলে গেলেন। রাষ্ট্র ও সরকারের আহŸানে পাশে দাঁড়িয়ে তিনি আমৃত্যু জনগণের সেবা করে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে শিল্প-সাহিত্যের ধারাকে তিনি সমৃদ্ধ করে গেছেন। সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, আবদুল জব্বার ছিলেন আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর সৈনিক। যুদ্ধ এবং যুদ্ধপরবর্তী সংগীত জগতে তার অবদান অনেক। তার চলে যাওয়াটা আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ বলেন, মুক্তিযুদ্ধসহ জাতীয়তাবাদী সকল আন্দোলনে তার অবদান ভুলবার নয়। শিল্পী আব্দুল জব্বার বঙ্গবন্ধুকে বাবা বলে ডাকতেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতির পিতার প্রতি তার ভালবাসা ও শ্রদ্ধা ছিল অপরিসীম, যা আমাদের সবাইকে মুগ্ধ করেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খানের শোক প্রকাশ।
এছাড়াও শোক প্রকাশ করেছেন এন্ড্রু কিশোর, খুরশীদ আলম ও কনকচাঁপা। তারা বলেন, জব্বার ভাই আমাদের সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন। আমরা একা হয়ে গেলাম। সত্যিকার অর্থেই তিনি ছিলেন একজন মহৎ শিল্পী। এমন শিল্পী তৈরি করা যায় না। ১৯৭১ সালে তার গান শুনে অনেক মুক্তিযোদ্ধা রণাঙ্গনে যেতে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। তিনি চিরকাল বেঁচে থাকবেন আমাদের অন্তরে। তিনি শ্রোতাদের কাছে অমøান হয়ে থাকবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।