Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

যৌথ বিবৃতিতে বিশিষ্ট নাগরিক সমাজ রায়ের প্রতিক্রিয়া অশোভন ঔদ্ধত্যপূর্ণ

| প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

 স্টাফ রিপোর্টার : বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষা ও রাষ্ট্রের তিন অঙ্গের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধার সম্পর্কের স্বার্থে সংশ্লিষ্টদের প্রতি সংযত আচরণ করার আহŸান জানিয়েছেন ১২ জন বিশিষ্ট নাগরিক। তারা বলেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল-সংক্রান্ত রায়কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মহল থেকে এমনভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হচ্ছে যে তা অনেক ক্ষেত্রে অশোভন, ঔদ্ধত্যপূর্ণ, বিদ্বেষমূলক এবং সংবিধানপরিপন্থী। গতকাল বুধবার মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ আহবান জানান হয়। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, স¤প্রতি সর্বোচ্চ আদালতের সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল সংক্রান্ত রায়কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মহল থেকে এমনভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হচ্ছে যে তা অনেক ক্ষেত্রে অশোভন, ঔদ্ধত্যপূর্ণ, বিদ্বেষমূলক এবং সংবিধান পরিপন্থী। অনাকাক্সিক্ষত এ প্রেক্ষিতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার পাশাপাশি রাষ্ট্রের তিন অঙ্গ- আইন বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের মধ্যে ভারসাম্য ও সুসম্পর্ক রক্ষা সংবিধানে ক্ষমতা ও এখতিয়ার পৃথকীকরণ নির্ধারিত রয়েছে তার ভিত্তিতে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও আস্থার যে ঐতিহ্য আমরা লালন করে এসেছি তাও নির্মূল হবার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। আদালতের রায়ে কেউ ক্ষুব্ধ হলে তার বিরুদ্ধে প্রতিকার চাইবার আইনানুগ পন্থা রয়েছে। 

আদালতের রায় সম্পর্কে গঠনমূলক আলোচনা-সমালোচনা প্রয়োজন, প্রকৃতপক্ষে তা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সুসংহত করার জন্যও সহায়ক। রায়ের পর্যবেক্ষণে কোন অপ্রাসঙ্গিক বিষয় থেকে থাকলে সে সম্পর্কে মতামত বা সমালোচনার অধিকার জনগণের রয়েছে। আদালতও তা চান বলে একাধিকবার উল্লেখ করেছেন। তবে তা যেন ভাষা ও ভঙ্গিতে হয় শালীনতাপূর্ণ এবং পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাভিত্তিক। সে পথ অনুসরণ না করে এবং সংক্ষুব্ধতা প্রকাশের আইনানুগ পন্থা অবলম্বন না করে আদালতকে আক্রমণ করে বক্তব্য দেয়া কিংবা রায়কে পুঁজি করে কোন কোন মহলের সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা- এ সবই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও আইনের শাসনের পরিপন্থী। বিবৃতিতে বলা হয়, মনে রাখতে হবে, জনগণের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে আদালতই সর্বশেষ ভরসাস্থল, সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে আদালতকে কোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করানো কিংবা তাকে দুর্বল করার চেষ্টা দেশের স্বার্থে কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। যৌথ বিবৃতিতে যারা স্বাক্ষর করেছেন তারা হলেন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, মানবাধিকার কর্মী ও নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী খুশী কবির, টিআইবি’র ড. নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, আইন ও সালিশ কেন্দ্রর নির্বাহী পরিচালক শিপা হাফিজা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, এএলআরডি’র মানবাধিকার কর্মী ও নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এমএম আকাশ, রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশ (রিইব)’র নির্বাহী পরিচালক ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, বøাস্ট’র আইনজীবী ও অবৈতনিক নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, এস.এম. রেজাউল করিম বøাস্ট’র পরিচালক, মানবাধিকার কর্মী মুক্তাশ্রী চাকমা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ