পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার: ভারতের অন্যতম বৃহৎ বানিজ্যিক যানবাহন প্রস্তুতকারী ‘ভিই কমার্শিয়াল ভেহিকেলস লিঃ’ এর একটি ব্যবসায়িক অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ‘আইশার ট্রাকস অ্যান্ড বাসেস’ স¤প্রতি বাংলাদেশে তাদের সিকেডি যানবাহন সংযোজন কার্যক্রম শুরু করার কথা ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশে আইশারের সহযোগী হিসেবে রানার মোটরস লি. এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই সংযোজন কারখানাটি স্থাপিত হতে যাচ্ছে। আইশারের ঘোষিত নীতিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশের বাণিজ্যিক পরিবহন জগতে আধুনিকতা আনতে তাঁরা এই উদ্যোগ নিয়েছেন। ৩৫ একর জমিতে এই প্ল্যান্টটি স্থাপিত হবে।
প্রতিমাসে ৫০০ ইউনিট যানবাহন সংযোজন ক্ষমতা সম্পন্ন এই প্ল্যান্টে নব প্রজন্মের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এসেম্বলি লাইন ও টেস্টিং সুবিধা থাকবে। আগামী বছরে এই প্ল্যান্টের উৎপাদন শুরু হবে। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ভি ই কমার্শিয়াল ভেহিকেলস লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সি ই ও বিনোদ আগরওয়াল এ সব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১৯৯৩ সাল থেকে আইশার ট্রাক ও বাস বাংলাদেশে চলছে।
তবে বিশেষ করে গত কয়েক বছরে রানার মোটরস লি. এবং র্যাংগস মোটরস লি. এর সহযোগিতায় আইশার বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য ভাবে তার ব্যবসা কার্যক্রম প্রসারিত করেছে। ২৫ টি আঞ্চলিক অফিস ও সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে তারা এ দেশে ক্রেতাদের জন্য সেলস ও সার্ভিস এবং বাংলাদেশের মার্কেট শেয়ার বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্ববিখ্যাত ‘ভোলভো’ গ্রæপের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা এবং আইশারের পরীক্ষিত উদ্ভাবনী ও সাশ্রয়ী জ্বালানীর প্রযুক্তির সমন্বয় করে ভিইসিভি প্রতিনিয়ত তাদের পণ্যের মানোন্নয়ন করছে।
এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভি ই কমার্শিয়াল ভেহিকেলস লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সি ই ও বলেন, বাংলাদেশ আইশারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কেট এবং এই দেশে আমরাই প্রথম বি এস ৩ মানের যানবাহন এনেছি।
এ ছাড়াও ‘ফুয়েল কোচিং’ এবং ‘ক্রুজ কন্ট্রোল’ এর মত আধুনিক প্রযুক্তি চালু করেছি। আমরা গত ৩ বছরে বাংলাদেশে ২৫ টি নতুন মডেল এনেছি, যাতে বহুবিধ ব্যবহারের প্রয়োজন মেটাচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রæতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এই নতুন সংযোজন প্ল্যান্টের মাধ্যমে আমরা আমাদের অবস্থান আরও সংহত করতে পারব বলে আশা করি।
অনুষ্ঠানে রানার মোটরস লি. এর চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান বলেন, আইশার ট্রাক অ্যান্ড বাস- এর অংশীদার হতে পেরে এবং সিকেডি সংযোজন প্ল্যান্টের কাজ শুরু করতে পেরে আমরা আনন্দিত।
আমরা আইশার ট্রাক ও বাসের জন্য একটি ট্রেনিং স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছি। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের টেকনিশিয়ানদেরকে যথাযোগ্য প্রশিক্ষন দিয়ে দক্ষ জনবল তৈরি করছি। আশা করি আইশারের উন্নত জ্বালানী সাশ্রয়ী যানবাহন এর সাহায্যে আমরা আমাদের দেশের বানিজ্যিক যানবাহন সেক্টরে আধুনিকতা আনতে পারব।
অনুষ্ঠানে র্যাংগস মোটরস লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহানা রউফ চৌধুরী বলেন, আইশারের সঙ্গে আমাদের ব্যবস্যায়িক সম্পর্ক দু’দশকের। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ বছরে বাংলাদেশে আইশারের বিক্রয় সংখ্যা প্রায় ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে মিনি বাসের বাজারে আইশার এখন ক্রেতাদের পছন্দের ব্র্যান্ড এবং এই সেক্টরে আমরা বরাবরই মার্কেট লিডার আছি।
আমরা বিক্রয় পরবর্তী সেবা আরও নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং আমরাই প্রথম ক্রেতার দোরগোড়ায় সার্ভিস কার্যক্রম শুরু করি। আমরাও খুব শিগগীর আইশার ট্রাক ও বাসের সংযোজন লাইন স্থাপন করব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।